১
আলীগকে শুধু ভোট দেইনি। অন্যদেরও বলেছি। যেন নৌকায় ভোট দেয়। শুধু একটি কারণে। হাওয়া ভবনের ভয়। আমরা কোনভাবে চাইনি আরেকটি হাওয়া ভবন তৈরি হোক। এও জানি যে সহসা সামাজিক কাঠামোর কোন পরিবর্তন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সুতরাং হাওয়া ভবন থেকে নিস্তার পেতে অন্য অনেকের মতো আমিও নৌকায় ভোট দিয়েছি। এটি যতটানা আলীগকে পছন্দ করে তার চেয়ে বিএনপিকে অপছন্দ করে। জনগণ আসলে আলীগকে ভোট দেয়নি। ভোট দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে। হাওয়া ভাবনের বিরুদ্ধে। আশা করেছিলাম যে, এবারের সরকার অন্যরকম হবে। প্রথম দিকে সেরকম মনেও হয়েছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে যেন সব ফিকে হয়ে যাচ্ছে............................।
এ মাত্র দেশ টিভিতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে দেখলাম সরকার বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টমেন্টের বাড়ি বরাদ্দ বাতিল করেছে। কয়েকদিন আগে এ নিয়ে সংসদে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও দেখেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন ভাবে সমর্থন করি না যে খালেদা জিয়া একটি সেনা অধ্যুসিত এলাকায় থেকে জনগণের নেত্রী হিসেবে রাজনীতি করবেন। এটি কাম্য নয়। কিন্তু এ বোধটি তার নিজের থেকে তৈরি হতে হবে। এটি জোর করার বিষয় নয়। অন্তত এ পরিস্থিতিতে। এবং আমার মনে হয় শেষ পর্যন্ত সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সিদ্ধান্ত পাল্টাবে।
.................................................................................................
তাহলে মন্ত্রী পরিষদ কেন এ সিদ্ধান্ত নিল। যে ভাবে সিদ্ধান্তটি নেয়া হলো সেটি আমার কাছে ডিসেন্ট মনে হয়নি। এ নিয়ে যে সারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে, সেটি নিশ্চিত বলা যায়। বিএনপি হয়তো হরতালও দেবে। আর সাধারণ মানুষও এটাকে কোন ভাবে ভাল চোখে দেখবে না। সরকারের এ রকম একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপির দুঃশাসনগুলো ভুলে যেতে থাকবে। সারা দেশে যদি এ নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয় এ মুহুর্তে সবচেয়ে লাভবান হবে জামাত। যুদ্দাপরাধাদের ইস্যুতে যখন তারা কোনঠাসা হয়ে উঠেছে, তখন সরকার এ রকম একটি সিদ্ধান্ত কেন নিল। তাহলে মন্ত্রী পরিষদ এর ভেতরের কেউ কি চাইছে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি আন্দোলনে নামুক। যাতে সরকারের জন্য একটি নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে কারণে সরকার আর যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে মনোযোগ না দিতে পারে.......................................।
আমার মনে হয় শর্ষের ভেতর ভুত আছে কিনা সেটি দেখাও এখন সরকারের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। এ রকম সিদ্ধান্ত নিতে সরকার প্ররোচিত করে কেউ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় কিনা এ ব্যাপারে সরকারের সতর্ক এখনই না হলে যে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এটি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য খুব ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ব। আলীগ ব্যর্থ হলে এ মূহুর্তে কারও জন্যই কোন সুসংবাদ নেই। দুঃসংবাদ ছাড়া। এটি বিএনপির জন্যও সত্যি। সুতরাং এ রকম ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের পিছিয়ে আসাই যৌক্তিক আচরণ হবে।