১ম পরব:
View this link
২পরব:
View this link
3পরব:
Click This Link
৪ পব:
৪)) বিকেলে জাহিদ সংসদ ভবনে।
- হ্যালো, কে বলছেন ?
- স্যার আমি মিজান বলছি, রংপুর থেকে।
- কি ব্যাপার, আপনার মোবাইল কি হয়েছে? বাহির থেকে ফোন করেছেন কেন?
- স্যার আমার মোবাইলে টাকা নেই।
- ঠিক আছে, কি হয়েছে বলুন?
- স্যার আগামি কাল তো এবি গ্র“পের সফটওয়ারের ডেমো দেখাতে হবে, উনারা তো আমাদের অফিসে আসবে।
- শুনুন, আমি তসলিম সাহেবকে সব কিছু বুঝে দিয়েছি, আপনারা প্রত্যেক টেবিলে আলাদা আলাদা ভাবে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে রিপোট বের কর দেখা দেবেন।
- ঠিক আছে স্যার ।ড়শ ংরৎ, নু.
- ঙশ ইু.
জাহিদের কেন যেন মনটা খুব খারাপ লাগছে, সাথে সাথে মেজাজটাও খারাপ হচ্ছে। এই মোবাইল সাথে থাকলে সব সময় মানুষ ছায়ার মত লেগে থাকে। আজকে শুক্রবার, তাও অফিস সাথে আছেই।
সংসদ ভবনের সামনের রাস্তা ধরে হাটছিলো জাহিদ। সূর্য্যটা পশ্চিমে হেলতে এখনও বেশ সময় লাগবে। সূর্য্যরে দ্বীপ্ত রশ্মি এসে জাহিদের মুখে পড়ছে। জাহিদ অপেক্ষা করতেছিলো রিমনের জন্যে, রিমন একটা বিয়ের পার্টিতে গেছে। জাহিদেরও খুব করে ধরেছিলো যাওয়ার জন্যে, ওর আবার কোন বিয়েতে যেতে বোরিং লাগে। রিমন একাই গেছে।
জাহিদ হাটতে হাটতে হঠাৎ একটা মোবাইল ফাস্টফুডের সামনে এসে বসল। কিছক্ষন পরে দোকানদারকে বলল, একটা চিকেন কর্ণস্যুপ দিতে, একটু থেমে দোকানদারের দিকে তাকিয়ে আবার বলল, স্রুপে একটু ঝাল বেশী দিবেন। কাঁচা মরিচের ঝাল।
- দোকানের মধ্যে বসে থাকা একজন জাহিদের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলল, ভাইজান এখনকার কাঁচামরিচের এুিতেই খুব ঝাল। বেশীদিলে খেতে পারবেন না।
- জাহিদ বিরক্ত হয়ে উঠে দাড়িয়ে লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল, আপনাকে যা বলছি চুপচাপ তাই করেন।
- লোকটা দোকান থেকে বাইরে এসে জাহিদের সামনে দাড়িয়ে বলল, ছোরি ভাই, আপনে বসেন আমি বানাই দিতাছি।
জাহিদ আবার আগের জায়গাতে গিয়ে বসল। পা-দুটো সামনের দিকে ছরিয়ে আরাম করে বসল। মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে গেম খেলতে শুরু করল। দশ থেকে বারো মিনিটের মধ্যে একটা প্লাষ্টিকের (ড়হব ঃরসব মষধংং) গ্লাসে স্যুপ এবং সাথে একটা প্লাষ্টিকের চামুচ হাতে একটা ছোট ছেলে জাহিদের সামনে দাড়াল।
জাহিদ মোবাইল থেকে চোখ তুলে ছেলেটির দিকে তাকাল,ছেলেটির চোখে-মুখে কেমন বিরক্তি ভাব, ছেলেটি বিরক্তি ভাব নিয়ে কষ্ট করে হাসবার ব্যর্থ চেষ্টা করে গ্লাসটি জাহিদের দিকে দিয়ে আস্তে করে বলল, ন্যান।
জাহিদ ছেলেটির দিকে হাত বাড়িয়ে গ্লাসটি নিল। স্যুপসহ গ্লাসটি বেশ গড়ম। গ্লাসটি পাশে রেখে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, স্যুপের দাম কত ?
