আর মাত্র এক বছর। তাহলেই গাড়ি চালাতে থাকবে না জ্বালনিনির্ভরতা । মানুষ হাতের নগালে পেয়ে যাবে এমন এক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন গাড়ি যেটা চলবে বাতাসে। ঘনীভূত বাতাস ট্যাংকে ভরে নিয়ে এটি পিচঢালা পথ ধরে ছুটে চলবে অন্য দশটি গাড়ির সমানতালে। এতে মূল্যবান জ্বালানি তেলের অপচয় রোধের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণকারী কোনো গ্যাস নির্গমণের আশঙ্কাও থাকবে না। ভারতের টাটা শিল্প গ্রুপ এই গাড়ির বাজারকরণের লাইন্সেধারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কোম্পানি। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রকৌশলী নেগরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। ' ওয়ান ক্যাট ' নামের জ্বালানি হিসেবে বাতাসনির্ভর যে, গাড়িটির কথা বলা হচ্ছে সেটি হবে ৫ আসনবিশিষ্ট। গাড়ির বডি নির্মিত হবে ফাইবার গ্লাসে। ওজন মাত্র সাড়ে তিন'শ কেজি। আর দামটাও হবে একবারেই সহনীয় পর্যায়ের - আড়াই হাজার ইউরো। বর্তমানে গাড়িগুলোর যেভাবে জ্বালানি তেল সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক থাকে, এটিতেও তেমনি থাকবে। তবে কার্বন ফাইবার তৈরী এই ট্যাংকে জ্বালানি হিসেবে অকটেন, পেট্রোল বা ডিজেল থাকবে না। ট্যাংকটি শুধুই ভরা থাকবে ঘনীভূত বাতাসে। কমপ্রেসারের মাধ্যমে এই ট্যাংকে বাতাস ভরতে সময় লাগবে মাত্র তিন মিনিট, যা ব্যাটারিচালিত গাড়িরর তুলনায় অনেক কম সময়। প্রতি চার ঘন্টা পর গাড়িটিতে কমপ্রেসারের মাধ্যমে বিকল্প পথে আবার বাতাস ভরার সুযোগ থাকবে। দূরপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি ফুয়েল বার্নার ঘনীভূত বাতাস গরম করার মাধ্যমে বাতাসের চাপ বাড়িয়ে দেবে। এভাবে দূরপথ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও গাড়ির পিষ্টন সদা সচল রাখবে। তবে এই ফুয়েল বার্নারে যে কোনো তরল জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে।
ওয়্যান ক্যাট গাড়ির নকশা তৈরিকারী জানান, দূরবর্তী পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবসময় গাড়িটির গতিবেগ থাকবে সমান, ঘন্টায় ১২০ মাইল। তবে কোনো একটি শহরের নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে এই গাড়ি হবে অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
সূত্র : দৈনিক যায়যায়দিন