"এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ" বর্তমান সরকারের এক জনপ্রিয় শ্লোগান। কিন্তু এত বড় গাল ভরা শ্লোগান উচ্চারন করাই সমস্যা। এর একটা চলতি রুপ থাকা দরকার।যাতে সবাই সহজে উচ্চারন করতে পারে। অনেক ভেবে করে দেখলাম এর চলতি রুপ এরকম হতে পারে-
'যাউকগা,সামনের দিকে আউগগা'
যাতে সরকারের যেকোনো উন্নয়ন দেখলেই সহজে বলতে পারি ,'যাউকগা,সামনের দিকে আউগগা'
যেমন আজকের তিনটা পত্রিকায় তিনটা খবর দেখে কার না বলতে ইচ্ছা করবে,'যাউকগা,সামনের দিকে আউগগা'
১)বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বন্ধুত্বের উপর যে জোর দিয়েছেন,তা আমাদের বন্ধুত্বের সংগা নতুন করে ভাবতে শেখায়।
বিদ্যুৎ আমদানির এ মূল্যহার অপেক্ষাকৃত বেশী হওয়ার কারণ সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, এটি শুধু বিদ্যুৎ আনা-নেয়ার ব্যাপার নয়, বন্ধুত্বেরও।
ত্রিপুরা থেকে আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ
পরনের কাপড় না থাকলেও ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব সম্পর্ক যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেতাতে সবাই একসাথে বলতে পারি 'যাউকগা,সামনের দিকে আউগগা'
২)এরপর আসি নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার প্রসঙ্গে।
এই মুহূর্তে রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের নাম নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার। ২০১৪ সালের মধ্যে এই ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এর পরে সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এবারও কাজ শেষ হয়নি। তবে ইতিমধ্যে খরচ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। আর দুর্ভোগ বেড়েছে ‘শত গুণ’। কবে নাগাদ এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হবে, তা-ও নিশ্চত করে কেউ বলছেন না।
সময় যাচ্ছে, খরচ ও দুর্ভোগ বাড়ছে
২০১১ সালে একনেকে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম ধাপে প্রকল্পের খরচ ছিল ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে এ খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে এখন প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। ধরন বলছে, সময় যত যাবে, এই খরচ আরও বাড়িয়ে নেবে ঠিকাদার।
সুতরাং সবাই মিলে বলতেই পারি, 'যাউকগা,সামনের দিকে আউগগা'
৩) আমরা জাতি হিসাবে তেলবাজ। একজন আরকজনকে তেল দিয়ে কার্য উদ্ধার করি। এটা কমাতেই প্রায় দ্বিগুণ দামে জ্বালানি তেল কিনছে বিপিসি ।
আন্তর্জাতিক বাজারে এক বছরের বেশি সময় ধরে কমছে জ্বালানি তেলের দাম। গত ডিসেম্বরে এর দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৩৬ ডলার। আর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতি ব্যারেলের দাম ধরেছে ৬১ ডলার ৩১ সেন্ট। গত ১৭ ডিসেম্বর ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ দর অনুমোদন হয়। এ হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রায় দ্বিগুণ দামে জ্বালানি তেল কিনছে সংস্থাটি।
প্রায় দ্বিগুণ দামে জ্বালানি তেল কিনছে বিপিসি!
ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলার ৩১ সেন্টের দর প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরো কমেছে। ৭ জানুয়ারি তা ৩৩ ডলারে নেমে আসে, যা প্রায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, জ্বালানি তেলের দাম কমার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আগামী মে মাস নাগাদ ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারে নেমে আসতে পারে জ্বালানি তেলের দাম।
এসব দেখে কোনো কথা হবে না। শুধু একটা শ্লোগানই দিতে পারেন, তা হলো -
'যাউকগা,সামনের দিকে আউগগা'
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০