"তোমরা কি মনে করেছ তোমরা এমনি এমনি বেহেস্তে চলে যাবে ?"( সুরা আল-বাকারা :২১৪)
"তোমরা কি মনে কর (এমনি এমনি ) বেহেস্তে প্রবেশ করে যাবে, অথচ আল্লাহতায়ালা পরীক্ষার মাধ্যমে এ কথা জেনে নিবেন না, কে তার পথে জিহাদ করতে প্রস্তুত হয়েছে এবং কে বিপদে কঠোর ধৈর্য ধারণ করে পেরেছে। "(সুরা আল-ইমরান: ১৪২)
"আমি অবশ্যই ঈমানের দাবিতে তোমাদের পরীক্ষা করবো, কখনো ভয়ভীতি , কখনো ক্ষুধা অনাহার, কখনো জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে তোমাদের পরীক্ষা করা হবে.যারা ধৈর্যের সাথে তা মোকাবেলা করে, তুমি সেই ধৈর্যশীলদের জান্নাতের সুসংবাদ দান কর. যখনি তাদের সামনে কোনো পরীক্ষা এসে হাজির হয় তখনি তারা বলে, আমরাতো আল্লাহের জন্যই, আমাদের তো একদিন আল্লাহের কাছেই ফিরে যেতে হবে। "(সুরা আল বাকারা: ১৫৫,১৫৬ )
"তিনিই তো মহান সত্তা, তিনি তোমাদের এই জমিনে তোমাদের খলিফা বানিয়েছেন এবং তিনি তোমাদের একজন কে অন্যজনের উপর (কিছু বেশিমর্যাদা দান করেছেন, এর উদ্দেশ হচ্ছে আল্লাহতায়ালা তোমাদের যা কিছু দিয়েছেন তা দিয়েই তিনি তোমাদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার পরীক্ষা নিতে চান, জেনে রেখো তোমার মালিক শাস্তিদানের ব্যপারে অতন্ত কঠোর ও তত্পর, আবার তিনিই বড় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।"(সুরা আল-আনআম :১৬৫)
"হে, মানুষ , তিনিই আল্লাহতায়ালা , যিনি তোমাদের শোনার জন্য কান, দেখার জন্য চোখ এবং চিন্তা গবেষনার জন্য মন দিয়েছেন, কিন্তু
তারা খুব অল্পই এসব দানের জন্য শোকর আদায় করে।" ( সুরা আল-মোমেনুন :৭৮)
................শুধুই "কেনোর " উত্তর খুঁজে ফিরি, ভুলে যাই তিনিই উত্তম ফয়সালাকারী।
"এমন ও তো হতে পারে যে যা তোমাদের ভালো লাগে না, তাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, আবার একই ভাবে এমন কোনো জিনিস যা তোমাদের খুবই ভালো লাগবে, কিন্তু পরিনামে তা হবে তোমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর ,আল্লাহ্তায়ালাই সবচাইতে ভালো জানেন, তোমরা কিছুই জেনো না।"(সুরা আল-বাকারা :২১৬ ).
"যে কল্যাণই তোমরা লাভ কর না কেন মনে রেখো তা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আসে , আর যেটুকু অকল্যানই তোমার উপর আসে, তা আসে তোমার নিজের কর্মদোষের কারণে।আমি তোমাকে মানুষদের জন্য রসুল বানিয়ে পাঠিয়েছি.সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট।" (সুরা অন-নেসা :৭৯)
"(জেনে রেখো ) যদি আল্লাহতায়ালা কোনো দুঃখ পৌছাতে চান তাহলে তিনি ছাড়া কেউ তা তোমার থেকে দূর করতে পারবে না, অপরদিকে তিনি যদি কোনো উপকার করেন তাহলে কেউ তা বাধাও দিতে পারে না। তিনি সবকিছুর উপর একক ক্ষমতাবান।"( সুরা আনআম:১৭)
"আল্লাহতায়ালা কখনো কাউকে তার শক্তি সামর্থের বাইরে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না।"(সুরা বাকারা :২৮৬)
"তুমি একান্ত বিনয়ের সাথে বলো, আমার নামাজ , আমার এবাদত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সব কিছুই সারাজাহানের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্য। "( সুরা আল আনআম : ১৬২)