ইদানিং কালে পোলাপাইনের কথা বাদ, কারণ ব্রয়লার মুরগীর একটাই কাহিনী- সারাদিন খাঁচায় বন্দী। আমাদের মত দেশী মুরগীর ছোটবেলার কাহিনী মিলিয়ে দেখুনতো কার সাথে কোনটা মিলে যায়-
১ জন্ম থেকেই মা-বাবা’র ‘পড় পড়’ জিকির শুনতে শুনতে বড় হওয়া।
২ স্কুল পলানোর দক্ষ প্রতিভা।
৩ মায়ের লাঠি না ভাঙ্গা পর্যন্ত মাইর খাওয়া।
৪ বন্ধুদের টিফিন চুরি করে খাওয়া।
৫ মাগরিবের আযান শেষ হওয়ার আগেই ঘরে ফিরে পড়তে বসা।
৬ ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ছুটির প্লানের খসড়া তৈরি করা।
৭ টিফিনের টাকা বাচিয়ে আর বেতনের টাকা মেরে স্কুল ফ্রেন্ডদের সাথে বাংলা সিনেমা দেখা।
৮ পাড়ার বড় ভাইবোনদের প্রেমের পিয়ন গিরি বিনিময় দুইটা লজেন্স অথবা একটা ঘুড়ি।
৯ পিছনের বেঞ্চে বসে কাটাকাটি খেলা।
১০ ছোট ভাইবোনদের উপর কতৃত্ব ফলানো আর বড়দের হুকুম পালন করা।
১১ জুম্মার নামাজের পর মিলাদের জিলাপির জন্য অপেক্ষা করা।
১২ ক্রিকেট খেলায় এপাড়া আর ওপাড়া ম্যাচ পাতানো।
১৩ ক্লাস টেনে থাকাকালীন একটা বিড়ি সাতজন ভাগ করে খাওয়া।
১৪ বিড়ি টেনে পেয়ারার পাতা চাবানো।
১৫ টিফিনের টাকা আর রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে ভিডিও গেমস খেলা।
১৬ ছোটবেলার প্রিয় কার্টুন নিনজা টারটেল, ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, পাপাই......
১৭ রেজাল্টের সাতদিন আগে থেকে সেইরাম নামাজী হয়ে যাওয়া, মানে চরম ভাল মানুষ।
১৮ স্কুলের নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকলেই মনে হতো পেটে অর্ধেক বিদ্যা ঢুকে গেছে।
১৯ ছুটির দিনে বাবার করতে দেয়া ৪০টা ট্রান্সলেশন মনে হতো দুনিয়ার আজাব।
২০ বাইরে যতই দাওয়াত খেয়ে আসি না কেন বাসায় ফিরে মা’কে দেখলেই আবার খিদে লেগে যেত।
২১ বাবার পকেট থেকে একটা কয়েন পরে গেলে সেইটা পায়ের তলায় চেপে খাটের তলা টেবিলের তলা খোঁজা।
স্কুলে থাকতে মনে হতো কবে কলেজে উঠবো, কলেজে উঠার পর মনে হতো কবে ভার্সিটিতে যাবো আর ভার্সিটিতে যাওয়ার পর মনে হয় কবে একটা চাকরি পাবো। চাকরি পাওয়ার পর একটা বিয়ে, একটা সংসার...... এইটাই তো জীবন!! কিন্তু এখন মনে হয় শৈশবে ফিরে যাওয়ার পথ টা কোথায়!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৭