somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাইম,স্পেস অর টাইম মেশিন

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টাইম এন্ড স্পেস এই ২টি সব্দ একসাথে শুনলে প্রথমেই মনে হয় ফিজিক্স এর কথা। আর তারপর এই মনে আসে মহাকাশের বিসাল স্পেস এর কথা। কিংবা কুয়ান্টাম ফিজিক্স এর বিসাল সব আঁকিবুঁকি। কিন্তু না আসলে বেপার টা এইরকম না। টাইম এন্ড স্পেস সম্পর্কে জানতে হলে আর বুঝতে হলে আপনাকে সাইন্স এর স্টুডেন্ট হতে হবে না আর কুয়ান্টাম ফিজিক্স এর বিসাল সব আঁকিবুঁকিও বুঝতে হবে না।
আমাদের দৈনন্দিন কাজে কয়টা ডাইমেনশন ইউস করি? আই মিন পরিমাপের জন্য আমাদের কয়টা রাশি আছে?
৩টা, দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা। ভেবে দেখুন পৃথিবীর সকল বস্তু কে কিন্তু আমরা এই ৩ টা রাশি দিয়েই বিবেচনা করি।আমি যখন একটা বই এর কথা বলব তখন আপনার মনের পরদায় দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা বিশিষ্ট একটি বস্তু ভেসে উঠবে।যখন একটি গ্লাস এর কথা বলব তখন আপনার মনের পরদায় একটি ব্যাস(দৈর্ঘ্য কিংবা প্রস্থও বলতে পারেন, সিলিন্ডার আকৃতির দৈর্ঘ্য প্রস্থ একই বলে একে ব্যাস বলে) ও উচ্চতা বিশিষ্ট একটি বস্তু ভেসে উঠবে।পৃথিবীর সকল বস্তুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা এই ৩ টার কুনো না কুনোটা আছেই।
কিন্তু আরেকটা রাশি আমরা সবসময় এই ব্যাবহার করি অথচ বিবেচনা করি না। কি সেটা?
সময়।
কি হাসছেন? ভেবে দেখুন তো সময় কি শুধুই ঘড়ির কাঁটার টিক টিক? আমি আপনাকে বললাম বইটি এইখানে আছে। এর মানে কি? এর মানে হচ্ছে দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা বিশিষ্ট একটি বস্তু একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে এখানে আছে।বইটি এখানে নেই তার মানে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে এটি এখানে নেই।এখন ভেবে দেখুন আমাদের দৈনন্দিন সকল কাজে যেমন দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা রিলেটেড তেমনি সময়টাও রিলেটেড।
ভাবুন তো কুন বস্তু হতে হলে কি, দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা ৩টাই লাগবে?
না এই ৩টার কুন একটা না থাকলেউ বস্তু হতে পারে। যেমন কাগজ। এর উচ্চতা নাই কিন্তু দৈর্ঘ্য প্রস্থ ঠিকি আছে। আবার একটা রেখা বিবেচনা করি এর প্রস্থ এবং উচ্চতা কিছুই নাই বাট দৈর্ঘ্য আছে।
আসুন এবার একটু দুঃসাহস করি
৩টা ডাইমেনশান এর একটি কিংবা দুইটি না থাকলেও বস্তু হতে পারে, যদি তিটাই না থাকে তাহলে কি বস্তু হতে পারে?
হ্যাঁ পারে
যেমন বিন্দু। এর দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা কিছুই নেই।বিন্দুও তো একটি বস্তু যেহেতু এর অস্তিত্ত আছে।দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা না থাকলে এর আছে কি?
উত্তর টা হচ্ছে সময়।কারন এটি একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে অবস্থান করছে।যার কারনে এর অস্তিত্ত সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থাৎ কুনো বস্তু গঠিত হতে হলে দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা এবং সময় এই ৪টি ডাইমেনশান এর কুনু একটা লাগবেই।
এখন যদি আমি বলি যে আমাদের পৃথিবীতে আসলে ডাইমেনশন ৩টা না ৪টা তাহলে নিশ্চয়ই আমাকে মার ধর করতে আসবেন না?
সভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে সময় যদি চতুর্থ ডাইমেনশান হয়ে থাকে তাহলে কেন তা মাপজোখে ধরা হয় না?
