somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আগে ড. কামালের বিচার করতে হবে-নিজামী

১৯ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল জাতীয় মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বত্তপ্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ঃ নয়া দিগন্ত
জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে ইস্যুকে মীমাংসা করে গেছেন সেই ইস্যুকে আবার জীবিত করে দেশকে বিভত্তিপ্তর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। দেশের ¯¦াধীনতা-সার্বভৌমতে¦র ওপর আঘাত এলে বিভত্তপ্ত জাতি দ্বারা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
অন্য দিকে বাংলাদেশ মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবšধু যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা মেনে নেয়া উচিত। আর যদি আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে যান তাহলে বলতে জবে বঙ্গবšধু যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে অন্যায় করেছিলেন। আর এ জন্য প্রথমেই ড. কামাল হোসেনের বিচার করতে হবে।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে জাতীয় মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা এ কথা বলেন।
এ সময় মাওলানা নিজামী আরো বলেন, ‘৭১ সালে জামায়াতের রাজনৈতিক ভিন্ন অবস্থান ছিল। কিন্ত- কোনো অনৈতিক ও মানবতাবিরোধী কাজের সাথে জামায়াতের কোনো স¤পর্ক ছিল না। আওয়ামী লীগের ’৭২ থেকে ’৭৫ সালে জামায়াতের কারো বিরুদ্ধে তাজা ঘটনার পর যেখানে মামলা দায়ের করা যায়নি, আজ ৪০ বছর পর মামলা করতে গেলে চরম মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। আর মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বিচার করতে গেলে তা হবে পৃথিবীর জঘন্যতম অবিচার। সরকার নিজের পাহাড়সম ব্যর্থতা ঢাকতে এবং বিদেশী প্রভুদের খুশি করতে এই অমানবিক বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতের সেত্রেপ্তটারি জেনারেল আলী আহসান মোহা¤মদ মুজাহিদ বলেন, জামায়াতের সাথে স¤পৃত্তপ্ত প্রকৃত মুত্তিপ্তযোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
জাতীয় মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন ও সেত্রেপ্তটারি জেনারেল মুহা¤মদ ইকবালের নেতৃতে¦ মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতাদের সমš¦য়ে এই প্রতিনিধিদল মাওলানা নিজামীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জামায়াতের নায়েবে আমীর মকবুল আহমদ ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেত্রেপ্তটারি জেনারেল আলী আহসান মোহা¤মদ মুজাহিদ, সহকারী সেত্রেপ্তটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, মহানগর আমীর রফিকুল ইসলাম খান, মহানগর সেত্রেপ্তটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও প্রচার বিভাগের সহকারী সেত্রেপ্তটারি মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা নিজামী বলেন, যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন তারা দেশকে করাচির শৃড়খল থেকে মুত্তপ্ত করে দিলি¬র শৃড়খলে যুত্তপ্ত করার জন্য যুদ্ধ করেননি। যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনেতিক বৈষম্য। যুদ্ধ ইসলামি চেতনার বিরুদ্ধে ছিল না। আজকে যারা বাংলাদেশকে ইসলামশূন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা ¯¦াধীনতার ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়।
তিনি বলেন, ¯¦াধীনতাযুদ্ধে শুধু জামায়াত নয়, সব ইসলামি দলের রাজনৈতিক ভিন্ন অবস্থান ছিল। এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কারণও থাকতে পারে। তার মধ্যে একটি ছিল জামায়াত মনে করেছিল একটি বড় মুসলিম দেশ খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। এই অবস্থান বাস্তবস¤মত ছিল না। তবে এর পেছনে যে আবেগ ছিল সেটা বাস্তবস¤মত ছিল। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উলে¬খ করে বলেন, সরকার ইউটার্ন নিয়ে বলছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কথা। আমাদের কী ভূমিকা ছিল আমরা লুকাইনি। ¯¦াধীনতার পর অনেকে সার্টিফিকেট জোগাড় করেছে। বšধুবাšধবরা আমাদেরকেও অফার করেছে। লুকোচুরি পছন্দ করিনি। আমরা যে কারণে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলাম সেগুলো কি একেবারেই অমূলক ছিল? ভারতের ব্যাপারে যে আশঙ্কা আমরা করেছিলাম সেটা শত ভাগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
জামায়াতের আমীর বলেন, আজকের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তখন তো বড় দেশ পাশে ছিল। মিত্রশত্তিপ্ত ছিল। এখন সেই মিত্র শত্তিপ্তকে দেশের মানুষ মিত্র মনে করে না। তারা এখন সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে চিহিপ্তত। এখন ¯¦াধীনতা রক্ষার জন্য বৃহত্তর ঐক্য অপরিহার্য। কিন্ত- আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা জাতির বিভত্তিপ্ত চান।
ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন বলেন, যারা অন্যায় করেছেন তাদের ছেড়ে দিয়ে এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার করলে বলতে হবে শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ছেড়ে দিয়ে অন্যায় করেছিলেন। আর এখন প্রথম বিচার করতে হবে ড. কামাল হোসেনের। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে ১৯৫ জনকে নিয়ে এসে বিচার করুন। যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বঙ্গবšধু যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা মেনে নেয়া উচিত। না হয় বলা উচিত তিনি ভুল করেছেন।
আলী আহসান মোহা¤মদ মুজাহিদ বলেন, মুত্তিপ্তযোদ্ধারা কোনো দলের নন, তারা সব মানুষের। যারাই দেশের ¯¦ার্থে কাজ করবেন তাদেরই তারা সহযোগিতা করবেন। তিনি মুত্তিপ্তযোদ্ধাদের কল্যাণে মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জামায়াতের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×