somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কমেডি নাকি ট্রাজেডি (পর্ব — ২) !!!!!!!!

২২ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এলাকার এক বন্ধু আছে, বড়ই খাসরা টাইপX(। মানে হইল, এলাকায় কিছু একটা হইলে আয় ওরে মারি, ওইখানে যাই ,এই করি, সেই করি। ঘটনা হল, সে যেখানেই যায়,মাইর খেয়ে ফেরত আসে:P। তো, কী এক সুমতি অথবা দুর্মতিতে তার বাবা তাকে একটা বাইক কিনে দিল। পুরা সেইরম। দারুন জিনিস। গত ৩ বছর সে মাইর খেয়ে হাতে পায়ে যত না দাগ ফেলসে, শরীরে তার চেয়ে বেশি দাগ গত ৩ মাসে, বাইক থেকে পড়ে পড়ে।B-)


যাই হোক, আমার ইন্টার পরীক্ষার ২ মাস বাকি তখন। আর ও বাইক কিনেছে নতুন। আমি উঠতে চাইনা, তবু আমাকে জোর করে উঠালো। মিরপুর ১০ থেকে আগারগাঁও যাচ্ছি, বড়ো খোলা রোড, দারুণ বাতাস। চান্স পায়া দোস্ত চোখ কান বন্ধ রেখে চালাচ্ছে/:)। হঠাত দেখি, হুবহু একই বাইক, আমাদের সামনে। চালাচ্ছে মাঝবয়েসী এক ভদ্রলোক। আমি তাড়াতাড়ি ওকে দেখিয়ে বললাম, বন্ধু দেখ, তোমার বাইক, সেইম। দোস্ত দেখি পুরা চ্যাতা, বলে, “আমারটা মানে? ওই ব্যাটারটা ভুয়া আর পুরান, আমারটা নতুন আর আসল জিনিস। বল, আমারটা ভাল।” আমিও ভয়ে ভয়ে বললাম , হ্যা হ্যা তোরটাই ভাল/:)। অতক্ষণে বাইক চালানো পোলাপানের মনমানসিকতা সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ করে ফেলসি। কিন্তু, আমার বোঝার আরও বাকী ছিল:((। একটু পরে দেখি, ওই ভদ্রলোক আর আমার দোস্ত বাইক দিয়ে রেইস শুরু করে দিছে। আমি “ইয়া আল্লাহ” বলে ভয়ে চুপ মেরে গেলাম/:)। মনে মনে ভাবতেছি,এই শালার ত মাথা খারাপ, ত ওই ব্যাটার সমস্যা কী ? একটু পরে দেখি দুজনেরই চরম গতি। বিজয় সরণীতে তখন আমরা। আমি ভয়ে অনেক অনুরোধ করে বন্ধুকে রাজী করালাম এই রেইস ছাড়ার জন্য।হাতে পায়ে ধরসি আর কী !! তো সে গতি কমিয়ে ফেলল। দেখি সামনে ওই লোকও গতি কমিয়ে ফেলসে। আমরা আরও গতি কমালাম, ওই লোক যেন চলে যায়, দেখি, সে যায় না। মানে, সে এখনও রেইসে আগ্রহী।আমরা ডানে যাই, সেও সামনে ডানে সরে যায়, আমাদের সামনে যেতে দিবে না, আবার নিজেও চলে যাবে না। আমারও তখন জেদ চেপে গেলX((। এভাবে কিছুদূর সামনে এসে দেখি ট্রাফিক জ্যাম। আমরা রাস্তা বাদ দিয়ে, একটা হোটেলে বসলামB-) দুপুর হয়ে গেছে, ক্ষিধাও লাগসে। দেখি, ওই লোকও একই হোটেলে ঢুকল, আর তা আমাদেরকে দেখেই। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলX((। আমাদের পাশের টেবিলেই বসছে সে। হোটেলে ভাত খাওয়ার অভিজ্ঞতা নাই তেমন, কিন্তু আমার বন্ধু ভাত ছাড়া আর কিছু এই ভর-দুপুরে খাবে না। যাই হোক, অর্ডার দিলাম ভাত আর মুরগীর মাংস। বিল ত দোস্ত দিবেB-)। ওই ব্যাটাও আমাদের অর্ডার শুনে হুবহু তাই দিতে বলল। আমরা অর্ডার ডাবল করলাম(আগেই বলছে, বিল দিবে দোস্ত;)), সেও করল।



রাগে আমার মন তখন তেতো হয়ে গেছেX((। ঠিক করলাম, উনার আগে খেয়ে উঠব:P। কিন্তু সেও গোগ্রাসে খেতে লাগল। মানে, এইখানেও রেইস, সে আমাদের ছাড়বে না।X( এর পর আমার বন্ধু ডালের অর্ডার দিল। এক বাটি আনালাম। ২ই চুমুকে শেষ। আরেকবাটি ২ই চুমুকে এটাও শেষ। অতক্ষণে দেখি ওই লোকও ডাল অর্ডার করেছে। আমি আরো তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করলাম। আরো এক বাটি ডাল শেষ।B-)




একটু পরে দেখি ওই লোক চিল্লাইতেছে ওয়েটারের সাথে। মনে হল, ব্যাপার কী? দেখি আরো কিছু লোক তার সাথে যোগ দিছে, আমি ত অবাক। পরে শুনি, ডালে নাকি কীসের যেন গন্ধ!!! :((আর ওয়েটারও স্বীকার করসে। অতক্ষণে আমরা ৪ বাটি ডাল খেয়ে ফেলসি। :((:((


আমরা ঢেকুর তুলি, আর ঐ ব্যাটা ফাজিল, মুচকি মুচকি হাসে।।X(X(/:):((:((




এর ৩ ঘণ্টা পরে থেকে ডায়রিয়া।:-/:-/ ৫ দিন ঘরে বন্দী।

কষ্টের কথা নাই-ই বা বললাম।

এরপরে থেকে আর কখনও ওই বেকুবের বাইকে উঠি নাই।X((X((X((



আগের পর্ব দেখতে Click This Link


© আকাশ_পাগলা
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৪
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×