এখন প্রতিটা রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল নিজেদের বাচাতে চাইছে। ধর্মপ্রাণ মানুষদের সবচেয়ে আবেগের এবং সুরক্ষিত জায়গা "ধর্ম বিশ্বাস" নিয়ে তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক না। কারন, রাজনীতি বলতে গনতন্ত্রে যা বুঝায় তা বাংলাদেশে এখনো সৃষ্টি হয়নি। দেশ যে পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা, আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আর দশজন সাধারন নাগরিকের মতই চিন্তিত,ভীত। আমার মনে হয়না আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই রকম একটা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। যদি এমন দেশই চাইতেন তাহলে এত রক্ত বিসর্জন না দিয়ে ওই ধর্মান্ধ-ক্ষমতালোভী পাকিস্তানীদের হাতেই নিরবে নির্যাতিত হতেন। তারাও ধর্মের দোহায় দিয়ে দেশ বিভাগের সময় (১৯৪৭) এ দেশের মানুষের সবচে সুক্ষ অনুভূতি নিয়ে খেলেছে। আজও এই অনুভূতিকে আঘাত করেই সবাই স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যস্ত। আমরা এমন মুসলিম রাষ্ট্র চাইনি যেখানে এক মুসলমানের হাতে আরেক মুসলমানের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। এমনটিই দেখা গেছে ১৯৭১- এ। ধর্মের নামে কত মানুষকে খুন করা হয়েছে??? আজ দেখছি ধর্ম রক্ষার্থে (!!) মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে, মসজিদের পবিত্র আঙিনাকে রাজনৈতিক কূট চালের আস্তানা হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা নিজেদের ইসলামের রক্ষক বলে পরিচয় দিচ্ছে আবার তারাই মসজিদে আগুন লাগাচ্ছে। বহিঃবিশ্বে এদেরই ইসলাম পন্থী (??) হিসেবে চিনে আসছে বিগত কয়েক দশকের রাজনীতির জন্য। এখন এদের কে রুখতে গেলে বহিঃবিশ্বের মানুষ ভাববে এই দেশে ইসলাম কে উৎখাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ফলে অনেক দিক থেকেই বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে (বৈদেশিক আয়,কর্মসংস্থান,ঋণ ইত্যাদি ) কিন্তু এদেরকে উৎখাত করা না গেলে এদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এই রাজনৈতিক দলগুলোর শোষণে বিগত বছর গুলোতে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ।
"গনতন্ত্রের নামে আর শোষণ চাইনা, চাইনা ধর্মের দোহায় দিয়ে অত্যাচার। চাই দেশ গড়ার নবীন নেতৃত্ব,আমার নিজের ধর্ম বিশ্বাস রক্ষার পরিবেশ আর আপামর জনতার তথা জাতীয় নিরাপত্তা, আইনের সুষ্ঠো প্রয়ুগ। চাইনা আমার দেশের দলীয়করণ চাই জাতীয়তাবাদ।"