বাংলাদেশ এর অবস্থা বর্তমানে খুব ই খারাপ।
একটা ছেলে আর একটা মেয়ে যদি বসে গল্প করতে থাকে তাহলে অন্য মানুষের সমস্যা টা কোথায়?
ভাই তোমার এত কামড়ালে নিজের বৌ বা প্রেমীকা নিয়ে বস, অন্যদের বিরক্ত কেন কর?
ঈদ এর দিন বিকেলে আমরা ৩ বন্ধু(তনু, আশিক আর আমি) স্মৃতিসৌধ ঘুরতে গেছি। অনেক বেলা ওখানেই ছিলাম।
যখন আসব ভাবছি তখনই দেখি একটা ছোট জটলা।
এগিইয়ে গেলাম।
দেখি দুজন ছেলে-মেয়ে বসে আছে,হয়ত গারমেন্ট এ কাজ করে,
তাদের ঘিরেই সবাই। তন্মধ্যে এক পাঞ্জাবী পরা বদমাইস (!) আছে। ওই বেটা বেশি পকপক করতেছে। আমরা জিজ্ঞেস করে বুঝলাম ছেলে-মেয়ে দুজনরে প্যাচ এ ফেলছে। ওরা নিচের স্তরের তার উপর একা বলে ওদের ওপর যা খুশি তা বলতে চায়।
ওই শালা পাঞ্জাবীওয়ালা ফায়দা লইতে চায়।
আমরা যেই বেশি এনকোয়ারী করছি ওমনি অদের একজন বলে,"ভাই আর কোন সমস্যা নাই, আপনারা যান।"
সবাই চলে গেল, শুধু ৩ জন রইল।
আমরা যাচ্ছিলাম, কিন্তু লোকটার কথায় একটু সন্দেহ হওয়ায় আমরা খানিক দূরে গিয়ে আবার ফিরে এলাম।
একটু দুরত্ব বজায় রাখলাম।
দেখলাম বদমাইস গুলা ছেলে-মেয়ে দুজনরে আলাদা কইরা কি জানি জিজ্ঞেস করে।
মেয়েটার মুখ দেখে বুঝলাম শালা ফায়দা নিতে চায়।
আমরা আরো খানিক আগিয়ে গেলাম।
তিন জনের একজন আমাদের দেখে বুঝল যে আমরা সন্দেহ করছি।
ওই শালায় পাঞ্জাবীওয়ালার কানে কানে কি যানি বলল।
তার পর দেখলাম কিছু কড়া কড়া কথা বলে বলল চলে যেতে।
কিন্তু পিছনে পিছনে যেতে লাগল।
আমরা কি আর পিছু ছাড়ি?
আমরাও অল্প দুরত্বে হাটতে লাগ্লাম
শেষে উপায় না দেখে ৩ জনের দুই জন এক দিকে গেল আর একজন অন্য দিকে।
আমরা একটু নিশ্চিন্ত হয়ে ওদের পিছু পিছু হেটে স্মৃতিসৌধ এর দরজা পর্যন্ত এগিএ তারপর অন্য পথ ধরলাম।
তাহলে এই যদি অবস্থা হয়, কিভাবে মানুষ চলবে?
সব্জায়গায় যদি সবাই ফায়দা নিতে চায়.।
সেদিন ওদের অনেক ক্ষতি হতে পারত।
আমারদের অনেক কিছু করার আছে।
আসুন না আমরা আমাদের সমাজ থেকে এইসব ভাইরাস গুলো দূর করে দেই।
আমরা চাইলেই পারব। দরকার সচেতনতা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





