আমাদের শেষ নবী (সাঃ) আল্লাহর নিকট অনুরোধ করায় আমরা আল্লাহ পাকের গজব থেকে বাঁচতে পারছি। শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমরা এভাবে বেঁচে গেলাম। আমাদের নবী (সাঃ) আমাদের জানিয়ে গেছেন শেষ যামানায় বিভিন্ন ঘটনা সংঘটনের মাধ্যমে কেয়ামতের আলামত দেখা দিবে যার মধ্যে সমাজের ভাল মানুষগুলোকে উঠিয়ে নেবার ঘটনা অন্যতম। আমাদের সকলেরই জানা এ সরকার ইসলামী নেতৃত্ব ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আর আমরা জনগন অন্ধভাবে সরকারের ষড়যন্ত্রে সহযোগীতা করছি। অথচ আমরা যদি একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তাকাই তবে দেখবো শুধুই প্রহশন আর তামাশা!!! ইসলামের সৈনিকদের ভয়ের কোন কারন নেই। ”সত্য সমাগত, মিথ্যা পরাভূত, সত্যের বিজয় অবস্যম্ভাবী” এটা স্বয়ং আল্লাহ পাক আল কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচার কে- না চায়!! কিন্তু বিচারের নামে ট্রাইবুনালে কি হচ্ছে তার আমরা খবর নেবার চেষ্টা করিনা। সেখানে সরকারী মর্জিমত নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাক্ষি দাড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে সাক্ষীদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। ট্রাইবুনালটিকে যে দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে তা বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয়।
এ সরকার চরম ধুর্ত। এক ইস্যুকে ঢাকতে অন্য ইস্যুকে ব্যবহার করতে ইতিমধ্যেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে!! শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত; কিন্তু বার বার সে মাছ বেরিয়ে গেছে। আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি বার বার বলেই যাচ্ছেন আমি ক্ষমতা চাই না, সাধারন মানুষের সেবা করতে চাই!! উনার মুখে এসব কথা একটু বেমানান লাগে কারন বাস্তবতাই বলে দিচ্ছে উনি কি চান!!!
আমি ব্লগারদের অনুরোধ করতে চাই আসুন আমরা প্রকৃত তথ্য জানার চেষ্টা করি এবং মুখস্ত বুলি না আউড়িয়ে ব্লগে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করি। আপনি যদি প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন থেকে বিরত থাকেন তবে কেয়ামতের কঠিন বিচারের মাঠে আপনার হাত- মুখ আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে। সেদিন আল্লাহ পাক মুখ বন্ধ করে দিবেন এবং অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রকৃত তথ্য আল্লাহর সম্মুখে প্রদান করবেন।