হায়রে মানবতা! হায়রে মুসলিম দরদী জাতিসংঘ!!
১৪ বছরের মালালা ইউসুফজাই এখন বিশ্বের কিংবদন্তী নারী শিক্ষার অগ্রদূতের নাম। মিডিয়ার প্রধান শিরোনাম। সবকিছু ছাপিয়ে একটি আন্তর্জাতিক দিবসের নাম। জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই ১০ নভেম্বরকে মালালাদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং গতকালই বিশ্বে প্রথম পালিত হলো মালালা দিবস। দেশে দেশে এখনো তাকে নিয়ে চলছে তমুল হৈ চৈ।
কিন্তু বরাবরই এ প্রশ্ন জেগেছে, কেন মালার প্রতি বিশ্ববিবেকের এতো মায়া কান্না? তাহলে কী মালালার চেয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্র আফগানিস্তানের হাজার হাজার মালালা জীবন, ইজ্জত-সম্ভ্রমের মূল্য কম? সেখানে মার্কিনীদের বোমা হামলায় নিহদের জন্যে জাতিসংঘকে তো কোনো কর্মসূচি দেখি না? জাতিসংঘকে তো দেখা যায় না রোহিঙ্গায় মুসলিম গণহত্যার বিরোধ্যে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে? কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, ইরাকসহ নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে? প্রশ্নটি ঠিক এখানেই....?
শুনলাম, মালার দেশেো পালিত হয়েছে এ দিবসটি ঘটা করেই। তবে ঠিক জানি না_ তারা বুঝেই পালন করল না, নাকি প্রভুদের সন্তুষ্ট করার জন্য। দিবসটি পালনে মুসলমানদের জন্য কতটুকু ঠিক হয়েছে বা বেঠিক, প্রত্যেকের কাছেই যুক্তি আছে নিশ্চয়ই। সে যুক্তির নিরিখেই বলতে চাই_
অবশ্যই, একশ'বার মালালাদের শিক্ষার অধিকার রয়েছে, এ অধিকার বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকেরই ! তবে তা হতে হবে নিজেদের সংস্কৃতি-সভ্যতার সাথে মিল রেখেই। মালালা ো নারীবাদীরা আজ যে শিক্ষার কথা বলছে, তা কী আদেৌ মুসলিমবিশ্ব ো পাকিস্তানের সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই কোনো শিক্ষা? নিশ্চয়ই না।
বলতে সংকোচ নেই, বাংলাদেশসহ অধিকাংশ মুসলিমবিশ্বই পুরুষদের তুলনায় নারীদের শিক্ষা-দীক্ষা ো চাকুরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই নারীরা শিক্ষায় বেশ অগ্রসরো হয়েছে। অনেক মুসলিম দেশে পুরুষদের চেয়েো নারীরা বেশ অগ্রগামী। নবীজি সা. এর ভাষায় " দ্বীনী ইলম শিক্ষা নর-নারী প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।" এ চির সত্য বাণী থাকতে মুসলিমরা কেন জ্ঞানবিদ্বেষী হবে? যুগে যুগে মুসলিমরাই তো জ্ঞানের বাহক ছিল। আজো আছে, থাকবে।
তাই বলি_ শরঈ পর্দাসহ সহশিক্ষা ব্যতীত নারীরা যদি উচ্চশিক্ষা লাভ করে, তা শুধু ভালোই নয় বরং প্রশংসার যোগ্য। কোনো বিদ্যান বা আলেম নারী শিক্ষার বিরোদ্ধে বিষাদগার করতে পারে না। হয়তো জেনে থাকবেন, আমাদের দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদেরকেো বুখারি শরিফের দরস দিয়েছেন।
এবার আসা যাক মালার ব্যাপারে। মালালাকে কি সত্যিই তালেবানরা হামলা করেছে? এ বিষয়ে বির্তক প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে, যে মালালা আসলে তালেবানদের হামলার শিকার নয়; বরং সে ইসলামের শত্রুদের "সাজানো নাটকের অভিনেত্রী'। তালেবানরা যদি সত্যিই নারী শিক্ষার বিরোধী হতো, তাহলে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের কোনো মেয়েই স্কুলে পড়তে পারতো না। তখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই হতো তালেবানদের আক্রমনের প্রধান টার্গেট। অথচ মালালার এ বিচ্ছিন্ন হামলাটি (যা ইয়াহুদীরাই করেছে) ছাড়া কোথাো এধরণের হামলার খবর আমরা পাই না। ( খোদ তালেবানরাো এ ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছে।)
পরিশেষে_ বোকা মুসলমানদের " মালালা নাটকের' মিছে ধোকায় না পড়ে সঠিক বিষয় অনুসন্ধান ো বুঝার আহবান জানাই। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সকলকে সঠিক পথের দিশা দান করুন । আমীন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