- ছার বিশ ট্যাকা।
- ঠিক আছে, তুই যা।
- ছার খাওন শ্যাসে গেরাসটা আমারে দিয়েন।
- আচ্ছা দেব, খাওয়া শেষ হোক, তারপরে আসিস।
ছেলেটি একবার জাহিদের মুখের দিকে তাকাল তারপর দোকানের দিকে চলে গেল।
এই দেশে বিশ টাকা হলে স্যুপ খাওয়া যায়, তাও আবার চিকেন কর্ণ স্যুপ। দোকানের নামটাও বেশ ”ইয়ান তুন খাই যান”, প্রথমত মনে হচ্ছিল এটা কোন চাইনিজ নাম। কিন্তু এটা তো নোয়াখালি বা কুমিল্লার ভাষা।
স্যুপে চুমুক দিবে এমন সময় মোবাইল বেজে উঠল,জাহিদ মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে দেখল রিমন ফোন করেছে, রিসিভ করে কানে ধরল, ওপাশ থেকে রিমন বলল,
- তুমি কোথায়?
- আগে বলো তুমি কোথায়?
- আমি কাঁকরাইলে।
- এখনও তোমাদের পার্টি শেষ হয় নাই?
- পার্টি শেষ হয়েছে, আমি রাস্তায়, গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি।
- গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই, ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে সোজা সংসদ ভবনে চলে আস।
- ঠিক আছে ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে আসছি, কিন্তু তুমি সংসদ ভবনের কোথায়?
- আমি ঐ একটা ফাষ্টফুডের দোকান নাম ”ইয়ান তুন খাই যান” এর সামনে আছি। সংসদ ভবনে পৌছে আমাকে একটা ফোন কর।
- ঠিক আছে, নু
- ড়শ, নু.
জাহিদ এখন আরাম করে স্যুপ খাচ্ছে। গ্লাস থেকে চামুচ দিয়ে তুলে তুলে খাচ্ছে। কিন্তু স্যুপটা বেশ গরম। গরম জিনিস জাহিদ খেতে পারে না। এমনকি চা খেতেও ওর বেশ সময় লাগে। গরমের সাথে স্যুপটা বেশ ঝালও হয়েছে। জাহিদের নাক-কান লাল হয়ে গেছে, নাক দিয়ে একটু একটু পানি পড়ছে, মনে হচ্ছে সর্দিটা সেরে যাবে। ঝাঁল হচ্ছে সর্দির আসল ঔষধ, কারো সর্দি লাগলে গরুর মাংসের সাথে গোটা তিনেক কাঁচা মরিচ দিয়ে গরম ভাত খেতে পারলে সর্দি নিপাত। ঝালের জন্য স্যুপের মধ্যে থেকে মরিচ ফেলে ফেলে খেতে হচ্ছে। মরিচ বেছে খেতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। মরিচের টুকরা নিচে ফেলতেই দোকানের ঐ লোকটার দিকে জাহিদের চোখ পরতেই লোকটা হেসে ফেলল।
খাওয়া প্রায় শেষের দিকে ।কিন্তু আশে পাশে ছেলেটাকে দেখা যাচ্ছে না। ছেলেটাকেতো খাওয়া শেষ হলে গ্লাসটা দেওয়ার কথা ছিল। জাহিদের খুব বিরক্ত লাগছে। উঠে গিয়ে কি দোকানদারকে ছেলেটার কথা জিজ্ঞাসা করবো ? না, এই সামান্য ব্যাপারে জিজ্ঞেসের কি আছে ? খাবার শেষের মধ্যে যদি আসে তবে সে গ্লাস পাবে, নইলে পাবে না,সমস্যা সমাধান। এই পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষের চাহিদা কত সামান্য, প্রাপ্তিও সামান্য, পৃথিবীতে এসেছে সামান্য ভাবে আবার যখন এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে তখনও সামান্য ভাবেই।
