![]()
আবহাতে ইসলামী এক বর্ক্তৃতায় সর্ব প্রথম “Song of Solomon” এর কথা জানতে পারি। নবী দাউদ (আঃ) এর পুত্র হযরত সোলায়মান (আঃ) একজন প্রতাপশালী বাদশাহ ও নবী ছিলেন। ইহুদীরাও তাঁকে নবী বলে মানে। ইহুদীরা সোলায়মান (আঃ) এর টেম্পল ও ডিভাইন সিন্দুকের জন্য তাঁকে বিশেষ সন্মান করে থাকে।
“Song of Solomon” বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার। ইহুদীরাও এটাকে হিব্রু বাইবেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রল হিসাবে বিবেচনা করে থাকে। “Song of Solomon” অন্যান্য চ্যাপ্টারের ন্যায় ধর্মীয় বিধি নিষেধ সংবলিত কোন বাণী নয়, বরং এখানে প্রেমময়, কামাসাক্ত ভালোবাসার বর্ণনা রয়েছে।
![]()
মুসলিমরা তাওরাত ও ইঞ্জিলকে আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করে। নতুন কিতাব আসার সাথে সাথে আগের কিতাব তার কার্যকারীতা হারায়। তাই নতুনদের কাছে আগের কিতাব ধরে রাখার কোন প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যারা পথভ্রষ্ট হয়ে আগের কিতাবেই আস্থা রেখেছিল- তারা যুগে যুগে নিজেদের প্রয়োজনে তাদের কিতাবকে সংশোধন করেছে, অনেক কিছু বিকৃত করেছে, যোগ করেছে। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু হরিয়েও গেছে। পৃথিবীর পন্ডিতরা এ বিষয়ে একমত যে, ডিভাইন তাওরাত ও ইঞ্জিল পৃথিবীতে আর নেই।
একমাত্র ডিভাইন কিতাব যা আজও টিকে আছে তা হচ্ছে –আল কোরান। আল কোরান সর্বশেষ নাযিল হয়েছে যা সকল মুসলিম আঁকড়ে ধরে আছে, নতুন কোন কিতাব না আসার কারনে তাওরাত ও ইঞ্জিলের মতো তা হারিয়ে যায়নি। এমনকি আল্লাহ এই কিতাবকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যা অন্য কোন কিতাবের জন্য দেয়া হয়নি।
আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি, আমিই এর সংরক্ষণকারী। (আল কোরান ১৫:০৯)
এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস।তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া,যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না,তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর,যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর।যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।(আল কোরান ২:২৩-২৪)
এধনের কোন চ্যালেঞ্জ এখন পর্যন্ত কেউ নিতে পারেনি। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি মতো আল কোরান অবিকৃত রয়েছে।
তাওরাত ও বাইবেল বিকৃত হলেও এর মাঝে কিছু কিছু সত্য বাণী রয়ে গেছে। মানুষের প্রতি ভালো আচরণ, সৎ পথের আদেশ, একাত্ববাদে বিশ্বাস, কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা- এগুলোতো মিথ্যা হয়ে যেতে পারেনা।
তাই আলেমদের মতে -যেসব বাণী ও ঘটনা পবিত্র কোরআনের বিপরীতে নয় তা আমরা রেফারেন্স হিসাবে গ্রহন করতেই পারি। ধরে নিতে পারি সেই তথ্যগুলি বিকৃতির হাত থেকে বেঁচে গেছে।
সেদিক থেকে আমরা নিশ্চিত নই- “Song of Solomon” দৈব কিতাবের অন্তর্ভুক্ত ছিল কিনা, নাকি এটি সাধারণ কোন প্রেমাসক্ত কবিতা যা পরবর্তীতে ওল্ড টেস্টামেন্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমার ধারনা- কবিতাটি পরিবর্তিত হয়েছে অথবা সত্য ঘটনার/তথ্যের উপর ভিত্তি করে লিখিত কবিতাটি পরবর্তীতে ওল্ড টেস্টামেন্টে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঘটনা বা দূর্ঘটনাক্রমে কবিতাটিতে এমন একজনের কথা বলা হয়েছে, এমন একজনের ভবিষৎবানী করা হয়েছে- যার জন্য ইহুদীরা যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করেছে। বিকৃতির পরও কবিতার মূলভাবটি অবিকৃতই থেকে গেছে।
ইহুদীরা যুগ যুগ ধরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্য অপেক্ষা করছিল।
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




