আইসল্যান্ড থেকে আসা আগ্নেয়গিরির ছাইমেঘের কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় প্রতিদিন বিমান সংস্থাগুলোর ২০ কোটির বেশি ডলারের ক্ষতি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএভিএ গত শুক্রবার একথা জানায়।
বিমান সংস্থার একজন মুখপাত্র জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বর্তমান পর্যায়ে আইএটিএ'র প্রাথমিক এবং মাঝামাঝি (মোটামুটি) হিসাবানুযায়ী বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিদিনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি ডলার।
তিনি আরো জানান, আইএপিএ মন্ট্রিলে একটি সংকট কেন্দ্র খুলেছে। এই সংকট কেন্দ্র ইউরোপীয় বিমান নেভিগেশন সার্ভিসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করবে।
এদিকে প্যারিস থেকে বার্তা সংস্থা জানায়, আইসল্যান্ডে বর্তমানে আগ্নেয়গিরির যে উদগীরণ চলছে তাতে গোটা ইউরোপে বিমান চলাচল ব্যাহত হতে পারে। আর এটা ১৭৮৩ সালে দেশের লাকি আগ্নেয়গিরির তুলনায় ছোট আকারে শুকনো। ১৭৮৩ সালের আগ্নেয়গিরিকে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে ধ্বংসযজ্ঞ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বলে মনে করেন।
লাকি আগ্নেয়গিরির উদগীরণ ঘটে স্ক্যান্ডিনেভীয় দ্বীপের দক্ষিণাংশে। সেখানেই চলতি সপ্তাহের আগ্নেয়গিরির উদগীরণ ঘটে।
লাকি (১৭৮৩) উদগীরণে এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা এবং গোটা ইউরোপে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারায়।
আগ্নেয়গিরির উদগীরণ থেকে স্থানীয় জনগণ মারা যায়নি। তবে বিষাক্ত গ্যাসের শ্বাস গ্রহণে লোকজন মারা যায়। তবে এতে ঐ অঞ্চলে অর্ধেকের বেশি ভেড়া ও গবাদিপশু মারা যায়।
লাকি উদগীরণ ১৭৮৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ইউরোপ জুড়ে এটা লাকি কুয়াশা নামে পরিচিত হয়ে যায়। অপরদিকে ১৭৮৩ সালের গ্রীষ্মে বৃটেনে ছাইয়ের বৃষ্টির কারণে বালির গ্রীষ্ম বলে এটা পরিচিত হয়ে যায়।
বৃটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে গ্যাসের শ্বাস গ্রহণের কারণে ২০ হাজারের বেশী বৃটিশ নাগরিক মারা যায়।
জেনেভা থেকে এএফপি :