এইসব ভাবতে ভাবতেই জাহিদ ছেলেটাকে দেখতে পেল। ডানদিকে বসা একটা গ্র“পকে খাবার দিচ্ছে। জাহিদ বাম হাত ইশারা করে ডাকল। মুহুর্তের মধ্যেই ছেলেটা দৌরে কাছে এসে দাড়াল। জাহিদ কিছুটা স্যুপসহ গ্লাসটা ছেলেটার হাতে দিল। এখন আর ছেলেটির মধ্যে আগের সেই বিরক্তি-ভাব নেই, মুখটা হাসি হাসি ভাব, খুশীতে চোখ-দুটো চকচক করছে। আসলে এ পৃথিবীতে মানুষের ত্যাগেই সমস্যা, আর প্রাপ্তিতে খুশী।
জাহিদ ও রিমন সংসদ ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে হাটছে। দু’জনেই চুপচাপ হাটছে। বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকার পর রিমনই কথা বলল,” পার্টিটা একদম জমকালো হয়েছে । ম্যাক্রিমাম ই বয়স্ক লোকজন, তার মধ্যে আমিই সবচেয়ে ছোট, আমার খুব বোরিং লাগতেছিল।” জাহিদ রিমনের দিকে একটু ঝুকে বলল, হু তো কি হয়েছে, আপনি নিজেকে এখনও খোকা ভাবেন নাকি ?
- ধ্যাত তুই খালি কথার মধ্যে আঙ্গুল ঢুকাস, আর একটু আস্তে হাটেক।
রিমনের কথা শুনে জাহিদ হঠাৎ দাড়িয়ে পড়ল।
- কি ব্যাপার তুই দাড়ালি কেন ?
- না, তোর জমকালো পার্টির গল্প আমি দাড়িয়ে মনযোগ সহকারে শুনতেছি, তুই প্রথম থেকে শুরু কর।
- আমার এমন কোন গল্প নেই যে তোর এত মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তবে আমার কাছে তোর একটা গল্প আছে, এই-টা একটু মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে। আমার মোবাইলে তোর একটা ফোন এসছিল।
- রিমনের কথা শুনে জাহিদ শব্দ করে হেসে উঠল, আমার মোবাইল চালু থাকতে লোকজন আবার তোর মোবাইলে আমাকে খুঁজছে, বাহ খু-ব-ই হাসির ব্যাপার, হা হা হা..
- রনক ফোন করেছিল।
- জাহিদ রিমনের দিকে একটু এগে এসে বলল, কে ফোন করেছিল ?
- রনক।
- কেন ?
- তোকে চাচ্ছিলো।
- ও আমার নম্বর জানে না ?
- ও জানে কি-না, তুই ওকে জিজ্ঞেস কর, আমাকে জেরা করতেছিস কেন ?
রিমনের কথা শুনে জাহিদ একদম চুপ হয়ে গেল, একটু থেমে রিমনের কাধে হাত রেখে বলল,হ্যা, তুইতো ঠিকই বলেছিস, ও কেন ফোন করেছিল এটা তো ওর কাছ থেকেই শুনতে হবে। ঠিক আছে তোর মোবইলটা দে।
- আমার মোবাইল কেন ?
- তোর মোবাইলে ওর নম্বরটা আছে।
- নম্বর নেই, সব রিসিভ কল মুছে দিয়েছি। আর তুমিতো ঐ মেয়ের নাম শুনলেই নাক সিঁটকাও, তার সাথে আবার কথা বলবে কিভাবে ?
তারপরেও জাহিদ রিমনের কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে দেখল সত্যি-সত্যিই সব রিসিভ, ডায়াল এবং মিস কলের ঘর এমটি। মোবাইলটা রিমনরক ফেরত দিয়ে রাস্তÍ দিকে তাকিয়ে বলল, তুই ওর নম্বার না রেখে ঠিকই করেছিস, ওকে আমি কেন ফোন করব, ফালতু একটা মেয়ে?
