বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির অবস্থা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যার ফলে কেউ কেউ ছাত্ররাজনীতিকেই দেখতে চাননা। একটু চিন্তা করি আসুন--
**সৎ লোকেরা অসৎ রাজনীতিকদের মনে মনে গালি দিয়ে ও ঘৃণা করেই দায়িত্ব শেষ করেন। এটা দায়িত্বহীন আচরণ। বরং ছাত্রজীবন থেকেই সৎ লোকদেরকে রাজনীতির কৌশল বুঝিয়ে রাষ্টযন্ত্রকে সৎভাবে পরিচালনার অনুশীলণ করাতে হবে। তানা হলে তারা ছাত্রজীবন শেষে যদি হঠাৎ রাজনীতিতে আসে তাহলে হঠাৎ করে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়।
**বর্তমানে অসৎ লোকেরাই রাজনীতিতে বেশি জড়িত। এটা সম্ভব হয়েছে কি কারণে? সৎ লোকদের রাজনীতির প্রতি অনীহা থেকেই। রাজনীতির মত একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেটা মানবজীবনের অন্য সকল দিককে প্রভাবিত ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটা যদি অসৎ লোকের হাতে পড়ে তাহলে বলাই বাহুল্য মানবজীবনে দুর্দশার অন্তি থাকবেনা যা আমরা এখন দেখতি পাচ্ছি। একদিকে মানুষ না খেয়ে মরছে, অন্যদিকে মন্ত্রী এমপিরা ধরা পড়ছেন ঘুষের টাকা সমেত।
**ছাত্ররাজনীতির খারাপ অংশ (যারা ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়) থেকে সাধারণ ছাত্রদের বাঁচাতে হলে সৎ ছাত্রদের একজোট হয়ে রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে প্রতিহত করা দরকার। মনে মনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মেয়েদের হয়রানী ইত্যাদি কর্মকান্ডকে ঘৃণা করে এগুলো ঠেকানো যাবেনা। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
**ছাত্রবস্থা থেকেই ছাত্রদের সকল বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ না দিলে ভবিষ্যতে তারা কীভাবে তারা জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তখন তো তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে হবে অকর্মণ্য। রাজনীতি এড়িয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে হয়তো তারা বেশ সফল হবে কিন্তু জাতীয় চ্যালেন্জ মোকাবেলায় ব্যক্তিগত সাফল্য যথেষ্ট নয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেঃ
**ছাত্রজীবন হোক চাকুরীজীবন -অনৈসলামিক শাসনের অধীনে নিরিবিলি ও সন্তুষ্টচিত্তে বসবাস করার অনুমতি ইসলামে নেই। নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সব প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের-হোক ছাত্র কি চাকুরীজীবি।
**শিক্ষ্যাব্যাবস্থার কলুষতা (সিলেবাসে ধর্মহীনতা, মাদ্রাসা শিক্ষায় বৈষম্যমূলক সিলেবাস ও সুবিধা ইত্যাদি) দূর করে ইসলামী ও নৈতিক সিলেবাসাধীন শিক্ষাব্যাবস্থা প্রনয়ণের আন্দোলন কে করবে? বলাইবাহুল্য এ ক্ষেত্রে শুধু প্রবীণরা আন্দোলন করে গেলেও ছাত্রসমাজের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সরব দাবী তোলা ছাড়া এ দাবী আদায় বহুগুণ বেশি কষ্টকর হবে।
**ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে মানতে হলে এর রাজনৈতিক শিক্ষাও মানতে হবে। আর সেটা ছাত্রজীবন থেকেই। কুরআন বলছে-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ ٱلْكِتَـٰبِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ
”..তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ মানবে এবং কিছু অংশকে অস্বীকার করবে?..” (সুরা বাক্বারা, ২:৮৫)।
পূর্ণবয়স্ক হয়ে যাবার পর সব মুসলিমকেই পরিপূর্ণ ইসলাম মেনে চলতে হবে।
View this link