বছরটা প্রায় শেষ হতে চলল। এই সময়টায় সবকিছু কেমন ঝিমিয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। ঝিমিয়ে যাবার কারণ আছে, সামনে নিউ ইয়ার। সেই উপলক্ষ্যে তাং ফাং করার জন্য সবকিছু শক্তি সংগ্রহ করছে। প্রতি বছরের শুরুতে আকাশ সমান আশা নিয়ে নতুন ক্যালেন্ডার লাগাই, নতুন একটা ডায়েরী লেখা শুরু করি। কিন্তু বছর শেষে কি পেলাম আর কি পেলামনা এই হিসাবের পাল্লাটা আর ব্যালেন্স হয়না।
২৬ তারিখ নাকি হরতাল। খুবই ভালো কথা, বন্ধুদের আড্ডায় প্রায়ই শুনতাম রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব দরকার, তাহলে খেলাটা ভালো জমতে পারে। কিন্তু সেই নতুন খেলোয়াড়কে যদি আরেক পুরনো খেলোয়াড়রা কয়লা মানে ইন্ধন যোগায় তাহলে তো স্ট্র্যাজেটিটা পুরনোই রয়ে গেল, নাকি তাদের কাছে হরতাল করার আর কোন ইস্যু নেই। ওলামা মাশায়েখ পরিষদ কি কি কারনে হরতাল ডেকেছে সেটা সম্পর্কে আমার ধারনা পরিষ্কার না। আশায় রইলাম হরতালের দিনই জানতে পারব। আবার হরতালের বিরুদ্ধে নানামুখী কারণ প্রদর্শন করে মুহম্মদ জাফর ইকবাল আজকে যা লিখেছেন তা পড়ে মনে হল এখানেও সেই স্বাধীনতাবিরোধী কেস, তার লেখার লাস্ট প্যারাটা ছিল এমনঃ এ দেশে যতবার শিক্ষানীতি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশের প্রগতিশীল মানুষ ততবার তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। এই প্রথমবার একটি শিক্ষানীতি দেওয়া হয়েছে, যেটি প্রগতিশীল মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে। দেশের ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যদি এর বিরোধিতা করে, তাহলে অন্য সবাইকে মাঠে নেমে এসে এর বাস্তবায়নের কথা বলতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী মানুষগুলোকে বোঝাতে হবে, এই দেশটি আমাদের—তাদের নয়!
অর্থাৎ, তার উর্বর [নাকি সরল] মস্তিকেও মনে হয়েছে হরতালের বিরুদ্ধে মাঠে নামা দরকার। কল্পনা করি কারা কারা নামবে? ছাত্রলীগ নামলে কাহিনী কোনদিকে মোড় নেবে? নাকি পুলিশ নিয়েই কাজ সাড়া হবে? মুহম্মদ জাফর ইকবাল যদি নিজেই তার ফ্যানক্লাব নিয়ে নেমে যান?
যাই হোক, এই শিক্ষানীতি কার্যকর হলে কি আজীবনের জন্য কার্যকর থাকবে? নাকি সরকার বদল হলে কলমের খোঁচায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো হবে? আর যদি তা না হয় তাহলে এর ফল পেতে কয়দিন লাগবে? এগুলো জাতি জানতে না চাইলেও আমার জানতে ইচ্ছে করে।
দ্রব্যমূল্যের আবার উর্ধ্বগতি। বাজারের গরম পত্রিকাগুলোতে লাগলেও ব্লগে লাগেনি। ব্লগাররা মনে হয় বুঝে গেছেন ......লাভ নাই। তবে আমি মনে করি পরিস্থিতি আরো খারাপ হোক, পরিস্থিতি আরো খারাপ হোক। কারণ শুনেছি, দুঃসময়ের চেয়ে সুসময় আর হয়না [বয়স কমতো তাই রক্ত গরম/নাকি উলোট পালট করে দে মা লুটে পুটে খাই!]
আর কি, পুরোপুরি ফালতু একটা পোস্ট হয়ে গেল। পাঠকদের কিছুই দিতে পারলামনা। তো একটা পুরনো জোকস বলি,
একটা নৌকায় এক জাপানী, এক আমেরিকান আর বাংলাদেশী ছিলো। জাপানি বলল, আমাদের আমার অনেকগুলা ঘড়ি আছে, বলেই তার ঘড়িটা পানিতে ফেলে দিল। আমেরিকান বলল, আমার অনেক টাকা আছে, বলেই সে তার টাকার ব্যাগটা পানিতে ফেলে দিল। এরপর বাঙ্গালী বলল, আমার অনেকগুলো ছেলে আছে, বলেই সে তার ছেলেকে পানিতে ফেলে দিল। না না ...... শেষ হয়নাই। এরপর ছেলেটা পানিতে ডুবসাঁতার দিয়ে দামী ঘড়ি আর টাকার ব্যাগ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেল।