উত্তরের বাতাসের মত
হুহু করে দুঃখেরা নেমে আসে
এইসব জোছনাসিক্ত রাতে!
কত নামের, কত ঢঙের,
কত অজুহাত, অভিযোগ
আর আফসোসে নিংড়ানো দুঃখ!
সব দুঃখই না পাওয়ার,
তার মাঝে আরো করুণ,
আরো গহীন ভারাক্রান্ত দুঃখ আমার এক-
তোমারে পেয়েছিলাম ক্ষণিকের তরে!
বেনিয়া সাম্রাজ্যে বুর্জোয়া বণিকের তাসে
রাজা রাণী রেখে কখনও জোকার হাসে,
কত হরতন কাটা পড়ে যায় রুইতনের ধারে-
লালে লালে মাখামাখি হয়,
ইশকাপনের নকশা ঘষে
ভেজে না খসখসে নিষ্কাম চিড়ে
তার মন খণ্ডিত পড়ে রয় আরো একান্ন বিশ্বাসে,
মাঝখানে গোলামেরা জয়ী হয়ে যায়!
আমি কুয়াশা ঠেলে দৃষ্টি এগিয়ে দিয়ে দেখি
রেলিঙে জবুথবু হয়ে বসা একটি দাঁড়কাক,
চোখে তার জোছনার তীর্যক আলো
সেঁটে দিয়েছে জলের শুষ্ক ক্রন্দন!
জানতে ইচ্ছে হল- তুমি কেন ঘরে ফিরছ না!
কিছু বলার আগেই পাখিটি ডানা মেলে দেখালো
দুঃখ বইতে না চাইলে এভাবেই উড়াল দিতে হয়!
অতঃপর কাকটা উড়ে গেল,
অথচ রাস্তায় তখন রক্তের স্রোত বইছে,
ঘুমন্ত নাইটগার্ড চোখ বুজে আছে!
সে তো জানে না, শিশিরের কপালে
সিঁদুরের রং কেমন অযাচিত ক্ষতের মতন ঠেকে!