স্বপ্ন দেখার শুরুটা ছিল ভালই,
মনের আনন্দে দেখে যাওয়া।
আজ স্বপ্ন গুলো নেই,
বইছে শীতল হাওয়া।
আজ দিনটা গুরুগম্ভীর,
একলা পথে চলা।
পথটাও আজ অনেক কঠিন,
ভাঙা কাচে ভরা।
আজ স্বপ্ন গুলো দিশেহারা,
আকাশের ওই মেঘ গুলোও ছন্নছাড়া।
শুধু গান গেয়ে যাই একলা বসে,
বাস্তবতাকে সঙ্গী করে।
একদিন থাকবেনা এই দেহে প্রাণ,
কিন্তু,বন্ধু,তবুও থাকবে আমার এই গান।
আমি থাকবনা পাশে,
কিন্তু পাবে আমায় এই গান গুলোর মাঝে।
বাংলাদেশ হাজার প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া একটি নাম। এর জীবন কাহিনিটিও এই কবিতার মতই। আজ দেশের হাজার মানুষ না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। রাজনীতিবিদরা তাদের নিজেদের পৃথিবী রক্ষায় উঠে পরে লেগেছেন। মাঝখানে আপামর জনতা মরছে। তাতে তাদের কি? তাইত,তাদের কি? জনগন তো তাদের কেউ না। এই দেশে প্রতিদিন হত্যা-গুম হয়, দেশ হারায় সাগর-রুনির মত সাংবাদিক। তাদের জন্য কে কথা বলবে? কেনই বা বলবে? তারা তো মামুলি জনতা, যারা স্বাধীন ভাবে কথা বলতে চায়, কেউ হয়ত বাঁচার মত বাঁচতে চায়। দেশের শুরুটা ছিল হাজারো স্বপ্নে গড়া। সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। সপ্নের কথা আজ বাদ-ই দিলাম, যেখানে জীবন রক্ষা করা দুঃসাধ্য সেখানে স্বপ্ন অনেক পরে আসে। আমিও এক মামুলি নাগরিক, যে হয়ত কোনদিন এইসব কথা চিন্তা করত না, কিন্তু অন্তত মনের ক্ষোভ মেটানোর জন্য হলেও আজ আমাকে এগুলো লিখতে হয়েছে। এই দেশ তো "গণতান্ত্রিক" দেশ। দেশের মানুষের মতামত অনুসারে দেশ চলার কথা। কিন্তু আজ আমরা কি দেখছি? আসলে আমরা দেখেও কিছুই দেখছি না, কারন আমাদের মনে আছে "চাচা,আপন প্রান বাঁচা" । গণতান্ত্রিক দেশে সমান অধিকার। আজ একজন অপহৃত হল, তার জন্য দেশ অচল। দেশে কয়টা অপহরন প্রতিদিন হচ্ছে তা কি কেউ খোঁজ নিচ্ছে? বাকিদের জন্য কেন দেশের নীতিনির্ধারকরা প্রতিবাদ করবে? তারা উনাদের কে? দেশের নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এক অপহরনের জন্য কত তদন্ত আর অভিযান চালাচ্ছে, কই, আর কয়জনের জন্য চালাচ্ছে? আসলেই ঠেলার নাম বাবাজি। আমরা তো ঠ্যালা ও দিতে পারিনা, তাই আমাদের কথা কারো অন্তরে দূরে থাক, কানেও পৌছুবেনা। কি আর করা, হয়ত সারাজীবন লিখেই কাটিয়ে দিব, কারন আমরা খুব বেশিই আত্মকেন্দ্রিক।
আমদের পূর্বপুরুষের রক্তের দাম দিতে পারলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