পদ্মা-গড়াই-কালী নদীর অববাহিকার পলিমাটি কুমারখালীর প্রাণে এনেছে সঞ্জীবনী ধারা। ইংরেজ, নীলকর আর তার ক্রান্তিকালের হিন্দু জমিদার শ্রেণীর উদ্ভব ও বিকাশের ধারায় এখানকার সংস্কৃতিতে এসেছে মিশ্র অনুভাবনা। রাজনীতি, বিপ্লব, বিদ্রোহ, ধর্মচর্চা, মনন ও মানসিকতায় এর স্বাতন্ত্র্য এনে দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে। রবীন্দ্রনাথ, মীর মোশাররফ, জলধর সেন এবং আরো অনেক মনীষীর কর্মে ও জন্মে এ মাটি ধন্য। বিপ্লবী বাঘা যতীন এবং ওহাবী আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ কাজী মিয়াজান আমাদের চেতনার অগ্নিশিখা। লালন-কাঙাল হরিনাথ আমাদের লোকায়ত শিল্প ও মরমী চেতনায় সমৃদ্ধ করেছে।
সর্বোপরি, পদ্মা-গড়াই বিধৌত কুমারখালী বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রাণ কেন্দ্র। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবীদের জন্ম ও পদস্পর্শে এ মাটি ধন্য ও গর্বিত।
ভিজিট করুন
সবাইকে ধন্যবাদ ভিজিট করার জন্য।