সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর পর লিপি বেগম এসে হাজির
অর্না মা কোথায় ভাবি? শুনলাম দুপুরে নাকি এক্সিডেন্ট করেছে?
কে বললো ভাবি কার কাছ থেকে শুনলেন ?
সোহান বলেছে ভাবি।
স্বর্না অর্নার রুমেই বসে ছিলো
লিপি বেগমের কণ্ঠ শুনতে পেয়ে রুম থেকে বের হয়ে এসে
আসসালামু আলাইকুম চাচী কেমন আছেন?
নিবু কি বাসায় আছে
কেন মা?
না আজ তো কলেজে যায় নাই অসুখ করলো নাকি
না আজ সকাল বেলায় মেঘ দেখে আমিই যেতে বারণ করেছিলাম তাই ও আজ কলেজে যায় নি মা
ও বাসাতেই আছে
স্বর্না বললো তাহলে মা আমি যাই নিবুর সাতে দেখা করে আসি
সর্নার মা বললো যা তবে আধা ঘন্টা রিজুকে যেনো ডাকতে পাঠাতে না হয়
তুমি ঘড়ি ধরে আধা ঘন্টা পরে ডেকে নিও বলেই স্বর্না চলে গেলো।
(স্বর্না চলে গেলো । শাহাবুদ্দিন সাহেবের স্ত্রী ও লিপি বেগমের সাথে কথা চলতে থাকলো)
অর্না ওর রুম থেকে আস্তে আস্তে বাইরে এলো।
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন চাচী?
ভালো মা শুনলাম তুমি নাকি রিক্সা তেকে পড়ে গেছো? কাটে-ঠাটে নাই তো?
না...... ডান হাতে একটু চোট পেয়েছি আন্টি।
কে বললো আন্টি যে আমি এক্সিডেন্ট করেছি?
সোহান বলেছে মা।
রাগে ভেতর টা ফেটে যাচ্ছে তবুও কিছু বললো না অর্না।
ও আচ্ছা! (বলেই ভিতর রুমে চলে গেলো অর্না)
পরের দিন......
সকালে
সকালে নাস্তা সেরে অর্নার বাবা অর্না-স্বর্নার রুমে এলেন
কিরে অর্না মা এখন কেমন লাগছে ?
রাতে আপুর জ্বর এসে পড়েছিলো আব্বা স্বর্না বলে উঠলো। তাই নাকি রে কি বলিস আমাকে বা তোর মাকে ডাকিস নাই কেন?
আমি ডাকতে চেয়ে ছিলাম আব্বা আপুই মা মানা করলো বললো যে কিছু হয় নাই আব্বা- আম্মা কে অযাথা ডাকিস না বেশী রকমের সমস্যা ফীল করলে আমি বলবো আমি তাই ডাকি নাই আব্বা সরি......
বিকালে ফিরি ডাক্তারের কাছে নিয়া যাবো নে ভাত খেয়ে নাপা আছে খেয়ে নিস (জ্বরের ওষুধ)
আমি বিকালে ফিরে আসি। আর আজকে কলেজে যাইতে হবে না বাসায় থাক
রিজু পত্রিকা হাতে নিয়ে দৌড়ে এসে পত্রিকা টা শাহাবুদ্দিন সাহেবের হাতে দিলো......
পত্রিকা টা হাতে নিয়েই রিজু কে বললেন কিরে আজ স্কুলে যাবি না বাবা?
না বাবা... আপির তো শরীর ভালো না তাই আমারও মন ভালো না
আপই তো জ্বর তাই বলে তুই কেন স্কুলে যাবি না রিজু? বুঝি স্কুল ফাকি দিতে খুব ভালো লাগে
তুই আজ স্কুলে অবশ্যই যাবি আমি অফিসে গিয়ে বাসায় ফোন দেবো কিন্তু
স্কুল ফাকি দিলে তো চলবে না
আমি অফিসে যাবার সময়ে তোড় মাকে বোলে যাবো
স্বর্না তুইও কিন্তু কলেজ মার দিবি না সামনে না তোর পরীক্ষা
জ্বী আব্বা।
রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন শাহাবুদ্দিন সাহেব
স্বর্নার মা এসে বলে গেলেন এই তোরা খাবি আয় টেবিলে নাস্তা দিয়েছি
আম্মা আসছি স্বর্না বললো।
নাস্তার টেবিলে......
এই রিজু দুষ্টুমি বাদ দিয়ে খেয়ে স্কুলে যা ক্লাস সিক্সে উঠলি তাও যদি দুষ্টুমি একটুও কমে
তুমি থামো তো ঋজুর মা আমি বলে দিয়েছি ও আজ স্কুলে যাবে
কিরে যাবি না?
যাবো আব্বা।
এইতো আমার ছেলে ভালো ছেলে। ওহ হ্যাঁ অর্না সন্ধ্যায় এসে আমি তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো তুই আজ বাসায় থাক।
জ্বী আব্বা
শাহাবুদ্দিন সাহেবের স্ত্রী সাহাবুদ্দিন সাহেব কে এককাপ চা এগিয়ে দিলেন।
নিজ রুমে বসে বই পড়ছে অর্না, কলেজের বান্ধবীকে ফোন করে জানতে হবে আজ কি কি পড়া দিয়েছে ভাবলো সে।
মা দু কাপ চা হাতে......
অর্না চা করেছি খাবি
দাও মা
মা তোমার মোবাইল টা দিও তো কল করতে হবে
কেনো তোর টা?
পানি তে পড়ে ভিজে গেছে এরপর থেকে আর অন হচ্ছে না
আগে বলিস নি কেন তোর বাবা কে বলে সারাতে পাঠাইতাম
ওটা পরেও করা যাবে, অর্না বললো।
অর্নার মাথায় শুধু মাত্র একটা বিষয়ই ঘুরপাক খাচ্ছে
সোহান ভাইয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার এক্সিডেন্ট দেখলো কিন্তু এগিয়ে এলো না!!! ভাইয়া কে আমার জিজ্ঞাসা করতেই হবে কেন এটা করলো সে...
(চলবে)............
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