বাংলাদেশে এই পর্যন্ত— মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত যে ২৫ আসামি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন, তার ২১ জনকেই ক্ষমা করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সংবিধান-প্রদত্ত ক্ষমতাবলে । এর প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ এবং তার অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মী। তাই তিনি চির স্বরনীয় হয়ে থাকবেন আওয়ামী লীগ এবং তার অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মনে।
একই পথে এবার যাত্রা করলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনিও চান তার পুর্বসুরির মত স্বরনীয়। তাই তিনি যুবলীগের নেতা আসলাম ফকিরকে ফাঁসিকাষ্ঠ থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
ফরিদপুরের যুবলীগ নেতার মৃত্যুদণ্ড মওকুফ ঃ ফাঁসির দড়ি সরিয়ে নেওয়া হলো মাত্র এক দিন আগে
তাঁর জন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে উপস্থিত হতে বলেছিল কারা কর্তৃপক্ষ। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার এক দিন আগে স্থগিত করা হয় খুনের আসামি যুবলীগের নেতা আসলাম ফকিরের ফাঁসি। কেননা, আগের দিন হঠাৎ করে ‘অস্বাভাবিক আচরণ’ শুরু করেন তিনি। শুধু তা-ই না, ওই দিনই প্রাণভিক্ষার দ্বিতীয় আবেদন ছোটে রাষ্ট্রপতির বরাবরে। তিন মাস পর আবেদন গৃহীত হয়। ফাঁসির দণ্ডাদেশ মওকুফ করে তাঁর সাজা ১৪ বছরের কারাভোগে নামিয়ে আনেন রাষ্ট্রপতি।
দ্বিতীয় দফায় প্রাণভিক্ষার আবেদন গৃহীত হয়ে আসলামের দণ্ড হ্রাস করা হয় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে সাংসদ নিলুফার জাফরউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তাঁর মুক্তি চেয়েছি, কারণ ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক, সে আমাদের দলের লোক, যুবলীগ নেতা।’
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