জয়া। মেয়েটির নাম জয়া। সদ্য এইচ,এস,সি পাস করে ভর্তি পরীক্ষার জন্যে মফসবল শহরে কোচিং এ ভর্তি হয়েছে। নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে।তাই বাড়ি থেকে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে কোচিং এ যেত।যাওয়ার মাঝ পথে অনেক ছেলে ডিস্টার্ব করতো।
সে কাউকে পাত্তা দিত না। তারপরো মন চাইত কারো সাথে প্রেম করতে কিন্তু নিজের পরিবার এবং ক্যারিয়ার এর কথা চিন্তা করে পিঁছু হটে।
যাই হোক এভাবে ক্লাস শেষ হয় আর ভর্তি যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর সব ভার্সিটির মত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির জন্যে এপ্লাই করে।
নভেম্বার ২০১৬,
ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে চট্টগ্রাম আসেন। এসে এক পরিচিত আত্নীয় ভাইয়ের বাসায় উঠছে।রাতে ঘুমানোর সময় অনেক কষ্টে ঘুমাইছে। কি আর ঘুম! এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা তাই হয় নাই ।
আগামিকাল ভোরে উঠতে হবে তাই সকাল ৬টায় উঠে রেডী হল। শাটল ট্রেন ধরার জন্যে সকাল ৭টায় ঝাউতলা স্টেশনে আসেন ওই আত্নীয়কে নিয়ে। সকাল ৭ঃ৪৫ মিনিটে একটা ট্রেন আসে কিন্তু ভিড় থাকায় তারা উঠতে পারে নাই। পাশের আত্নীয় বলল,চিন্তা করার কিছুই নাই পরে আর একটা ট্রেন আছে সেটাতে যাব। ঠিক সাড়ে আটটা করে বটতলী রেল স্টেশন থেকে আর একটা ট্রেন ঝাউতলা স্টেশনে আসলো, থামার পর দেখা গেল ট্রেনের কোন বগিতে উঠার মত সুযোগ নাই, যা উঠা যাচ্ছে তা ছেলেরা উঠে দখল করছে অনেক মেয়েও উঠছে ছেলেদের ভীড় ঠেলে। জয়া আর অই আত্নীয় সামনে থেকে পিঁছনে একবার যাচ্ছে আর একবার আসছে কিন্তু কোন বগিতে উঠতে পারছে না। এর মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল। জয়া ট্রেনে উঠতে না পেরে কান্না করে দিল । পরে অই আত্নীয় সান্তনা দিয়ে জিইসির মোড়ে নিয়ে আসলো।বলল এখান থেকে রাইডার আসে কিন্তু রাইডারে গেলে সময় লাগবে তাই তোমাকে একটা সিএনজি নিয়া দিয়ে আমি অফিসে যাব।
কিছুক্ষণ পরে চড়া দামে একটা সিএনজি নিয়ে দিল জয়াকে জয়া একা সিএনজিতে যাচ্ছে তখন সকাল নয়টা বেজে গেছে ।
জয়া চোখের পানি মুছতে মুছতে রওয়ানা হল.।.।.।.।.।।।
আর পারছি না লিখতে। নতুন তো তাই ... বলবেন সিনিয়র ভাইরা কেমন হইছে এভাবে চালাইতে পারব কিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




