সাহিত্যে নোবেল পেলেন পেরুর মারিও য়োসা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
পেরুতে জন্মগ্রহণকারী স্প্যানিশ লেখক মারিও ভার্গাস য়োসা এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। পেরুর এক সময়ের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৭৪ বছর বয়সী এই লেখক কনভারসেশন ইন দ্য ক্যাথেড্রাল এবং দ্য ফিস্ট অব দ্য গোটসহ বিভিন্ন উপন্যাসের জন্য সুপরিচিত। সাংবাদিক হিসেবেও তার রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইডিশ একাডেমী এ পুরস্কার ঘোষণা করে। ক্ষমতা কাঠামো সম্পর্কে তার নিখুঁত বর্ণনা এবং ব্যক্তি হিসেবে অন্যায় প্রতিরোধ, বিদ্রোহ এবং পরাজয়ের ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্দীপনা সৃষ্টিতে তার অনন্য ভাবমূর্তির প্রশংসা করেছে একাডেমী।
মারিও ভার্গাস য়োসা স্প্যানিশ ভাষার লেখার জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সার্ভেন্তেজ প্রাইজসহ বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি নোবেল পুরস্কার পাবেন এমন ধারণা করা হচ্ছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। খবর এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স অনলাইনের।
পেরুর আরিকুইপায় জন্মগ্রহণ করেন ভার্গাস য়োসা। মা ও নানার সঙ্গে বলিভিয়ার কোচাবামা শহরে শৈশব কাটান। ১৯৪৬ সালে পেরুতে ফিরে আসেন। এরপর তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং ১৯৫৯ সালে ফ্রান্সে চলে যান। সেখানে শিক্ষক এবং সংবাদ সংস্থা এএফপিতে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জনের আগে তিনি ফরাসি টেলিভিশনেও সাংবাদিকতা করেছেন।
'দ্য গ্রিন হাউজ' উপন্যাস প্রকাশের পর তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ভার্গাস য়োসার নাম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে। এসব বইয়ে রাজনৈতিক হানাহানি এবং লাতিন আমেরিকার ইতিহাসের চড়াই-উৎরাই গুরুত্ব পেয়েছে।
১৯৯০ সালের পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। তবে আলবার্তেন ফুজিমুরির কাছে ব্যাপক ব্যবধানে হেরে যান। ফুজিমুরির স্বৈরশাসনে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯৯৩ সালে স্পেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
পরের বছর তিনি স্পেনের রয়াল একাডেমী অব ল্যাংগুয়েজের সদস্য নির্বাচিত হন। স্প্যানিশ ভাষার ব্যাকরণ ও শব্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এ একাডেমীই চূড়ান্ত অভিমত দিয়ে থাকে।
পুরস্কার ঘোষণার পর এক সাক্ষাৎকারে ভার্গাস য়োসা বলেন, এটি লাতিন আমেরিকা ও স্প্যানিশ ভাষার সাহিত্যের প্রতি বড় স্বীকৃতি। এটি আমাদের সবার গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কারের জন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী অথবা প্রার্থী এমনটিও তিনি কখনও ভাবতেন না।
স্প্যানিশ ভাষার জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে তিনি একজন। ৩০টির বেশি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ লিখেছেন য়োসা।
১৯৬০-এর দশকে তার 'দ্য টাইম অব দ্য হিরো' উপন্যাস ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পেরুর মিলিটারি একাডেমীতে তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা উপন্যাসটি বিতর্কের জন্ম দেয়। মিলিটারি একাডেমী এ বইয়ের এক হাজার কপি প্রকাশ্যে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
ভার্গাস য়োসা নিউইয়র্কে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন। সুইডিশ একাডেমীর পিটার ইন লুন্ড বলেন, টেলিফোনে মারিও ভার্গাস য়োসাকে পুরস্কার পাওয়ার কথা জানালে তিনি খুবই উৎফুল্ল হন।
সমকাল থেকে
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন