বাস থেকে নেমে চিপাগলি দিয়ে বাসায় ফিরছিল সিদ্ধার্থ। আলো অন্ধকার মিশ্রিত এক জাদুবাস্তব পরিবেশ। গলির মাঝামাঝি ফার্নিচার দোকানের নৈশ প্রহরীর রাত্রিযাপনের টং ঘর ।নৈশ প্রহরী লোকটি ফোক,বাউল সঙ্গীতের খাটি সমঝদার। বিভিন্ন ঘরানার বাউল,ফোক গানের আওয়াজ ভেসে আসে তার টংঘর থেকে । আজ বাজতেছে কাঙালিনী সুফিয়ার গান - ' মনে বাবলা পাতার কষ লেগেছে' ।হারিকেন আকৃতির একটা স্পীকার আছে তার ঘরে । আলো জ্বলে ।গানও বাজে । জাদুকরী সব ফোক গান শুনে এই রকম এক টং ঘরে বসবাসের ইচ্ছে জাগে সিদ্ধার্থের ।রঙ্গিলা স্পিকারে বাউল গান বাজবে। পাশ দিয়ে যাওয়া ঘর উন্মুখ পথিকেরা উদাস হবে । মন্দ হবে না মনে হয়। । টং ঘরটা পেড়িয়ে একটু সামনে একটা চেতনার কারখানা । সকাল সন্ধ্যা চেতনার ব্যাপক কারবার চলে অইখানে । আজকে ওই কারখানা ক্রস করার সময় ঢাউস চেয়ারে বসে থাকা প্রধান কারবারিটি হাক ছাড়লেন ।
- ভাইসাব । স্লামালাইকুম ।
- জি ভাই ।
-সাথে মোবাইল আছে ?
-আছে ভাই। নেত্রী দিয়েছে ।
- তাহা হইলে তো এইখানে............।
- কোন সমস্যা নাই বড়ভাই । রাইখা যাইতাছি । এই জিনিস বড়ই পীড়াদায়ক ।বাঁচাইলেন ।
- ঘরে বিবি আছে ভাইজান ?
- না ভাই। কেউ দেয় নাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১