পালে লেগেছে হাওয়া
ছুটছে নৌকা জোড়ে,
ধার হাতে মাঝি
দাঁড়িয়ে সটান বক্ষে।
মাঝির উত্তেজনা বুকে
খুশির ঝিলিক চোখে
নদীতে স্রোত,
রক্তে জোয়ার বইছে।
দু তীরে শস্য শ্যামল চিত্রপট,
পুলকিত মাঝির হৃদয়পট
নাইছে বধূ চট্পট্
ঘোমটা গেছে সরে বহুক্ষণ যাবৎ।
স্ফীত বক্ষে যৌবনের আভাস
মাঝির দু নয়নে কামনার উদ্ভাস
কম্পিত দেহ আড়ষ্ট হাত
লাজুক চাহনিতে হতাশার বাস।
নদীতে জোয়ার শরীরে জোয়ার,
দীর্ঘশ্বাস উঠে বুকে
যুবতী বধূ গোসলরত,
হতাশ মাঝি সম্মুখে চলে।
চলছে নৌকা পাখিরা উড়ছে
ডানার ঝাপটা পিছনে ভাসছে
উল্লাস ধ্বনি সাথে সাথে আসছে
বর যত্রিরা আমোদে চলছে।
মাঝি দেখে আর ভাবে,
আর্দ্র চোখে ভাসে বধূর স্মৃতি,
বধূটি ছিল বড়ই সুন্দরী,
লক্ষ্মী লজ্জাবতী।
ছিল মায়াময় রূপে অপরূপ
উজাড় করে দিয়েছিল সব।
অবশেষে সবশেষ নাই বধূটি
কতইনা কষ্ট মাঝির বুঝি।
শক্তি রহিত নির্বাক মুখে
অসাড় দেহে নিরাশ বদনে
মাঝি চলছে হতাশা বুকে নিয়ে,
সর্বনাশা অসুখ বধূকে নিয়েছে তুলে।
নৌকা চলছে
শব যাত্রীরা চলছে
নীরবে নিভৃতে শোকের মিছিল হাঁটছে
সারিবদ্ধ মানুষেরা চুপিচুপি কাঁদছে।
শোকাহত মা অথবা বধূ
হতে পারে পিতা কিংবা যে কেউ,
শোকের বোঝা কত যে ভারী
বুঝতে পারেন শুধই তিনি।
শোক দুঃখ জীবনে
রয়েছে কত বাধা
এতটুকু সুখ এতটুকু আশা
এইতো জীবন এইতো বাঁচা।
বেচেঁ আছেন মাঝি চলছেন সম্মুখে
একাকী জীবন সুখ নাই মনে
পিছনে ফেলে আসি কত যে স্মৃতি
চলছে জীবন নাই যেন গতি।
এইতো সেদিন মনে পড়ে যেন
বধূ বেশে মেয়েটি কহিল শোন?
ভালবাস আমাকে কতখানি বল?
বলেছিল মাঝি। জীবনখানি যত।
বহমান জীবন যেন প্রবহমান নদী
সুখ-দুখ, হাসি-কান্না ভেসে চলছে সবি।
আমরা সবাই আছি ,এই জীবনের টানে
চল জীবনটাকে ভরিয়ে দেই হাঁসি আর গানে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৬