আজ আবরার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ!!!
আপনি বুয়েটে পড়েন বা পড়েছেন?? বা কোন আত্নীয়, চেনা জানা পাড়া প্রতিবেশী কেউ বুয়েটে পড়ে এমন কাউকে চিনেন?? যদি চিনে থাকেন তাহলে বুঝতে সহজ হবে। দেশের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ বুয়েটের মত জায়গায় কেমন ছাত্র সুযোগ পাই। কত মেধাবী বা পরিশ্রম করা লাগে বুয়েটের শিক্ষার্থী হওয়ার জন্য। মেধাবী আর পরিশ্রম করা ছাত্ররা তো আজও কলম হাতে চোখে চশমা পরে ভদ্র ছেলেদের মত লেখাপড়া করার কথা। তারা হত্যা করার মত দু:সাহস পেল কেমন করে? বহিষ্কার হলো কেন?
ছাত্ররা মিলে তার সহপাঠীকে হত্যা করেছে এটা একটা চরম অন্যায়। তাদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে, কঠিন শাস্তি। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি একবারও, যারা হত্যা করলো তারা সকলেই মেধাবী ছাত্র। হয়তো ২৬ জনের ভিতর বড়জোর ২-৩ জন ছোটবেলা থেকে ডানপিঠে বেহাড়া ছিল। ২৬ জনই ডানপিঠে বেহাড়া ছিল এটা আপনি বিশ্বাস করবেন?? তারা এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করলো ভালভাবে তারপর স্বপ্নের বুয়েট। বুয়েটে আসার পরে কি এমন আলাদিনের চেরাগ বা মিরাকেল পেল যে তারা র্যাগিং থেকে শুরু করে হত্যার মত বড় অপরাধ করা শুরু করলো?? কে বা কারা তাদের এই চেরাগ নামের শক্তি বা সাহস দিলো? কারা এমন অপরাধের ভিতর প্রবেশ করালো? তাদের শাস্তি পাওয়া দরকার নেই?
আজ তাদের সাহসে মেধাবী ছাত্র গুলো হত্যা করলো, বহিষ্কার হলো ও আগামীতে বড় শাস্তি হবে। ২৬টা স্বপ্ন নষ্ট হলো। যার বেশির ভাগ ছাত্র দেশের উত্তরঞ্চলের। অনেকের বাবা হয়তো দিন মজুর। ঐ বাবার কথা ভাবুন তো!! হয়তো তারা এই চেরাগের ভিতর না ঢুকলে নিজের পরিবার সহ নিজ এলাকারও কিছু উন্নয়নের কাজে আসতো। আর সেই আশা স্বপ্ন ভঙ্গকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাবে, যারা আবরার হত্যাকারী তৈরী করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের শাস্তি হয় না, তাদের হাতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে এমন হত্যাকারী। তাদের আরও বড় শাস্তি হওয়া উচিৎ। কিন্তু তা হবে না, তা সম্ভব না!!!
স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রাসেল, এহতেশামুল রাব্বী তানিম, খন্দকার তাবখখারুল ইসলাম তানভীর, মুনতাসির আল জেমি, এএসএম নাজমুস সাদাত, মো. শামীম বিল্লাহ, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মুজতবা রাফিদ, মিজানুর রহমান, আশিকুল ইসলাম, এসএম মাহমুদ, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মাজেদুর রহমান, মো. শামসুল আরেফিন, মোয়াজ আবু হোরাইরা, মো. আকাশ হোসেন, মো. মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ও মুহতাসিম ফুয়াদ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