somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Despicable Me 2 - রিভিউ

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Despicable Me 2 দেখলাম, সিনেপ্লেক্সে ৩ডি তে।




১ম পার্ট এ ক্যারাকটার গুলো ডেভেলপ হয়েছিলো, সেই হিসেবে আগে দেখা থাকলে ভালো। তব এদেখা না থাকলেও ক্ষতি নেই। গ্রু - এক্স ভিলেইন (যে বর্তমানে স্নেহময়ী পালকপিতা ৩টা কিউট মেয়ের) এখন জেলির ব্যবসা করতেসে। কিন্তু এন্টি ভিলেইন লিগের দরকার হয়ে দাঁড়ায় তাকে। এজেন্ট লুসির চেষ্টায় সে শেষমেষ জয়েন করে। কিছু লোক সাসপেক্ট, এদের মধ্যে কেউ একজন ভিলেইন। তাদের থেকে গ্রু কে বলতে হবে যে কে সেই ! যেহেতু ও আগে ভিলেইন ছিলো, তাই বলতে পারবে হয়ত। গ্রু গেলো, সবাইকে দেখলো। শেষ, সে বুঝে গেলো যে অমুক তমুক ভিলেইন না। কিন্তু কিভাবে?
সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে মুভিটা দেখে নিজে চেষ্টা করতে পারেন। আমি এখনও চেষ্টাই করতাসি। পেলামনা এনসার।

দেখার অনুভূতি হলো - মোটামুটির একটু নিচে। শুরুর দিকে বোর হয়ে যাচ্ছিলাম। মূল কাহিনীর সাথে এত ফালতু এক্ট, খুব প্যারা লাগতেসিলো। মূল কাহিনীর ত ১টা বিন্দু টুইস্ট নাই। তবে আশেপাশের বাড়তি এক্টস মুভিটাকে টেনে নিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত।

** এনিমেটেড মুভি দর্শকদের স্টার অভিনেতা নেত্রী, সেক্সি মেয়ে দিয়ে টানতে পারে না। এই মুভিগুলা টেনে রাখে অসাধারণ ভিজুয়াল ইম্প্রেশান, সুন্দর প্লট, আনকমন কাহিনী, ফানি ডায়লগ দিয়ে। ফানি ডায়লগ ছাড়া এই মুভিতে আর কিছুই ছিলো না।

১) গ্রু ভিলেনকে খুঁজে বের করসে কারণ সে আগে একে দেখসে কোন এককালে। আর এমনি এমনি বুঝছে যে অমুক তমুক আসলে ভিলেন না। এখানে বুদ্ধির কোন ছাপ নাই,মূল কাহিনীর কোন টুইস্ট নাই।

২) এজেন্ট লুইস দেখতে সুন্দর না। এনিমেটেড ক্যারাকটার তাও লিড নাইকা যদি দেখতে পাপাই এর অলিভের মত হয়, আর পুরো মুভি জুড়ে ঢং করে তাহলে ধৈর্যে কুলায় না। ব্যাপক বিরক্ত আমি। শুধু তার ঢং আর ঢং।

৩) বেশ কিছু ফানি জায়গা আছে। ফানি ভিজুয়াল ইমপ্রেশান আছে। কিন্তু ওভারল ভিজুয়াল ইম্প্রেশানটা বোরিং। চিকন চিকন পা, বড়ো মাথা নাকের শরীর, কুৎসিত লোম অলা শরীর, বোরিং কস্টিউম - এসবই কী এনিমেশনকে চাইল্ডিশ করার জন্যে করা? নাকি ফানি করার জন্যে করা? যেই জন্যেই হোক নিঃসন্দেহে ব্যর্থ। পুরোপুরি ব্যর্থ। বাচ্চাদের, টিনএইজদের অনেক কমডি আছে যেখানে এধরণের ড্রয়িং লাগে না।
আমি প্রচুর এনিমেশান দেখি, শুধু হলিউড না। জাপান, ব্রাজিল, ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশের। শুধু হলিউডেই এইসব ফাজলামি দেখা যায়।

৪) ভিলেইনটা ক্যানো ভিলেইন ? মানে এত কিছু ও ক্যান করে? কখনই ওকে ভিলেন লাগে নাই।

৫) শেষে নায়িকাকে মারার জন্য এত রকেট মকেট ম্যানেজ করে ক্যান? গুলি করলে কী হইত? ও না ভিলেইন ?

৬) ফানি ডায়লগ ছিলো। হাসছি অনেক খানে। তবে, বুদ্ধিদীপ্ত ডায়লগ ছিলো না।

৭) ফ্রেঞ্চ টোনে নায়ক গ্রু এর ইংলিশ বলানোর দরকারটা কী? বিরক্ত লাগে। শটিভ ক্যারেলকে দিয়ে করানোর দরকারটা কী? চরিত্রটার জন্মই হইসে এডাম স্যান্ডলারের জন্যে। ওর ভয়েসে অসাম মানাতো। আর এই টোন দেয়াটা আদৌ খুব দরকার হলে এন্টোনিও ব্যান্ডারাসকে টানতে পারত। পুসি (বিলাই) ইন বুটস এ ওকে দারুণ লাগসিলো।

৮ ) আর মিনিয়নস !! সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ মুভির। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আরোপিত ভাড়ামো করে গেছে। দুয়েকটা জায়গায় মজা পাইসি। তবে আরোপিত ভাঁড়ামো থেকে এরা বের হতে পারে নি।

কী মুভি ! প্লট কমন, নায়িকা ব্যর্থ, ভিলেইন ব্যর্থ, কাহিনী হালকা, থ্রিল নাই, কাউকে দেখেও আরাম লাগে না। শুধু কিছু ফানি ডায়লগ। শেষ। সিনেপ্লেক্সে দেখার মত না। তবে ঘরে বসে ডিভিডি রিপ দেখলে কোন মতে টাইম কাটবে।

ইদানীং দেখলাম এইটা নতুন হাইপ, মানুষের থেকে শুনে শুনে অনেকেই এনিমেশনের উদীয়মান ফ্যান। কিন্তু উনারা ঠিক বুঝেন না যে, এই এনিমেশন আর সেই এনিমেশন এক না! আমরা যেই এনিমেশনের ডাই হার্ড ফ্যান সেগুলো টিনএইজ থেকে ম্যাচিউর দের জন্য করা। জটিল কাহিনী, সেক্স, ভায়োলেন্সে ভরপুর। সে যাই হোক, নতুন হাইপের উপর ভর করে Despicable Me 2 অবভিয়াসলি ওভার রেটেড।
৯টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×