
নিকোলাস স্পার্কস(৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৫ ) একজন আমেরিকান চিত্রনাট্যকার এবং ঔপন্যাসিক।স্পার্কসের জন্ম আমেরিকার নেব্রাস্কার ওমাহাতে। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস দ্য নোটবুক। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালের অক্টোবর মাসে।তার প্রেমের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী তরুণ প্রজন্ম এর কাছে আলাদা ইমেজ তৈরি করেছে।তার নোটবুক উপন্যাস থেকে নির্মিত চলচ্চিত্রটি তরুণদের মধ্যে এ পর্যন্ত পছন্দের প্রথম তালিকায়।তার প্রকাশিত উপন্যাস মেসেজ ইন এ বোতল, এ ওয়াক টু রিমেম্বর, দ্য রেস্কু, এ বেন্ড ইন দ্য রোড, নাইটস ইন রোডানডি, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ওয়েডিং, থ্রি উইকস উইথ মাই ব্রাদার, অ্যাট ফার্স্ট সাইট, ডিয়ার জন, দ্য চয়েজ, দ্য লাকি ওয়ান, দ্য লাস্ট সং, সেফ হেভেন, দ্য বেস্ট অফ মি। ।
নিকোলাস স্পার্কস উপন্যাস থেকে নির্মিত চলচ্চিত্র
১ । The Notebook (2004)

দ্যা নোটবুক নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই।যারা মুভি পাগল এবং মাঝে মাঝেও মুভি দেখেন তাদের সবার মুভিটি দেখা হয়ে গেছে ।মুভিটি সর্বকালের শ্রেষ্ট রোমান্টিক মুভির তালিকায় নাম আছে।আমার কাছে এখনো কেউ রোমান্টিক মুভির নাম চাইলে প্রথমেই দ্যা নোটবুকের নাম বলে দেই ।
দ্য নোটবুক ২০০৪ মুক্তি পায়। মার্কিন রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র নিকোলাস স্পার্কস রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নিক ক্যাসাভেটস। অভিনয়ে ছিলেন রায়ান গসলিং, রেকল ম্যাকঅ্যাডামস, জেমস গার্নার, গেনা রোনাল্ডস প্রমুখ।
দ্য নোটবুক নোয়া ক্যালহন এবং অ্যালিসন "অ্যালে" হ্যামিলটন নামে দুজন তুরুণ-তরুণির ১৯৪০ সালের দিকে প্রেমে পড়ার গল্প। তাদের গল্প বর্তমান থেকে পেছেনের দিকে একজন নেপথ্য সংলাপের মাধ্যমে বলা হয়েছে।পুরানো এক নোটবুক থেকে কাহিনী পড়ে শুনাচ্ছেন এক বৃদ্ধাকে।
মুভিতে ১৫ বছরের কিশোরী অ্যালি আর ১৭ বছরের কিশোর নোয়াহ। ছুটি কাটাতে এসে অ্যালির দেখা হয় নোয়াহ-এর সাথে। এই অল্প সময়ের পরিচয়েই একে অন্যের প্রেমে পরে তারা। দুজনের জীবনেই এসেছে নানা পরিবর্তন, এসেছে বেশ কিছু নতুন মানুষ।এসব নিয়েই এগিয়েছে কাহিনী
মুভি ট্রেলার
২। Dear John (2010 )

যারা চিঠি চালাচালি করেছেন তাদেরকে ডিয়ার জন মুভিটি চিঠি আদান-প্রদানের ঘটনাগুলো আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।চিঠি এ মুভির একটি বিশেষ দিক।যারা চিঠি লিখতেন তাদের প্রেমিকার চিঠির জন্য অপেক্ষা এবং চিঠির উত্তর পাবার অপেক্ষা ।মুভিতে দেখা সেই দৃশ্য আপনাকে নষ্টালজিয়ায় ভোগাবে।এ যুগের ভার্চুয়াল প্রেমিক-প্রেমিকাদের ডিয়ার জন মুভির নায়ক নায়িকা চেনিং টেট্যাম এবং আমান্ডা সেইফ্রাইড অসাধারন অভিনয় হৃদয় ছুয়ে যাবে ।ভার্চুয়াল প্রেম-ভালবাসার তুলনায় মানবিক ভালবাসার অপুর্ব মিশ্রণ ডিয়ার জন।
ডিয়ার জন ছবিটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। নিকোলাস স্পার্ক এর ডিয়ার জন উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন - লেসি হালস্ট্রোম । এক সৈনিকের প্রেমে পড়ার গল্প ।যুদ্ধের ময়দানে বসে প্রেমিকার চিঠির জন্য প্রতিক্ষা।এসব নিয়েই দারুন এক মুভির ডিয়ার জন।
মুভি ট্রেলার
নিকোলাস স্পার্কস রচিত উপন্যাস অবলম্বনে আরো কিছু চলচ্চিত্র-
আমি যাস্ট ৩টা দেখেছি। দ্যা নোটবুক,ডিয়ার জন,সেফ হেভেন। বাকি গুলা সময় পেলে দেখার ইচ্ছে আছে।নিকোলাস স্পার্কসের রোমান্টিক সেন্স বেশ ভালো।সেই থেকেই বাকি গুলার দেখার আগ্রহ আছে

