
চাকুরী নই সৃজনশীল কর্মসংস্থানই পারে একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কিছু দিন আগে দেখি আমাদের লেখক জাফর ইকবাল একটি সেমিনারে শিক্ষার্থীদের বলছেন “চাকুরি না পেয়ে বিয়ে করবে না”। কথাটি শুনে আমার কাছে খুবই অবাক লাগলো। উনার মত বুদ্ধিমান লেখক চাকুরির পরামর্শ না দিয়ে তো বলতে পারতেন “আগে কর্মসংস্থান পরে বিয়ে”। যদিও এখানে উনাকে দোষারোপ করার কোন সুযোগ নেই কারন সর্বোস্তরে আমাদের ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার শেষ পরিনতি একটি চাকুরিকেই বোঝানে হয়।
বাঙালি জাতি নানা দিকে ভুল পথে চলছে এবং এগোচ্ছে। এখনই সময় সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া। সঠিক কর্মসংস্থানের অভাবে সমস্ত জাতি খোড়া জাতিতে পরিনত হতে যাচ্ছে। গোটা কয়েক মানুষ কর্মসংস্থান তৈরি করলেও সেটি যথেষ্ট নয় আমাদের জন্য। তাই আমাদের অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা সকল স্তরে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে চাকুরির থেকে সৃজনশীল কর্মসংস্থান গোটা জাতির জন্য কল্যাণকর। এককথায় সকল জাতির মানসিকতা পরিবর্তন করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনেকে মনে করেন ব্লগারেরা বর্তমানে ১ম স্তরের জেনারেশন। আমার কাছে মনে হয় ব্লগারেরা যথেষ্ট সচেতন কিন্তু ১ম স্তরের জেনারেশন নই। যারা সৃষ্টিশীলে ব্যস্ত তারা ব্লগ ম্লগ নিয়ে মাথা ঘামায় না মনে হয়। তাদের কাছে নিজের কাজের গুরুত্ব অনেক। প্রতিটা মুহুর্তে নিজের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সাথে তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে নিজ পরিবার, সমাজ, গোটা জাতি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।
নিজে কিছু সৃষ্টি করা বা তৈরি করার মত আনন্দ আর নেই। জাপান চীন তাদের সৃজনশীলতার ভিতর দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা পিছিয়ে আছি মানসিকতা পরিবর্তনের অভাবে। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কোন কাজকে ছোট করে না দেখে সকল কাজের প্রতি সন্মান দেখিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। বাঙালি জাতি চাকুরি নামক বেড়াজল থেকে বের হয়ে সৃজনশীল কর্মসংস্থানে চিন্তা ভাবনা না করলে বা সৃজনশীল কর্মসংস্থানের মানসিকতা তৈরি না করলে সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




