somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উচ্চশিক্ষায় সংস্কার

২৬ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জলপাই সমর্থিত এই সরকার শুরুতে সারা দেশের সবকিছুতেই সংস্কারের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিল। তাদের বেশির ভাগ প্রচেস্টা ব্যর্থ হলেও কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র, উচ্চশিক্ষায় কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন ছাত্র হিসেবে গত তিন বছর আমি দেখেছি এই প্রতিস্ঠানের প্রতিটি অংশে পরিবর্তন কতটা জরুরী। দেশের সরকারী কলেজ ইউনিভার্সিটি গুলোর প্রত্যেক পদক্ষেপে রয়েছে অদক্ষতা। পড়াশোনার পিছনে প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার পরও কলেজ ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক দূরের কথা, রিজিওনাল মান অর্জনে ব্যর্থ। যেসব সফলতা আসছে তা সম্ভব হচ্ছে নিজস্ব উদ্যোগে। তাহলে দেশের জাতীয় বাজেটের মেজর অংশ শিক্ষার পিছনে ব্যয় করার যৌক্তিকতা কোথায়? আমার জানার খুব কৌতুহল দেশের থানা লেভেলের কলেজ গুলো থেকে এক জন ছাত্র অনার্স কিংবা মাস্টার্স পাশ করে কি তার প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে?

আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ইউনিভার্সিটির এ্যাডমিশন সিস্টেমের অদক্ষতা। ভর্তির এপ্লিকেশন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ক্লাস আরম্ভ করতে ৪-৫ মাস লেগে যায়। অথচ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের অফিস গুলোতে একগাদা কর্মকর্তা কর্মচারী আছে যাদের বাস্তবে কোন কাজ নেই। প্রতি বছর ভর্তি এবং ফাইনাল পরীক্ষার সময় অযথা নানা রকম কাগজপত্র নিয়ে ডিপার্টমেন্টের অফিস, হল অফিস, এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিস, ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়, শুনেছি পাশ করার পর সার্টিফিকেট পাবার ভোগান্তি এর কয়েক গুন বেশী। এসব ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা কবে চালু হবে?

ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট শুরু থেকে আজও under construction. লাইব্রেরী তে কোর্সের সবচেয়ে প্রয়জনীয় বই গুলোরও সর্বশেষ এডিশন পাওয়া যায়না। এসি থাকার পরও তা চালু করা হয় না।

সবচেয়ে হতাশজনক হল ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত। আমার এই বাইশ বছরের জীবনে ছাত্র রাজনীতির কোন সুফল দেখতে পাইনি, তবে এর বদৌলতে গত তিন বছরের ইউনিভার্সিটি জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় ছুটি কাটিয়েছি যা ভবিষ্যতে সেশন জ্যাম বলে গন্য করা হবে। একবছর বিরতির পর আবার ক্যাম্পাসে যত্তসব নেতাদের সদর্পে চলাফেরা এবং মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে।

এর মানে কি গুটি কতক ভিসি পরিবর্তন বাদে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে এই সরকারের কোন অবদান নেই?

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৫৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×