কি মনে হচ্ছে? কিছু খাইনি। সুতরাং কিছু মনে হয় খেয়েছি চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকুন।
যাই হোক আসল কথায় আসি!
টপিক ১ ;
নোটবুক সামনে নিয়ে বসে আছেন। কলমের মাথাটা দু'চোয়ালের মাঝ বরাবর রেখে ভাবতে লাগলেন কি নিয়ে লেখা যায়।
ভেবে চিন্তে ঠিক করলেন আজ ভালোবাসা নিয়ে লেখবেন!
কিন্তু কি লিখবেন?
সাময়িক ভালোলাগার কথা কাউকে বলার সাহস হয়নি আপনার কখনো !
কিংবা কারো ভালোলাগার কারণ হয়েও উঠেননি আজ পর্যন্ত।
কিন্তু, দেখেছেন আপনার বন্ধু/বান্ধবীর সারারাত জেগে কথা বলা ,
কিংবা তাদের মাঝে কিছু ভালোবাসাময় মুহূর্ত!!
আড়ালে আড়ালে কান পেতে শুনেছিলেন তাদের এগিয়ে চলার সম্ভাব্যবাণী।
প্রত্যক্ষ করেছেন, নিস্তব্ধ রাতে তাদের বালিশ ভিজানো অশ্রুবিসর্জনের গল্পটা।
তাদের গল্পে আপনার ডুব দিতে হবে!! খুব বেশি গোছালো না হলেও খুব বেশি অগোছালো
হবে না আপনার লেখাটা । ভালোবাসার গল্পে গোছানো লেখা মানায় না ।।
টপিক ২;
রাজনীতি নিয়ে লিখতে গেলে , নিজের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে হবে।। ব্যাপারটা কিছুটা ভাষণ দেয়ার মতো হয়ে যাবে । ব্যাপার না। জাতির সম্মুখে আপনি কিছু বলতেই পারেন।
এবার সাধারণ মানুষের দিকে আসা যাক । এই ব্যাপারটা মোটেও সহজ এর কাতারে পড়ে না ।
আপনাকে রাস্তায় নামতে হবে । কিছু মানুষ এর জীবনের প্রতিচ্ছবি নিজের জীবনে আঁকতে হবে।
সহজে আঁকতে পারবেন না ।
কখনো টাকা শূন্য অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হেঁটেছেন?
এ পরিস্তিতিতে যেদিন পড়বেন, পারিপার্শ্বিক ব্যাপারগুলো আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।
সেদিন থেকে খুব সহজেই , আর দুচারটা খেটে খাওয়া মানুষের সাথে নিজের জীবনের তুলনাময়
প্রতিচ্ছবি আঁকা শিখে যাবেন।
টপিক ৩;
বাবা মাকে নিয়ে কিছু ভালোবাসার কথা লিখতে চান?
আপনার যে চোখ দুটো প্রেমিকার /প্রেমিক চোখে রেখেছেন;
সে চোখ দুটো কখনোই বাবা-মার চোখের দিকে ভালো করে চেয়ে দেখতে পারবেনা।
বেশ তো, আজ আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা আপনাকে বলেছে , যে নিজের বাবা মাকে ভালবাসতে জানেনা , সে অন্য কাউকে ভালোবাসতে জানে না।
হয়ে গেলো। কান্না শুরু। বাবা মার চোখে সেটি ঠিক ই ধরা পড়বে।
তাদের বন্ধুত্বপূর্ন কিছু জিজ্ঞাসাবাদের প্রত্তোত্তর দেবার আগে তাদের চোখের দিকে
একটু তাকিয়ে দেখবে। সেখানে ভালোবাসা অফুরন্ত।
যে ভালোবাসার শুরু হয়েছিলো , যেদিন আপনি আপনার মায়ের গর্ভে এসেছিলাম।
এ ভালোবাসার কোনো শেষ নেই।ঠিক সেদিন আপনি বুঝতে পারবেন বাবা মা কতটা আপন।
উপলব্ধি করতে পারবেন , তাদের প্রতি আপনার ও ভালোবাসা বিদ্যমান ।
যেটা প্রেমিক / প্রেমিকার দুচোখের মিথ্যে মায়ার আড়ালে সুপ্ততা লাভ করেছিলো।
সেদিন থেকে আপনি বাবা মাকে নিয়ে লিখতে শিখে জাবেন।
পৃথিবীতে সবকিছুই এরকম। লেখক/ লেখিকার ক্ষেত্র এ অভিজ্ঞতা জিনিসটা অনেকটা দরকার।
প্রতক্ষ অভিজ্ঞতা হতে হবে তা কিন্তু নয়। পরোক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু
প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকে ফুটিয়ে তোলা যায়।
কিছু কিছু ব্যাপার আবার পঞ্চইন্দ্রীয় এর উপর এও কিছুটা নির্ভর ।।
প্রিয় মানুষগুলোকে সবাই রাতের আকাশের তারাতে মিলিয়ে নিতে পারেনা!
যারা মিলিয়ে নিতে পারে ,
তারা রাতের জন্য প্রহর গুণতে থাকে। কখন তারাতে রূপ দেয়া প্রিয় মানুষগুলোকে জিজ্ঞেস
"তুমি কেমন আছো?"
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৬