স্থান ঃ ধানমন্ডি সুলতানা কামাল ক্রিড়া কমপ্লেক্স। প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী।
প্রথম ২ বছর ফ্রি সার্ভিস। এরপর এখন থেকে ফেলো কড়ি মাখো তেল। অনুষ্ঠানের নামে কর্পোরেট পণ্য বিক্রির পসরা। আগের বছর গুলোতে ডাম্পি করে পণ্য বিক্রি করে এখন সুদে আসলে উসুল।
ভয়ংকর লম্বা লাইন ভিতরে ঢোকার জন্য। একটি মাত্র আর্চওয়ে। চাইলেই ৪টি আর্চওয়ে করে মানুষকে দ্রুত ঢোকানো যেত। কিন্তু উদ্দেশ্যতো ভিন্ন। বিজ্ঞাপণ। এত্তো বড় লাইন দেখে আগতদের মনে সমীহ পয়দা করা, ”কত্তো বড় আয়োজক !”। নব্য মধ্যবিত্ত হওয়ার উদগ্র বাসনায় নিমজ্জিত লাইনে দাড়ানো মানুষের মনে দেবতার আসন পায় ”প্রথম আলো”।
অনেক ব্যাংক এই আকামটি করে। লম্বা লাইনে গ্রাহক দাড় করিয়ে গ্রাহকের মনে এই প্রতীতি জন্মায়, ”দেখো আমরা কত ব্যস্ত বাগীশ বড় ব্যাংক।” অথচ মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকে দেখেছি ভীড় বাড়া মাত্রই স্বয়ং ম্যানেজার এসে তাৎক্ষণীৎ এক বা একাধিক কাউন্টার খুলে চটপটে এক্সিকিউটিভ বসিয়ে গ্রাহক বিদায় করে। তাদের ভীড় দেখিয়ে বিজ্ঞাপনের দরকার হয় না। কাজ দ্রুত এক্সিকিউট করাই বিজ্ঞাপন।
একমাত্র আর্চ দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে প্রধান নিরাপত্তা অফিসারকে বললাম, ” এই যে আমরা ঢুকছি, এ পর্যন্ত অন্ততঃ দশ হাজার হবে না ঢুকেছি?” বিদ্রুপ আচঁ করতে না পেরে গর্বিত হাসি দিয়ে অফিসার বললো, ”এর বেশি হবে স্যার।”
বললাম, ”দশ হাজার আগতদের অন্ততঃ চার হাজার আগতদের হাতে ব্যাগ, প্রত্যেককে চেক করলেন ফিজিক্যালি, ইলেকট্রনিক বীপ থাকা সত্তেও, কিছু পেলেন ??” উত্তর, ”নাহ্”।
আমার আবার প্রশ্ন, ”কেন তা হলে চেকিংয়ের নামে এ হয়রানী ??” চাইলেই অন্ততঃ ৪টি আর্চওয়ে করে দ্রুত লোক ঢুকানো যেত, যেত না ??, নাকি দর্শনাদারীর বাণিজ্য ??”
নিরাপত্তা অফিসারতো। সামরিক বাহিনীদের জাত ভাই। মাথায় কিছু ঢুকলো বলে মনে হোল না। লেফট রাইট করতে করতে মাথার ঘিলু বুটে চলে যায়।
প্রথম আলোর আয়োজিত এবারের মেলায় ফ্রি সার্ভিস এবার নেই। এবার শুধু ষ্টল বসিয়ে বাণিজ্য আর বাণিজ্য। শুধু প্রথম আলোর নিজস্ব উপজাত পণ্য। কে বলে বাঙালীর ব্যবসা বুদ্ধি নেই ? দিন বদলাইছে না ??
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২