ইদানিং ব্লগে দেওবন্দীদের নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আজগুবি প্রসঙ্গ তুলে কুৎসা রটনো হচ্ছে। কিন্তু যারা এ কুৎসা রটনা করছে, তারা হলো একটি ভন্ড পীরের গৃহপালিত কিছু নিমকহাল উলামায়ে 'ছু'। এক ব্লগার ভাইকে তাদের মুখোশ উম্মুচনের জন্য তালিকা করতেও দেখেছি। তিনি অনেক ঘাটাঘাটি করে ওই পীরের প্রায় ৮০ জনের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বেশ ভাল কাজই তিনি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সেই ভাইকে।
তবে কথা হলো, দেওবন্দীদের নিয়ে যে যেভাবেই প্রোপাগান্ডা করুক না কেন; অন্তত সামুতে তারা কিছুতেই পানি পাবে না। কারণ এখনকার ব্লগারা অনেক সচেতন। অসত্য, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে তারা কিছুই করতে পারবে না। এরপরও ফিতনা থেকে বাচার জন্য এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
দেওবন্দীদের শত্রুদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। তালিকার শীর্ষে বেদাতী, গাইরে মুকাল্লিদ, কবরপুজারী, মাজারপন্থী ও বিভিন্ন ভন্ডপীরের মুরিদরা রয়েছে। এদের কাছে দেওবন্দীরাই হলো প্রধান শত্রু। কারণ দেওবন্দীরা তাদের ভণ্ডামী জনগণের কাছে প্রকাশ করে দেয়। এ কারণেই সুযোগ পেলেই দেওবন্দীদের পিছনে একহাত নেয়।
তবে তারা যতোই দেওবন্দীদের বিরোধিতা করুক এতে তাদের কিছুই হবে না। মনে রাখলে ভালো হবে_ উপমহাদেশের মুসলমানদের অধিকাংশই দেওবন্দপন্থী। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে নিয়ে সাধারণ মুসলমানরা দেওবন্দী উলামায়ে কেরামের আক্কীদা বিশ্বাসে বিশ্সাসী। বঙ্গবন্ধু, শহিদ জিয়া, জেনারেল এরশাদ, খালেদা, হাসিনা ফখরুল মইনুল সবাই এ ধারারই লোক। সুতরাং এ দেশে দেওবন্দী আলেম উলামাদের বদনাম করে কোনো লাভ হবে না।
আল্লাহ আমাদেরকে সত্যকে সত্য হিসেবে জানা ও মানার তাওফিক দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



