somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায়ায়ো মিয়াযাকি - এক অনন্য সাধারন মানবতাবাদী পরিচালক

২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে ত্রিমাত্রিক অ্যানিম্যাশনের যুগে দ্বিমাত্রিক অ্যানিম্যাশন চলচ্চিত্রের কথা অনেকেই ভুলতে বসেছে। কিন্তু এই দ্বিমাত্রিক অ্যানিম্যাশন চলচ্চিত্রেই সোনার ফসল ফলিয়ে চলেছে একটি দেশের চলচ্চিত্র শিল্প - দেশটির নাম জাপান। আর এই দ্বিমাত্রিক অ্যানিম্যাশনে জাপানের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম হলো হায়ায়ো মিয়াযাকি। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫টি অ্যানিম্যাশন ধারাবাহিক ও ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য লচ্চিত্র পরিচালনা ছাড়াও তিনি আরও অনেকগুলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন, অসংখ্য অ্যানিম্যাশন চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি লিখেছেন, নকশা একেছেন।


দুইবার অস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে অস্কার পেয়েছেন একবার, এছাড়াও দেশি বিদেশি অসংখ্য পুরস্কারতো রয়েছেই।
কে এই হায়ায়ো মিয়াযাকি? কেন তিনি এত বিখ্যাত? হায়ায়ো মিয়াযাকির জন্ম ১৯৪১ সালের ৫ই জানুয়ারী, টোকিওতে। তার বাবা ছিলেন উড়োজাহাজ কোম্পানীর পরিচালক আর মা ছিলেন একজন বইপোকা। ১৯৫৫ সালে প্রথম রঙিন জাপানি অ্যানিম্যাশন 'জাদু-সর্প' (হাকুজাদেন) দেখার পরেই তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন অ্যানিম্যাশনের ব্যাপারে, শিখতে শুরু করেন ছবি আকা। তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ১৯৭১ সালে ইসাও তাকাহাতা-র সাথে নির্মিত অ্যানিম্যাশন ধারাবাহিক 'লুপিন তৃতীয়'। তিনি প্রথম ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন ১৯৮৪ সালে তার দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিম্যাশন চলচ্চিত্র 'হাওয়াই উপত্যকার নসিকা'-র মাধ্যমে। এই পরিবেশবাদী চলচ্চিত্রটি বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে 'আমার বন্ধু তোতোরো' চলচ্চিত্রটি হায়ায়ো মিয়াযাকিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তোলে। 'তোতোরো' চরিত্রটি পরিণত হয় জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রে। কিন্তু কিংবদন্তী হওয়ার জন্য হায়ায়ো মিয়াযাকিকে অপেক্ষা করতে হয় 'রাজকন্যা মনোনোকে'- এর মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সমগ্র দুনিয়ার চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মধ্যে হইচই ফেলে দেয়। পরিবেশবাদী এই চলচ্চিত্রে মিয়াযাকি তুলে ধরেছেন পুরোনো যুগের সাথে নতুনের সংঘর্ষ, পুজিবাদের সাথে সামন্তবাদের সংঘর্ষ, নিম্নশ্রেনীর মানুষের জীবন ও শান্তির বানী। আমার মতে এটা হায়ায়ো মিয়াযাকির শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র। টাইটানিকের আগ পর্যন্ত 'রাজকন্যা মনোনোকে' জাপানের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিলো। হায়ায়ো মিয়াযাকির পরবর্তী চলচ্চিত্র 'আত্মার মুক্তি' জয় করে অস্কার পুরস্কার ২০০১ সালে। এর পরবর্তী সিনেমা 'হাউলের চলমান দুর্গ'-ও ২০০৪ সালে অস্কার পুরস্কারের মনোনয়ন পায়। এই প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রই জাপান ও বিদেশে ব্যাপক বাণিজ্যিক সফলতা পায়।২০০৮ সালে মিয়াযাকির 'পনিও' চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে - ইতোমধ্যেই এটা জিতে নিয়েছে অনেকগুলো পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে অর্জন করেছিলো ৯নং স্থান।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×