এর কারন সময় হচ্ছে ইউনিভার্সাল প্রবাহ। এটি পৃথিবীর সকল জায়গায় সরবদাই এক এবং এক মুখি। তাই একে হিসাবে না ধরলেউ কুনু প্রব্লেম নাই।এখন যদি আপনি নাছোড়বান্দা আর আরেকটু বুদ্ধিমান হন তাহলে আবার জিজ্ঞাশ করবেন সময় যদি ডাইমেনশান হয়েই থাকে তাহলে অবশ্যই কুনু না কুনো হিসাবে একে ধরতেই হবে। হ্যাঁ অনেক হিসাবে আর মাপজোখেই সময় ধরা হয় বিবেচনা করা হয় এটা হয় বিষেশ করে ফিজিক্স এ। যেমন দ্রুতি পরিমাপ বেগ পরিমাপ। লক্ষ করুন আমাদের পৃথিবী সূর্যকে ২৪ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিন করে তাই আমরা রাত দিন মিলিয়ে ২৪ঘণ্টা হিসাব করি। এখন যদি পৃথিবী সূর্যকে ২৮ ঘণ্টা কিংবা ৩২ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিন করত? তাহলে আমারা রাত দিনের হিসাব টা কি ওইভাবে করতাম না? তাহলে ভাবুন তো মহাকাশে তো সূর্যের মত হাজার হাজার নক্ষত্র আছে এদের সবার গ্রহই কি আমাদের মত ২৪ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিন করে? না। সেখানে সময় অন্য রকম আমাদের এখানে সময় অন্য রকম। অর্থাৎ আপাত দৃষ্টিতে সময় টা আপেক্ষিক মনে হলেউ আসলে তা আপেক্ষিক নয়।
ওকে, যদি আপনার মারধর থেকে বেঁচে যাই তাহলে আরেকটু সামনে এগুই।
উপরে আমরা দেখলাম ৪টি ডাইমেশান এর কুন একটা ছারাউ বস্তু হতে পারে। এবং কুনু বস্ত থেকে ৪টি ডাইমেনশানের কুন একটা মানুষের পক্ষেই ইডিট করা সম্ভব। শুধু সময় ছারা।
আমি যদি বইটি থেকে এর উচ্চতা মুছে দেই তাহলে কি থাকছে? দৈর্ঘ্য প্রস্থ বিশিষ্ট একটি কাগজ। আমি যদি কাগজ টি থেকে প্রস্থ মুছে দেই তাহলে কি থাকছে একটি রেখা অর্থাৎ দৈর্ঘ্য থাকছে। এখন যদি দৈর্ঘ্যও মুছে দেই তাহলে কি থাকবে? শুধু একটি বিন্দু, আর ডাইমেনশান হিসেবে কি থাকছে? সময়।
যা ইডিট করা মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
আসলে একটা বস্তু থেকে ৪টা ডাইমেনশান এই এক সাথে ইডিট করা সম্ভব না কিন্তু যেকুনু দুইটি কিংবা তিনটি কিংবা একটি রেখে বাকি গুলু ইডিট করা সম্ভব।
বিষয় টা আরেকটু ক্লেয়ার করে আপনার চোখ গুলু আরেকটু বড় বড় করে দেয়াযাক। ধরুন মুটামুটি আপনার চাইতে বেশ বড় একটি আয়াতাকার বস্তু রাখা হল আপনার সামনে। যেটার উপরে আপনি বেয়ে বেয়ে উঠতে পারেন। এখন আপনি যখন ওই বস্তুটার উপরে উঠছেন তার মানে আপনি বস্তুটার ‘উচ্চতা’ ডাইমেনশান টিতে নিচ থেকে উপরে ভ্রমন করছেন। আবার উপরে উঠার পর আপনি যখন বস্তুটার বাম দিক থেকে ডান দিকে যাচ্ছেন তার মানে আপনি দৈর্ঘ্য ডাইমেনশান টিতে বাম থেকে ডানে ভ্রমন করছেন। তাহলে এইভাবে চতুর্থ ডাইমেনশান সময়ের উপরেউ ভ্রমন করা সম্ভব!
টাইম মেশিন ঠিক এই কাজ টিই করতে পারে।সময়ের উপর ভ্রমন করে অতিত কিংবা ভবিষ্যতে যেতে পারে।
এতক্ষন সব ঠিক ঠাক ছিল বাট টাইম মেশিন এর কথা বলতেই কাল্পনিক বেপার চলে আসলো। না টাইম মেশিন সম্ভব। শুধু আমাদের খুজে বার করতে হবে কিভাবে দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা না হারিয়ে সময়ের উপর ভ্রমন করা যায়। এ বেপারে আপনাকে হেল্প করতে পারে এইচ।জি। ওয়েলস এর ‘টাইম মেশিন’ বই টি। ভাবছেন এটা তো সাইন্স ফিকশান, না সাইন্স ফিকশান কে শুধু রুপ কথার গল্প ভাবলে ভুল করবেন। বিদেশি সায়েন্স ফিকশান লেখকদের মধ্যে সার আরথার কনান্ডয়েল আমার অন্যতম প্রিয় একজন লেখক। উনার অনেক সায়েন্স ফিকশান এই গত ২০ বছরে বাস্তবে আবিষ্কৃত হয়েছে।
এর পর আসা জাক মুভির কথায়। বর্তমানে কুন জাতি বা কুন বিষয়ে জোরালো একটা ধারনা পাউয়া যায় ওই জাতি বা বিষয় সম্পর্কিত মুভি দেখলে। হিটলারের লাইফ স্টোরি আমার মুখস্ত হয়ে গেছে ‘হিটলার দ্যা রাইজ অফ ইভিল’ মুভি টা দেখে।
টাইম মেশিন সম্পর্কে ধারনা দিতে ‘টাইম মেশিন’ নামের একটা মভিএই আছে। এর পর দেখতে পারেন এ যাবত কালকের বিখ্যাত সাইন্স ফিকশান মভি ‘ইন্টারস্টেলার’ এখানে সময় আর স্পেস এর বেপার টা সুন্দর ভাবে বুঝা যায়।
তার পরও যদি সন্তুষ্ট না হন বাস্তবে টাইম ট্রাভেল এর ভিডিও প্রমাণ চান? ইউটিউব এ শুধু টাইম ট্রাভেল ইন রিএল লাইফ লিখে সার্চ দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×