মাঝে মাঝে পত্রিকায় অদ্ভুদ সব আইন শিরোনামে ফিচার দেখি। এতে অনেক দেশের অনেক বিচিত্র আইন সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো অদ্ভুদ আইন হয়তো এই তালিকায় নাই। তবে এবার বোধ হয় চলে আসবে। কারন গান শুনে জেল খাটতে হলে, এটা দুনিয়ার অদ্ভুদ আইনের অন্যতম সেরা অদ্ভুদ আইন হবে।
এক শ্রমিক প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে গাওয়া অশ্লীল গান মুঠোফোনের লাউড স্পিকারে শুনছেন। খবর পেয়ে কারখানায় গিয়ে রাহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে গান, পোশাকশ্রমিক গ্রেফতার
সবাইকে সাবধান হওয়ার এখনই সময়। এখন সবারই উচিত, পকেটে তুলা রাখা। কারন এই ধরনের গান কানে আসা মাত্রই কানে তুলা না দিলে আপনিও ফেসে যেতে পারেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, আটক রাহেল ও পলাতক দুজনকে আসামি করে পুলিশ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৭ (১) ধারায় মামলা হয়েছে। পলাতক দু’জনকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আমি যতদুর জানি, ৫৭ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল। আদালতে প্রমান হলে এদের ১৪ বছরের জেল হতে পারে।
আবার কয়েকদিন আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ (কার যেন ভাই) হত্যা মামলায় ১৪ বছরের জেল খেটে মুক্তির অপেক্ষায়। অন্যদিকে ধর্ষক পরিমলেরও জেল ১৪ বছর।
সুতরাং আমরা বলতে পারি অশ্লীল গান শোনা হত্যা-ধর্ষনের মতোই অপরাধ।
এবার নিচের অংশটুকু উস্কানিমূলক হয়ে থাকলে আগেই ক্ষমাপ্রার্থী ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মলয় কুমার সাহা জানান, আজ সকালে কারখানার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দোলন কুমার সাহা খবর দেন, এক শ্রমিক প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে গাওয়া অশ্লীল গান মুঠোফোনের লাউড স্পিকারে শুনছেন। খবর পেয়ে কারখানায় গিয়ে রাহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর শরীর তল্লাশি করে একটি মেমোরি কার্ড ও মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
এই অংশটুকু ভালো করে পড়ুন। এক সাহার খবরে আরেক সাহা গ্রেফতার করেছে। ভালোই চলছে সাহাদের চক্র।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০