জাহিদ রিমনের দিকে তাকিয়ে দেখল রিমন মিটিমিটি হাসছে, এই হাসির অর্থ জাহিদ ধরতে পারল না। জাহিদ মনে মনে ভাবল যদি নম্বরটা পাওয়া যেত তবু একটু কথা বলা যেত, মেয়েটি চমৎকার করে কথা বলে, ভয়েস টোনও খুব সুন্দর। আসলে মেয়েটার ব্যাপারে একটা ডিছিশানে আসা উচিত। একেবারে না করে দিতে হবে, খুব রাগি রাগি গলায় বলতে হবে -তুমি আর কখনো ফোন করবে না, আমাকে ডির্ষ্টাব করবে না, মনোযোগ দিয়ে রেখাপড়া করো। কিন্তু এই ধরনের কথা তো অনেক বার বলা হয়েছে তাতে তো কোন লাভ হয় নি। মোবইলের লাইন চেন্জ করেও লাভ হয় নাই । এত খবর মেযেটা পায় কোথায়, কে তাকে ইনফরমার হিসেবে কাজ করছে ? জাহিদ আর কিছু ভাবতে পারে না মেয়েটার উপর এইমুহুর্তে খুব রাগ লাগে, কেন সে আামার সমস্যাটা বুঝতে চায় না ?
রিমন আবার সামনের দিকে হাটতে থাকে। জাহিদ একটু বিরক্ত হয়ে রিমনকে ডাক দেয়, রিমন জাহিদের ডাক শুনে দাঁড়ায়।
- কিরে আমরা এখন যাবো কোথায়?
- ঝঢ়বপরভরপ কোন জায়গা নেই, তবে সংসদ ভবনেই কিছুক্ষন তোমার সাথে গল্পটল্প করে বাসাই যাব।
- আমার সাথে গল্প করবে নাকি এখানে মেয়ে দেখবে?
- মেয়ে তো অবশ্যই দেখবো, তবে তোমার সাথে গল্প করতে করতে। আচ্ছা তোর মোবাইলটা একটু দে।
- কেন? তোর মোবাইলের কি লাইন কেটে দিয়েছে ।
- আমি তোর মোবাইলটা চাচ্ছি দে, এত কথা বলতেছিস কেন ?
- ছরি বাবা, দিচ্ছি ।
জাহিদ মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে রিমনের হাতে দিয়ে রিমনের দিকে তাকিয়ে থাকে। রিমন মোবাইলে ডিজিট চাপছে আর মিটিমিটি হাসছে, একটু পরে মোবাইলটা জাহিদের মুখের সামনে দিয়ে বলল, নে, রিং হচ্ছে কথা বল ।
- আন্দাজে কার সাথে কথা বলব।
- রনকের সাথে কথা বল।
- জাহিদ ভ্র“ কুচকে বলল, রনকের সাথে ? তুই না ওর নম্বর ডিলেট করে দিয়েছিস।
- আরে বোকা ডিলেট তো করেছি মোবাইল থেকে, আমার মেমোরি থেকে তো ডিলেট করিনি, নে কথা বল।
জাহিদ মোবাইলটা রিমনের হাত থেকে নিয়ে কানে ধরার পর ঐ পাশ তেকে একটা মেয়ের কন্ঠ ভেসে এল, হ্যালো, আপনি কাকে চাচ্ছেন প্লীজ।
জাহিদ রিমনের দিকে তাকিয়ে বলল, আমি একটু রনক কে চাচ্ছি।
- আপনি কে বলছেন?
- আমি জাহিদ বলছি।
- কিন্তু রনকতো নেই।
- কিছুক্ষন আগেতো রনক এই নম্বর থেকে ফোন করেছিল।
- হ্যা, কিন্তু ভাইয়া আমি তো হোষ্টেলের বাহিরে আমার বাসায়।
- আপনি কে ?
