somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্রস্টার অস্তিত্ত ,অনস্তিত্ত , মানুষের সীমাবদ্ধতা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজ্ঞান মানুষের অনেক অজানাকে জানার সূযোগ করে দিয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আজকের সভ্যতা পুরোটা দাড়িয়ে আছে বিজ্ঞানের উপর ভর করে। মানুষ চাঁদে গিয়েছে, মঙ্গলে যাবো যাবো করছে, একদিন হয়তো পৌছে যাবে মঙ্গল ছাড়িয়ে আরো দূরের কোন গ্রহে।
তারপরও বিজ্ঞান সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলেছে ,এটা ভাবারও কোন কারণ নেই।এখনো সমুদ্রতলের আশি ভাগ অজানা রয়ে গেছে, মহাবিশ্বের বাইরে কি আছে এখনো মানুষ জানেনা। মহাবিশ্বের কোন অজানা প্রান্তে এমন কেউ কি আছে যারা আমাদেরই মত চিন্তা করছে, ভাবছে তাদের মহাবিশ্বের বাইরে কি আছে!!!!!
একসময় ধারণা ছিল পরমাণু পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণিকা ,যেটাকে আর ভাঙা যায়না। তারপর দেখা গেল পরমাণুকেও ভাঙা যায়, পাওয়া যায় ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।এখন দেখা যাচ্ছে ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রনকেও ভাঙা যায়, পাওয়া যায় ফোটন, পজিট্রন ইত্যাদি। তাই বিজ্ঞান আজ যেটাকে অমোঘ সত্য বলে মেনে নিয়েছে , দুইদিন পর দেখা যাবে সেটা সত্যনা, এসেছে নতুন কোন ধারণা।
খুব সহজ এবং পরিচিত একটা জ্যামিতিক সমস্যা দিই। একটা একক দৈর্ঘ্য বিশিস্ট বর্গের কর্ণের দৈর্ঘ কত? কেউকি নিখুঁত ভাবে বলতে পারবে এটার মান কত? চোখ দিয়ে দেখা যাচ্ছে কিন্তু মাপা যাচ্ছেনা, কি অদ্ভূদ না!!
সসীমের মধ্যে অসীমের একটা চমৎকার উদাহরণ। বিজ্ঞান আরো অনেক কিছুরই উত্তর দিতে পারেনা। মানুষ এখনো জানেনা ভাইরাস উদ্ভিদ না প্রাণী, ইলেক্ট্রন ওয়েভ না পার্টিকল। বিজ্ঞান জানে জীব কোষ তৈরী হয় হাইড্রোকার্বন দিয়ে আর হাইড্রোকার্বন তৈরী হয় কার্বন, হাইড্রোজেন আর কিছু অক্সিজেন ,নাইট্রোজেন দিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞান এখনো জীবিত জীব কোষ তৈরী করতে পারেনা। মানুষের জ্ঞানের পরিধি এখনো এতদূর পৌছায়নি।
একটা মানুষের তৈরী রোবট কিন্তু কখনোই বুঝবেনা দুঃখ কি, সূখ কাকে বলে, ভালোবাসা কি ,কস্ট কাকে বলে। কারণ তার জ্ঞানের পরিধি এতদূর বিস্তৃত না, তার পক্ষে কখনোই এগুলো কল্পনা করা সম্ভব নয়, তাকে এত ক্ষমতা দেয়া হয়নি। আর মানুষ পারলেও কখনো রোবটকে এত ক্ষমতা দিবেনা কারণ তাতে করে তার নিজেরই ধ্বংস হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।

ধরুন, তেলাপোকারা চিন্তা করলো মানুষ চাঁদে গিয়েছে আমরাও মহাকাশযান বানিয়ে চাঁদে যাব!! এটা কতবড় একটা হাস্যকর চিন্তা যে তেলাপোকারা মহাকাশযান বানিয়ে চাঁদে যাবে। এটার পিছনে কারণটা কি ,কারণটা হলো ওদের এতটা জ্ঞান দেয়া হয়নি যে তারা চাঁদে যাওয়ার কথা চিন্তা করবে। তাদের জ্ঞান খাবার সংগ্রহ করা আর শত্রুর হাত থেকে কিভাবে বাঁচতে হবে এগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তেমনি মানুষের জ্ঞানেরও একটা পরিধি আছে, পরিধির বাইরে কল্পনা করার ক্ষমতা মানুষের নেই। আপনি আপনার পরিচিত দশজন মানুষকে ভূতের ছবি আঁকতে দিন, দেখবেন সবারই ভূতের আকৃতি মানুষের মত অথবা চেনা জানা কোন প্রাণীর মতো। এখানেই মানুষের কল্পনার সীমাবদ্ধতা , নিজের চেনা জানার বাইরে কল্পনা করা মানুষের জন্য কঠিন। মানুষের চেনা জানা দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা এবং সময় এই ডাইমেনসন গুলোর বাইরে হয়তো আছে আরো ডাইমেনসন যা কল্পনা করা মানুষের ক্ষমতার বাইরে। সৃস্টি থাকলে সৃস্টিকর্তা থাকতে হবে, কিন্তু সৃস্টিকর্তার সৃস্টিকর্তা কে এই প্রশ্নের উত্তর বের করাও মানুষের জ্ঞানের পরিধির বাইরে, এতটা ক্ষমতা মানুষকে দেয়া হয়নি। মহাবিশ্বের তুলনায় মানুষের জ্ঞান, মানুষের তুলনায় তেলাপোকার জ্ঞানের মতোই।
তাই সৃস্টিকর্তা আছেন কোথাও , হয়তো তিনি মুসলমানদের আল্লাহ অথবা হিন্দুদের ভগবান অথবা খৃস্টানদের গড অথবা অন্য কেউ, অজানা কেউ!!!!!!!!!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
৭৭টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×