খতিবের হাত থেকে মাইক নিয়ে যে কথা বলা যায় না তা কিন্তু টাইপ করা ঠিকই যায়। কলমের শক্তি তো সেখানেই। খতিবের সামনে শুধু বিশ্বাসীদের সমাবেশ। সেখানে অবিশ্বাসের পক্ষে প্রচারণাই বরং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া। যুক্তিতর্ক সেখানেই করা যায় যেখানে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সকলের সমাবেশ ঘটে। যুঞ্চিক্তর লেখাগুলো পড়েছি। যুক্তিতে ফাঁক হয়তো ছিল। সেটা নিয়ে সন্ধ্যাবাতি তর্কও করে যাচ্ছিল। যুক্তিতে ফাঁক থাকলে তাকে যুক্তিতেই পরাজিত করা যেতে পারে। যখনই কোন এক পক্ষের কণ্ঠরোধ করা হয় তখনই কিন্তু ছোট ভাই পুল লাড়া দিতে চায়। তখন ছাতুতে থুতু-শ্লেষ্মা মিশতে শুরু করে।
ভাষা প্রয়োগে বিভিন্নতা না থাকলে পৃথিবীতে একাধিক লেখকের আবির্ভাব হতো না। যুঞ্চিক্ত যে ভাষায় লিখেছে সেটা জীবন্ত লোকায়ত ভাষা। তাতে কোন অ্যাকাডেমিক মুখোশ নেই। তার রিজনিং নিয়ে কিছু বলবো না। লেখার প্রস্তাবনা প্রমাণের দায় লেখকের। তাতে তর্কই একমাত্র পথ। লেখালেখির জায়গা গুলো জন্মের শর্তানুসারেই অ্যাকাডেমিক। তাই নৃবিজ্ঞান বা সমাজতত্ত্বের সেমিনারে যা আলোচিত হতে পারে তা পৃথিবীর সব লেখালেখির প্লাটফর্মেই রাষ্ট্রের আইনের তোয়াক্কা না করে অনুমোদিত। যখনই সেখানে তলোয়ার চলে তখনই প্রতিবাদ আসে। আসবেই।
যুঞ্চিক্তর পোস্টে কোথাও পর্ণগ্রাফি দেখিনি। সে তার মতো যুক্তি সাজিয়ে একটা প্রস্তাবনা পেশ করেছে। সেখানে তর্ক চলতে পারতো। যেমন চলেছে সাদিকের পুরনো পোস্টগুলিতে। সেখানে ভাষার ব্যবহার অন্যরকম ছিল ঠিক। কিন্তু তাতে বক্তব্য বদলায় নি। সেখানে মন্তব্যের বপু যুক্তির পোস্টের মন্তব্যের তুলনায় কম ছিল না। যুঞ্চিক্তর পোস্ট কারো বিশ্বাসে আঘাত করে থাকলে বলবো সাদিকের পোস্ট,পিয়াল ভাই এর পোস্ট এবং আমার নিজের বহু পোস্টও ভিন্নমতকে আহত করতে পারে। মতপ্রকাশেই ভিন্নমত চ্যালেঞ্জে পড়ে। থকন ভিন্নমতকে ডিফেন্ডে আসতে দিতে হয়। বিতর্ক চলতে দিতে হয়। মু্ছে দিলেই বিষয়টাতে রেফারির পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ পায়। তাতে ব্লগের সন্মান বাড়ে না।
আলোচিত ব্লগ
বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।