লক্ষ্য করে আসছি, প্রবাসে সফল বাংলাদেশী বংশোদ্ভুতদের নিয়ে গর্বে বুক ফুলিয়ে উচ্ছ্বাসের আমেজ বইছে।দুঃখিত,উচ্ছ্বাসকে মাটি করতে আমার এই লিখা।কেনিয়ান বংশোদ্ভূত বারাক ওবামাকে ঘিরে আমাদের মত,খুব সম্ভবত কেনিয়ার মানুষও ৮ বছর আগ থেকে মনের আকাশে স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়ায়।আমাদের মত তাদের মধ্যে হয়ত উজ্জ্বল সম্ভাবনা উকি মেরেছিল ''যেহেতু তার বাবার বাড়ী কেনিয়া তাই যদি কেনিয়ার জন্য কিছু একটা করেন''।কেনিয়ার উন্নতিতে ওবামার কোন খবর না পাওয়া গেলেও মেয়াদ শেষের দিকে পররাষ্ট্রনিতীর ভাষায় উত্তর আফ্রিকায় ''গুরত্বহীন'' সফরে কেনিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করেন।লেবার পার্টির নেতা জেরোমি করবিন অবিভাসন বিরোধী অতি-জাতীয়তাবাদী ইউকিপ,রক্ষণশীলদের স্পষ্ট ভাষায় বলেন ''ব্রিটেনের অভিবাসীরা গর্বিত ব্রিটিশ, তারা ব্রিটেনের জন্য অনেক করেছেন''।
নেটিভ আমেরিকানদের নির্মূল আর কালোদের দাসত্বের উপর ইউরোপিয়ান স্যাটেলাররা আমেরিকা কবজা করে।আমেরিকার দুই ট্রেডমার্ক NASA,CIA হিটলারের নাজি জিনিয়াসদের তৈরি।চরম শত্রু হিটলারের বিপক্ষে আমেরিকা ২য় বিশ্বযুদ্ধে অনেক ত্যাগ স্বিকার করলেও হিটলারের ট্যালেন্টদের ব্যবহারে আমেরিকা ভূল করেনি।অনেকটা,যেভাবে বদরের যুদ্ধে নবী মোহাম্মদ সাঃ যুদ্ধ বন্ধীদের নিজের পক্ষে কাজে লাগিয়েছিলেন। কেবল ক্রিকেটে প্রতিভার বিকাশের সুযোগ করে দেয়া রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব না বরং সকল নাগরিকদের ধর্মের সাথে বর্ণ ''পাহাড়ী'' ''বিহারী গাদ্দার'' বাছ-বিচার না করে প্রতিভার বিকাশের সুযোগ করে দেয়া।প্রতিভা বিকাশের সুযোগের কারণে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সেই কিশোর বয়সেই নিজ দেশের ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন ছেড়ে ম্যানইঊতে পাড়ি জমান।কম-বেশী একই কারণে বাংলাদেশীরাও প্রবাসে পাড়ি জমান।
দেশপ্রেম বিষয়টা পারিপার্শ্বের সাপেক্ষে আপেক্ষিক।এই সেকেন্ড জেনারেশন ঢাকাইয়াদের কথা ধরুণ।তাদের অনেকের নিজ জেলার প্রতি হৃদয়ে দুর্বল যায়গা থাকলেও তারা সেখানে বড়জোর বেড়াতে যেতে পারেন। কিন্তু, ঢাকা সুজোগ-সুবিধা ত্যাগ করে এলাকার মানুষের সমস্যা,হাসি-আনন্দের সাথে একাত্ব হয়ে বসবাস করতে পারেন না।কারণ,তারা ঢাকার অলি-গলি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বড় হয়েছেন।একই কথা খাটে যারা প্রবাসের তুলনামূলক বেশী সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বড় হয়েছেন।তারা স্বভাবতই জেরমি করবিন যা বলেছেন প্রবাসের প্রতিই অনুগত থাকবেন।তাই আমদের অধিকতর মনোনিবেশ করতে হবে,রাষ্ট্র যেন আমাদের সকলের অধিকার প্রতিভার বিকাশের সুযোগ করে দেয়।