ঘটনাটি আমার যশোরে ঘটেছে। তাই কষ্টও একটু বেশি লাগলো।
যশোরের ছেলে আবু সাঈদ। পুলিশ ধরে নিয়ে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় দুই টেবিলের মধ্যে গাছের মোটা ডাল দুই পা ও দুই হাতের ভিতর দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। যদিও পরে তার আত্বীয়স্বজনেরা ৫০,০০০/= টাকা ঘুষ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশি নির্যাতনের সামান্য কয়টা ছবি বা ভিডিও ফাঁস হয় আর সেগুলো দেখে আমরা শিউরে উঠি। আর ধামা চাঁপা পড়ে আছে অসংখ্য ঘটনা। চোখে দেখা নির্যাতনের কোন বিচার হয় না আর না দেখা নির্যাতনের কথা কি বলেবে??? নিশ্চয় শাহ আলী থানার চা দোকানদার বাবুল মাতুব্বরের কথা ভুলে যায় নি। পুলিশের চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশের দেওয়া কেরোসিনে আগুনে পুড়ে মারা যায় বাবুল মাতুব্বর। আজও তার কোন বিচার হয়েছে এমন কথা শোনা যায় নি।
পুলিশের গ্রেফতার ও ঘুষের বানিজ্যের রমরমা ব্যবসা চলছে। পুলিশ জনগনের বন্ধু হওয়ার কথা আর আজ জনগন তাদের থেকে দুরে দুরে থাকে। দিন দিন তাদের হিংস্ররুপ আরও কঠিন থেকে কঠিন রুপ নিচ্ছে। এদের থামানোরও কেউ নেই। একচটিয়া রাজত্ব তাদের। মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০