ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার নুরুমিয়া রাজাকারের পূত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই মোশারফ রাজাকার এটা নিয়ে যথেষ্ট কথা চালাচালি হয়েছে। কথাটি সত্য না অসত্য সেটা আজও প্রমান হয়নি। মোটামুটি বলা চলে দেশে এখন রাজাকারের ফাঁসির একটা ধুম পাড়ে গেছে। আমিও চাই যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হোক কিন্তু সেটা নিরপেক্ষ হোক। কেউ থাকবে ফাঁসির দঁড়িতে কেউ থাকবে আলিশান বাড়িতে তা কেন??? সবার প্রতি একই আচারন হোক।
মোশারফ যে রাজাকার ছিল না তার প্রমান না পাওয়া গেলেও রাজাকার ছিল তার যথেষ্ট প্রমান পাওয়া যায়। ফরিদপুরের রাজাকারদের লিস্ট "(ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস) নামে একটা বই আছে। পাবলিক লাইব্রেরীতে খুজলে পাওয়া যেতে পারে। সেখানে রাজাকারদের ভিতর তাকেও খুজে পাওয়া যাবে।
মোশারফ স্বাধিনতা বিরোধী ছিলেন। এই জন্য ওয়াজেদ মিয়া চাননি সেখানে মেয়ের বিয়ে দিতে এমন প্রমানও পাওয়া যায় কিছু কিছু যায়গাতে। এমন কি কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন “ রাজাকার হলেও উনার বেয়াই যুদ্ধাপরাধী নয়”। এটাও কি একটা প্রমান নয় যে সে রাজাকার ছিল???
প্রধানমন্ত্রীর বেয়ায়কে নিয়ে কম কানাঘুষা হয়নি। যদি সে রাজাকার না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন সত্য উন্মোচন করছে না?? সত্য মিথ্যা জাতির কাছে আজ তো তার জানানো উচিৎ এবং এটা তার দায়িত্ব বলেও আমি মনে করি।
এছাড়া শেখ সেলিমের বেয়ায় নুলা মুসা, মহিউদ্দিন খান আলমগীর সহ সরকারী দলে লুকিয়ে থাকা আরো অনেকে বিরুদ্ধে রাজাকার আছে বলে সাধারন মানুষের দাবী সেগুলো কেন উন্মোচন হয়না??? অনেকে বলে আওয়ামী লীগ করলেই মুক্তিযোদ্ধা আর আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করলেই রাজাকার। কথাটি সত্য না মিথ্যা এগুলো প্রমান করলেই তো সাধারন মানুষ মনে আর সন্ধেহ থাকে না। একমাত্র জামাত আর বিএনপির ভিতর যদি রাজাকার থাকে তাহলে আমি বলবো সরকার নিজ স্বার্থ সিদ্ধ করার জন্য নিরপেক্ষ রুপ নিচ্ছেনা বরং সরকার তার স্বার্থর জন্য কখনো জুডিসিয়াল কিলিং করতে কোন দ্বিধাবোধ করবে না???
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