বিপ্লবের মৃত্যু নেই
জীবনের শেষ সময়ে এসে চে একবার বলে ছিলেন, “ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমার প্রিয় এম-২ রাইফেলটা অকেজো হয়ে গেছে। তবে আমার পরাজয় এই নয় যে, বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। এভারেস্ট বিজয়ের অভিযানেও অনেকে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আজ মানুষ জয় করেছে। ফিদেলকে বলো, আমার মৃত্যুতে বিপ্লব পরাজিত হয়নি। বিপ্লবের মৃত্যু নেই। শোষিত মানুষের জয় অনিবার্য। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ একদিন ধ্বংস হবেই। বিদায়, চে।”
লেফটেন্যান্ট ম্যারিও তেরানকে চে গুয়েভারাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। অটোমেটিক রাইফেল হাতে তেরান স্কুলের যে কক্ষে চে বন্দি সে কক্ষে প্রবেশ করে। মাটির মেঝেতে তখন পড়ে আছেন আহত, প্রতিরোধে অক্ষম নিরস্ত্র চে গুয়েভারা। তিনি বুঝতে পারলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু তার চোখে-মুখে মৃত্যুর ভয় নেই। এ অবস্খায়ও তিনি বিপ্লবের অবিনাশী চেতনার কথা বললেন।
'তোমার সৈন্যদের বলো, লক্ষ্য স্খির করে গুলি ছুড়তে। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।’ - মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে চে ।
মৃত্যু মানে সমাপ্তি নয়, নয় অবসান
বাতাসে তখন মৃত্যুর গন্ধ। সামনে উদ্যত সেমিঅটোমেটিক রাইফেল, প্রস্তুত ঘাতক। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, 'তুমি কি তোমার অমরত্বের কথা ভাবছো?' উত্তর এল, 'না, আমি বিপ্লবের অমরত্বের কথা ভাবছি।' বিপ্লবীর দেহে বিদ্ধ হলো নয়টি গুলি।
তার মৃত্যু হয় ৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সাল বেলা ১.১০ টায়
চে ..... তোমার ছবি হৃদয়ে রাখবো কথা দিলাম, বিপ্লব হবে । বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




