''সারাই আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সারা।আমি সারাকেই সবচেয়ে বেশী ভালোবাসী।আমি যখন অন্ধকার রুমে নামজের সময় আল্লাহর দরবারে হাত পাতি তখন আমি আল্লাহর কাছে আর্জি করি তিনি যেন তাঁর দয়ার উসিলায় সারাকে শহীদের অন্তর্ভুক্ত করেন।সে আমার সন্তানদের বড় করার জন্য সর্বোচ্চ করেছে।বিয়ের পর আমি তার কাছ থেকে খারাপ কিছু পাইনি''। - সারার স্বামী সামার।সারা মানে রাজকণ্যা।সারা নামের এক মা,স্ত্রী বসবাস করতেন দায়েশের রাজধানী সিরিয়ার রাক্কায়।এক দায়েশ সদস্যের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি সত্যিই সারাদের মত বিশেষ হয়ে যান।
মৃতুর কয়েক মাস পূর্বে, আবু আল মুথনা আল ইরাকি নামের এক দায়েশ তার পেছনে ঘুরঘুর করা শুরু করে।আল ইরাকির বাড়ি ইরাক। সারাকে অবিবাহিত মনে করে আল ইরাকি বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। সামার এতে মনঃক্ষুন্ন হন। ইরাকির বিরুদ্ধে দায়েশের কাছে নালিশ করেন সামার।সামার আল ইরাকিকে তিনি শাসানও।
নালিশের পর আল ইয়ারকির অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেল।পরিস্থিতী আরও খারাপ হতে লাগল সারার পরিবারের জন্য। সিগারেট টানার অপরাধে সারার পুত্রকে চবুকপেটা আর গালাগাল করে আল ইরাকি।প্রতিবেশীদের দ্বি-মত সত্ত্বেও চোরাচালানের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার সারার ঘর গুড়িয়ে দেবার চেষ্ঠা করে আল ইরাকি।
ইরাকির হয়রানি চলতে থাকল।সামার দায়েশের বিচারকের কাছে জান।বিচারক আল ইরাকীকে অশ্লীল আচরণের দায় জরিমানা করে। এরমধ্যে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আসাদ বাহিনী রাক্কায় নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করলে সামার সন্তানদের নিরাপদ স্থান আলেপ্পয় পাঠিয়ে দেন।সারার ব্যাপারে আদালতের শেষ ফয়সালা কী হয় তা দেখার জন্য সামার রাক্কায় থেকে জান।
মাঝখনে সমার সারার কোন খবর পেলেন না।একদিন অপর দায়েশ সদস্যা সামারকে জানান নভেম্বরের ৪ তারিখ সারা দায়েশের কারাগারে মৃত্যুবরণ করে।কারাগারে সারাকে নগ্ন করে চাবুক দিয়ে পেটানো হয়।তার এক সাপ্তাহ পর ২৮ বছর বয়সে সারা হার্ট এট্যাকে মারা যায়।
দায়েশ সারার লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করে।সারা শেষ ঠিকানা হয় রাক্কার এক কবরস্থান।
-আল জাজিরা থেকে
আমার প্রতিক্রিয়াঃআমি মানুষ।লেখার সময় আবেগ ধরে রাখি নাই।আপনারা যারা দায়েশকে লক্ষ্য করে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের বোমা হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমা বিশ্বকে গালমন্দ করে আকাশ-বাতাস এক করেন, তারা দয়া করে দু'বার ভাববেন।এটাই দায়েশের নরপশুদের ''ন্যায়'' বিচার প্রতিষ্ঠা।আর আপানারা যারা দায়েশ সমর্থক আছেন,আপনারা যদি মুনাফিক না হন তাহলে আপনাদের মা-বোনকে দায়েশের যৌন খদমতে প্রেরণ করতে এক চুল পরিমাণ দ্বিধাবোধ করবেন না।সারাদের ভালোবাসার শক্তির কাছে নরপশুদের পরাজয় হতেই থাকবে,ইনশাল্লাহ।হে আল্লাহ জাহান্নামের কুকুর খারেজী দায়েশের নরপশুদের জাহান্নামের শান্তিতে রাখুন