একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো সোহান কিছুক্ষণ আগে জোড়-বৃষ্টি হয়েছে,
বাসার সামনের রাস্তাটা তেমন ভালো না রিক্সায় করে যাচ্ছিলো অর্না বৃষ্টি হয়ে রাস্তা ভরে যাওয়ায় খানা-ক্ষন্দ টের পাওয়া যাচ্ছিলো না।
রিকশাওয়ালার চালানোর গাফিলতিতে সেই জলভরা রাস্তায় ভাঙ্গন বুঝতে না পারায় রিক্সা থেকে পড়ে যায় অর্না। কাদাপানিতে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পায় জামা-কাপড় নোংরা হয়ে যায়......
অর্না পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে আসে অন্য সব পথচারি। তবে সোহান সেখানে থাকলেও এগিয়ে আসে নি এটা লক্ষ করে অর্না। বিষয়টা ওকে ভীষণ কষ্ট দেয়, সে ভাবে সোহান ভাইয়া আমার এই বিপদে এগিয়ে এলো না?
বাসায় চলে এলো অর্না ভেজা কাদায় মাখা। অর্না কাঁদছে । অর্নার মা জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে মা? ব্যাথ্যা পেয়েছিস? কোন উত্তর না দিয়েই চোখ দিয়ে পানি পড়ছে নিজ ঘরে চলেগেলো অর্না।ব্যাথ্যা পেয়েছে যা তার থেকে লজ্জা আর ভয় পেয়েছে সে। কাউকে কিছু বলতে পারছে না। দুপুরে খাবার খেয়ে নিজ রুমে চলে গিয়ে দরজা আটকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে।

বিকাল বেলা......
ঘুম থেকে উঠে অর্না মা কে বললো
মা চা দাও চা খাবো।
কি চা খাবি? উত্তরে বলল মা লাল চা। আদা দিও তো
মা চা বানিয়ে দিলেন।
হ্যাঁ রে দুপুরে জিজ্ঞাসা করলাম খুব ব্যাথ্যা পেয়েছিস কি না কিছু বললি না যে?
(চায়ে চুমুক দিতে দিতে.........)
কি বলবো মা ব্যাথ্যা তো পেয়েছিলাম ব্যাথ্যার চেয়ে বেশী ভয় পেয়েছিলাম লজ্জা লাগছিল......
ও কিছু না রে রাস্তার যে অবস্থা দেখিস না আমি তেমন টা বের হই না
চিন্তা কোর না মা ব্যাথ্যার ওষুধ কজেয়ে নেবো
মা বললেন দেখিস......
সন্ধ্যায় শাহাবুদ্দিন সাহেব অফিস থেকে বাসায় ফিরলেন.........
কি হয়েছে অর্না মা?
তোর মা বললেন তুই নাকি এক্সিডেন্ট করেছিস? কাটে ছিঁড়ে নাই তো?
না বাবা তেমন কিছু হয় নি এই একটু কেটে গেছে আরকি। চিন্তা করো না আর তেমন কিছু হয় নাই।
চিন্তা তো এমনি এমনি চলে আসে
সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর পর লিপি বেগম এসে হাজির
অর্না মা কোথায় ভাবি? শুনলাম দুপুরে নাকি এক্সিডেন্ট করেছে?
কে বললো ভাবি কার কাছ থেকে শুনলেন ?
সোহান বলেছে ভাবি।
স্বর্না অর্নার রুমেই বসে ছিলো
লিপি বেগমের কণ্ঠ শুনতে পেয়ে রুম থেকে বের হয়ে এসে
আসসালামু আলাইকুম চাচী কেমন আছেন?
নিবু কি বাসায় আছে
কেন মা?
না আজ তো কলেজে যায় নাই অসুখ করলো নাকি?
না আজ সকাল বেলায় মেঘ দেখে আমিই যেতে বারণ করেছিলাম তাই ও আজ কলেজে যায় নি মা
ও বাসাতেই আছে
স্বর্না বললো তাহলে মা আমি যাই নিবুর সাতে দেখা করে আসি
সর্নার মা বললো যা তবে আধা ঘন্টা রিজুকে যেনো ডাকতে পাঠাতে না হয়
তুমি ঘড়ি ধরে আধা ঘন্টা পরে ডেকে নিও বলেই স্বর্না চলে গেলো।
অর্না ওর রুম থেকে আস্তে আস্তে বাইরে এলো।
(চলবে............)