- আমি ওর সিনিয়র আপু, আমি মাঝে মাঝে হোষ্টেলে থাকি।
- আপনি কি ওকে একটু ফোনটা দিতে পারবেন।
- ছরি ভাইয়া, এখনতো হোষ্টেলে যাওয়া সম্ভব না, আমি কালকে সকালে হোষ্টেলে গিয়ে আপনাকে ফোন করব।
- আজকে কোন ভাবেই ওকে একটু খবর দেওয়া যায় না?
- না ভাইয়া, আজকে সম্ভব না।
- ীঠক আছে ড়শ, নু
জাহিদ মোবাইলটা পকেটে রাখার পর মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গেল। একদিনে এতবার মেজাজ খারাপ হগলে কেমন লাগে। এখন আবার খুব ঠান্ডা পানি খেতে ইচ্ছে করতেছে। জাহিদ আশে পাশে দেখলো কোন ফাষ্ট ফুডের দোকান পাওয়া যায় কিনা । ওরা এতক্ষনে বিজয় স্বরণীতে চলে এসেছে। জাহিদ রিমনের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে বলল আমরা এখন কোথায় যাব?
যেখানেই যাই আগে তোমাকে পানি খাওয়াই।
হ, চল আগে পানি খাব।
রিমন কোন কথা না বলে খামার বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করল। কিছুক্ষন হাটার পর মোবাইলে কাকে যেন ফোন করল। জাহিদ একটু দুর থেকেই ওর কথা শোনার চেষ্টা করল ”রিমন বলছে আমি একটু রনকের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি, কিছুক্ষন থেমে আবার বলল ওকে কি একটু মেসেজ দিতে পারবেন, বলবেন রিমন ফোন করেছিল, ঠিক আছে, ঞযধহশ ুড়ঁ, নু
রিমন জাহিদের দিকে তাকিয়ে বলল, না, এ নম্বরেও নেই। আজকে মেসেজও দিতে পারবে না। হঠাৎ রিমন শব্দ করে বলল দারা ওর রুমমেট কি যেন নাম রিমি না সিমি ওর নম্বর আমার মোবাইলে রাজশাহী নামে সেভ করা আছে, ফোন করে দেখি পাওয়া যায় কি না।
- জাহিদ ঘার কাত করে রিমনের দিকে তাকিয়ে বলল, ওর বান্ধবীর নাম সাম্মী।
- আচ্ছা যাই হোক, আমি একবার ট্রাই করে দেখি।
- ঠিক আছে, কর।
রিমন ফোন করল, কিন্তুু ওর মুখের ভাবই বলে দিল রনক কে পাওয়া যাইনি। রিমন আস্তে করে বলল সাম্মী গ্রামের বাড়িতে।
রিমন হাত ইশারা করে একটা রিকশা ডাকল। রিকশাওয়ালকে কিছু না বলে রিমন রিকশায় উঠে বসল। জাহিদকে উঠতে বলল। জাহিদ এক পা রিকশাতে রেখে রিমনকে বলল কোথায় যাব।
বাসায় যাব। রিকশা ওয়ালাকে বলল, আপনি ধানমন্ডি যান, পনের নম্বর।
রিকশা চলতে শুরু করেছে। জাহিদ ভাবছে ওর নিজের কথা গতকাল কোথায় ছিল আর আজ কোথায়। বন্ধুর এক ফোনে এতদুরে ছুটে এসেছে। হায়রে বন্ধু। বন্ধুর জন্যই বন্ধু। আমাদের বন্ধুত্ব কত গভীর, অসীম, দৃঢ়। এই বন্ধুর জন্যই সব কিছু করে ফেলা যায়। নিজের জীবনটাও দিয়ে দেওয়া যায়। রিমন এই ছেলেটা আমাকে কত পছন্দ করে, আমিও কম করি না। মনে হয় এই প্রথম আমরা একমাস না একে অপরকে দেখে ছিলাম। এ সবই টাকার জন্যে। অনেক টাকা চাই আমার। অনেক টাকা।