চেতন ভগত

চেতন ভগত( এপ্রিল ২২ , ১৯৭৪) একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক, নিবন্ধকার, বক্তা ও চিত্ৰনাট্যকার। চেতন ভগত ভারতের রাজধানী দিল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিলো পাঞ্জাব মধ্যভিত্ত পরিবার।তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা (লেফট্যানেন্ট কর্নেল) এবং মা কৃষি বিভাগ একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি নিউ দিল্লির আর্মি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনেলাজি দিল্লী (আইআইটি দিল্লী) থেকে স্নাতক এবং ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদ (আইআইএম আহমেদাবাদ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি নেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১১ বছর ব্যাংকে চাকুরি করেন এবং পরবর্তীতে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুম্বাই চলে আসেন। ইতিমধ্যে তিনি ৭টি বই লিখেছেন আর এর সবগুলোই সর্বোচ্চ বিক্রিত বই।তাঁর লেখা বেস্টসেলার বইয়ের মধ্যে রয়েছে "ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান" (২০০৪), ""ওয়ান নাইট @ এ কল সেন্টার"" (২০০৫), ""দ্য থ্রি মিস্টেকস্ অব মাই লাইফ"" (২০০৮), ""টু স্টেটস্ঃদ্য স্টোরি অব মাই ম্যারেজ"" (২০০৯), ""রিভুল্যুশন ২০২০"" (২০১১), এবং ""হাফ গার্লফ্রেন্ড"" (২০১৪)। এ বইগুলোর কারনে সারাবিশ্বের পাঠকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। এর মধ্যে চারটি উপন্যাস অবলম্বনে বলিউডে নির্মিত হয় সিনেমা (সিনেমাগুলো হচ্ছে "থ্রি ইডিয়টস, কাই পো চে এবং টু স্টেটস্)। ২০০৮ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী ভারতের ইতিহাসে চেতন ভগত ইংরেজি ভাষায় সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের লেখক।
চেতন ভগত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচিত্র
১।Kai po che! (2013)

গুজরাতি ভাষায় ‘কাই পো চে’ মানে বাকাট্টা ।উপন্যাসের সঙ্গে ছবির গল্পে কিছুটা ভিন্নতা আছে।চেতন ভগতের “থ্রি মিস্টেক অফ মাই লাইফ” গল্প থেকে তৈরী কাই পো চে !
তিনজন বন্ধু নিয়ে কাহিনী এগিয়েছে।বন্ধুর থেকে অনেক বড় কিছু একে অপরের জীবনে ।পরিবার, স্বপ্ন, প্রেম,পাগলামি সবই আছে ।
অমদাবাদের তিনটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, ঈশান-গোবিন্দ-ওমি। ঈশান ওমি নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। কথা শুনে কাজ করে। গোবিন্দ শান্ত, অঙ্কের মাথা পরিষ্কার। ব্যবসাবুদ্ধি আছে। ওরা ঠিক করে, খেলাধুলোর সরঞ্জামের দোকান দেবে। সঙ্গে ক্রিকেট কোচিং। ক্রিকেট ভালবাসে তিন জনেই। তবে ঈশানের ক্ষেত্রে ক্রিকেটটাই ধ্যান-জ্ঞান। সে-ই খুঁজে বার করে বাচ্চা ছেলে আলিকে । আলির ব্যাটিং দেখে ঠিক করে, তাকে বড় ক্রিকেটার বানাবে। গোবিন্দ ব্যবসা দাঁড় করানোর দায়িত্ব নেয়। রাজনীতি ,দাজ্ঞা ।
এক কথায় দারুন মুভি।যারা দেখেন নি তারা দেখতে পারেন।
মুভিটি ব্যবসা করতে পারেনি তবে সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে ।
মুভি ট্রেলার
২।2 States (2014) -

আশা আকঙ্খা , স্বপ্ন ভঙ্গ, প্রেম- ভালোবাসা , বন্ধুত্ব নিয়ে ভাল লাগার মত মুভি ২ স্টেট ।চেতন ভগতের ""টু স্টেটস্ঃদ্য স্টোরি অব মাই ম্যারেজ"" উপন্যাস থেকে নির্মিত ২ স্টেট
কৃশ ( অর্জুন কাপুর) অনন্যা ( আলিয়া ভাট ) দুজন দুইজনকে ভালবাসে ।কৃশ ও অনন্যা পরিবারে সম্মতি তে বিয়ে করতে চায় কিন্তু কৃশ ও অনন্যা দুজনের কারও পরিবার সহজে মেনে নেয় না। পরিবার কে রাজি করানো নিয়ে এগোতে থাকে কাহিনী।
করণ জোহর এবং সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার যৌথ প্রযোজনায় ২ স্টেট সিনেমাটি - অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট,অর্জুন কাপুর ।
মুভি ট্রেলার
ইয়ে মানে আমি কিন্তু এখনো চেতন ভগতের “ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান” থেকে নির্মিত থ্রী ইডিয়ট দেখি নাই
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



