নবীজি সা. এর প্রতি ভালোবাস ঈমানের পরিচায়ক। একজন বিশ্বাসী ব্যক্তির কাছে ঈমান সর্বপেক্ষা প্রিয় সম্পদ। সুতরাং ঈমান, ইসলাম ও নবীজি সা.এর ভালোবাসার প্রশ্নে মুমিন কখনো দ্বিধাভক্ত হতে পারে না। মিডিয়াগুলো ৩/৪ যাবত কতিপয় ব্লগারদের বিরুদ্ধে যে প্রচারণা চালাচ্ছে, তা প্রজন্মের তরুণদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য, নাকি সত্যিকারে ঈমানের তাগিদেই? এক্ষেত্রেও কি আপনি দ্বিধান্নিত? শুরুতে বলেছি, দ্বিধারও কিছু ক্ষেত্র থাকে।
মানুষের সেন্সিটিব এ বিষয়গুলোকেও যদি আমরা অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেয়, তাহলে আমার জিজ্ঞাসা_ আর কী বলে গালি দিলে আমরা তাকে ধর্মের বিরুদ্ধে কুতসা বলে মেনে নিবো? মানুষের ক্ষোভে তেল ঢেলে একে আরো ইমোশনাল করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী! রাজিব, হত্যা নিয়ে তিনি কী মাতমই না করলেন। একজন নাস্তিকের মৃতু্্তে তিনি ছুটে গেলেন তার বাড়িতে, শুধু তাই নয় ; বরং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এই কুলাঙ্গারকে দাফন করে প্রকারন্তরে ১২ কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত দিয়েছেন। এরপর তার জানাজা নিয়ে দ্বিতীয় নাটকের শুরু। নাস্তিকের আবার ধর্মীয় রীতি অনুসারে জানাযা কিসের? এটা কী তার বিশ্বাসের সাথে তামাশা নয়? অজু ছাড়া জানাযা পড়া, তিন দিক থেকে জানাযায় দাড়ানো, মহিলারাও নামাজে অংশগ্রহণ, সর্বপরি তিন তাকবীরে জানাজা পড়ানোর রীতি অবশ্য ইসলাম ধর্মে নেই। জানিনা কোন ধর্মের রীতি অনুযায়ী তার এ নামাজ পড়া হয়েছে।
মুসলমানদের ক্ষোভের আরেকটি কারণ হলো_ তাকে কেন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের 'প্রথম শহীদ' বলে আক্ষায়িত করা হলো। শহীদ উপধি লাভ করা কী এতোই সহজ যে, যে কেউ যে কারো নামে শহীদ উপাধি দিতে পারে? এটা কী ইসলামের সঙ্গে উপহাস নয়?
সবশেষে বলতে যাই_ 'ইনোসেন্স অব মুসলিম’ এর জন্য যদি এর পরিচালক এবং অভিনেতাদের শাস্তির দাবিতে সারা বিশ্বের মুসলিম আন্দোলন করতে পারে, পরিচালক গ্রেপ্তার হতে পারে, সিনেমা নিষিদ্ধ হতে পারে। তাহলে আমরা কেন ঐ সিনেমা থেকেও খারাপ ভাষা ব্যবহার করা নাস্তিকদের শাস্তি দাবি করতে পারবো না??
তাছাড়া ধর্মকে আঘাত করার কারণে ইউটিউব পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল, তাহলে নাস্তিকব্লগাররা কেন নিষিদ্ধ হবে না??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



