একটু আগে পড়ছিলাম দৈনিক আমাদের সময়ে লেখা আলোচিত লেখক তসলিমা নাসরিনের কলাম -তুমি ভালো থাকো প্রিয় দেশ! পড়তে পড়তেই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠলো! আগস্টের ১৭ তারিখ মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপর অনুমতি না পেলে ভারত ছাড়তে হবে তাকে।
ভারত তো ছাড়তে চানই তসলিমা নাসরিন। ফিরে আসতে চান প্রিয় স্বদেশে; যেখানকার আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছেন।যেখানে অনেক স্মৃতি জমে আছে তার। কিন্তু সে সুযোগ তার জন্য নেই।
তসলিমার অপরাধ? আমাদের তথাকথিত মৌলবাদীদের ঠুনকো ধর্মানুভুতিতে আঘাত হেনেছেন! ধর্মের বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন! তাকে দেশে ফিরতে দিলে সর্বনাশ হয়ে যাবে! হাস্যকর সব যুক্তি।
কিন্তু যাদের প্রনোদণায় হয়ে উঠেছেন আজকের এই তসলিমা নাসরিন, তারাও নিশ্চুপ। ক' প্রকাশের পর তাদের মুখও বন্ধ। তাকে দেশে ফিরতে দেয়া উচিত এই কথা এখন খুব কম মানুষই বলছেন।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরতে দেয়া উচিত। তার লেখার জবাবটা লেখা দিয়েই হওয়া উচিত। আর ধর্ম তো আর এতো ছোট বিষয় নয় যে একজন তসলিমা নাসরিন ভুল ধরলেই তাতে পচন লেগে যাবে! এভাবে কারো দেশে ফেরার অধিকারটুকু কেড়ে নেয়ার কোন মানেই হয়না।
.................
তসলিমা নাসরিনের কলামের কিছু অংশ তুলে ধরা দিলাম-
ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে আমি কোথায় যাব, আমি জানি না। দূরে কোথাও কোনও বরফের দেশে আবারও আমাকে আশ্রয় খুঁজতে হবে- এরকম ভাবা আর মৃত্যুর কথা ভাবা আমার কাছে অনেকটা একই রকম। আমি তো আর একটি দেশে ফিরতে পারতাম, যে দেশটি এখন আমার প্রতিবেশী দেশ! কিন' ফিরব কী করে, সে দেশে আর যে-কারওরই অধিকার থাকুক পা দেবার, আমার নেই। আমি যেন দেশটির ভীষণ শত্রু, আমার জন্য দরজা চিরকালের মতো বন্ধ। মানবতার কথা বলা বা সমানাধিকারের দাবি করাকে তো অন্যায় হিসেবে জানি না কোনও দিন। শাসকের চোখে, কট্টরপন্থী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধদের চোখে তা ভীষণ অন্যায়। আমাকে নির্বাসন দণ্ড দেয়া হয়েছে সেই কবে, যুগ পেরিয়ে গেল। যাবজ্জীবনেরও তো একটা শেষ থাকে। আমার এই দণ্ডের কোনও শেষ নেই। সম্ভব মৃত্যু ছাড়া এই নির্বাসন থেকে মুক্তি নেই আমার।

আলোচিত ব্লগ
দুই বন্ধু ও একটি অসহায় মেয়ে!
রাত নয়টা। দুই বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাটছে। আকাশে মেঘ জমেছে। এক বন্ধু বলল, আমার আর বেচে থাকতে ইচ্ছা করে না।
কেন ভাই?
আমি কেন বেচে থাকবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন
এই প্রথম কোন ব্লগারের সাথে আড্ডা :-B
জীবনের ১৬ বছর ব্লগে কাটিয়েও কারো সাথে কখনই আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়নি। বা বলা যায় দেখা করারই সুযোগ হয়নি। যাহোক, এবার সে সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের আবহাওয়াবিদ ব্লগার [link|https://www.somewhereinblog.net/blog/mostofa_kamal|মোস্তফা কামাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ - সারা'কে
আমার কর্মস্থল আমার বাড়ি থেকে প্রায় ১১৪০ কিলোমিটার দূরে, অন্তত গুগল ম্যাপ সেটাই বলছে। তবে অতটা পথ পাড়ি দিয়ে আমাকে প্রতিদিন যেতে আসতে হয় না। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ১৫ বছর
১৫ বছর পূর্তির এই পোস্টটা যখন লিখছি, তখন আমি একটা বড় পারিবারিক দূর্বিপাকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার ছোটভাইয়ের কনিষ্ঠ পুত্র, যার বয়স ১১ মাস, সে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিব্যক্তি
১. অদ্ভুত মোহ মায়ার জগৎ এটা। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে জেনেও বারবার আঁকড়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় রত থাকি। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কেউ আর বেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন