somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাকা ছাড়া যেভাবে আমি আমার একটেল রিচার্জ করতাম। আপনারা চাইলে রবি রিচার্জ করতে পারেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান রবি মিয়া আগের কালের একটেল এটা সবাই প্রথমে জানলেও আমি জানছি অনেক পরে যখন একটেল আর চালাই না। কারণ যে গার্লফেন্ড একটেল চালাইতো ৬ মাস প্রেম করার পর বয়স হিসাব কইরা দেখি সে আমার ছোট আপার সমান। তারপর দুইজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই দিকে চলে গেছি। হে তার একটেল বন্ধ কইরা দিছে আর আমারটা ভাইঙ্গা ফালাইছি।
সময়টা ২০০৪-২০০৫ হবে। ছাত্রজীবন, মেসে থাকি। ময়মনসিংহের চড়পাড়া মোড়ের কাছে। বাড়ি থেকে চাল দেয় আর প্রতি মাসের খরচ দেয় ১২০০ টাকা। এই টাকা দিয়েই বাসা ভাড়া, খাওয়া, বুয়া, মোবাইল, সিনেমা, নতুন সিডি কেনা ইত্যাদি চলত। কলেজের খরচ খুব একটা ছিলো না। বৃত্তি পেতাম। খুব কষ্টে দিন পার করছি। তাই বলে মোবাইল খালি থাকত না। ৩০০ টাকার নিচে চলে আসলেই মনে হতো টাকা নাই। তখন আমার ৪/৫ টা সিম ছিলো। বেশী ব্যবহার করতাম একটেল আর ইজি গোল্ড। তখন গ্রামীনের ফ্লেক্সি লোড চালু হয়েছে আর একটেলে ইজি লোড। ইজি লোড এ দোকানীকে টাকা দিলে দোকানী কাগজের একটা নাম্বার হাতে ধরিয়ে দিত। রিকোয়েষ্ট করলে রিচার্জ ও করে দিতো।
তো আমার মাথায় খেলতে থাকল, যেহেতু হাতে তেমন টাকা-পয়সা থাকে না কিভাবে মোবাইলে রিচার্জ করবো। তখনকার দোকানীরা বর্তমানের মতো ডিজুস টাইপ ছিলো না। এতো কিছু বুঝতো না মোবাইল ফাংশন। ফাংশনই বা আর কি ছিলো - বাজারে দামী মোবাইল ছিলো সিমেন্সের এম৬৫।
যেভাবে কাজটা করতামঃ ২টা একটেল সিম নিতাম। আমার বন্ধুর সিমেন্স একটা সেট ছিলো আর আমার নকিয়া ১১০০। দুটোই নিতাম। সিমেন্সের কমলা ব্যাকলাইট বিশিষ্ট ছোট সেট। দামীগুলো হবে না। একটা কাধে ঝোলানো ব্যাগ নিয়ে বের হতাম। সাতে ৪০০/৫০০ টাকা নিতাম। প্রথমে সিমেন্স সেটে একটা একটেল সিম নিয়ে তাতে পরপর ৩ বার উল্টা পাল্টা পিন নাম্বার দিয়ে রিচার্জ করার চেষ্টা করতাম। ফলে অফিস থেকে ওই নাম্বারে রিচার্জ করা ব্ন্ধ করে দিতো ১২ ঘন্টার জন্য। আর সিমেন্স সেটের ডায়াল করা নাম্বার মুছে দিতাম। তারপর দোকানি গিয়ে ৩০০ টাকার ইজি লোড চাইতাম। দোকানীর দিকে মোবাইল এগিয়ে দিয়ে বলতাম রিচার্জ করেন। আর আমি মানিব্যাগ থেকে দোকানীর সামনে টাকা বের করে গোনে তার দিকে বাড়িয়ে দিতাম (কেউ হাতে নিতো, কেউ নিতো না)। দোকানী আপনমনে রিচার্জ শুরু করতো। কিন্তু রিচার্জ হতো না। ২/৩ বার ট্রাই করতো; অনেক সময় ২টা নাম্বারও ট্রাই করতো। তখন দোকানীই বলতো ভাই আপনার সেটে নয় সিমে সমস্যা, রিচার্জ হয় না। বলে সেট আর টাকা নিয়ে থাকলে টাকা ফেরত দিতো। আর আমি দ্রুত সেই দোকার ত্যাগ করে একটু দুরে গিয়ে সিমেন্স সেটের নাম্বারটা দেখে অন্য মোবাইলে রিচার্জ করে নিতাম। এভাবে একদিনে এক এক এলাকায় ১৫০০-৩০০০ টাকা রিচার্জ হলে বাসায় চলে আসতাম।
সিমেন্স সেট কেন ব্যবহার করতামঃ একমাত্র তখনকার কমদামী সিমেন্স সেটগুলিতেই রিচার্জ করার নাম্বারটা থাকত। অন্য কোন সেটে কোন নাম্বার লিখে শেষে # দিলে সেই নাম্বার থাকত না। মুছে যেত অটো। তারপর গার্লফ্রেন্ড চলে গেল আর নাম্বারটাও ভেঙ্গে ফেলেছি।
মাঝে মাঝে কাষ্টমার কেয়ার থেকে ফোন দিয়ে অনেক আলাপ করতো আমার সাথে। শেষে জিজ্ঞেস করতো আমি সিম ব্লক করে কি করি। আমি বলতাম আমি মেসে থাকি তো। এখানে অনেক ধরনের ছেলে থাকে। আমি একটু টয়লেটে গেলেই ওরা সেট নিয়ে নাড়াচাড়া করে। তখন হয়ত কেউ কেউ ট্রাই করে দেখে কিভাবে রিচার্জ করতে হয়। আপনারা বেরসিকের মতো আচরণ করে দেন ব্লক কইরা। কাস্টমার কেয়ার বলে আমরা কিন্তু আপনার সিম একবারে পার্মানেন্টলি বন্ধ করে দেবো। আমি বলতাম "আমি আপনাদের সম্মানিত কাষ্টমার। যদি বন্ধ করে দেন তাহলে আপনাদের বেতনের টাকা আসবে কোথা থেকে। আর আমার গার্লফ্রেন্ড রাগ করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
৩৫টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×