জামাতিরা নিজেদের ইসলামের রক্ষক দাবী করলেও অনেকে মনে করেন এরা ধর্ম ব্যবসায়ী এবং ইসলামের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টিকারী। কাদিয়ানীদের মতোই এরা একটা ফেরকা। কিছু লোক মনে করেন, এরা পাকিস্তান পন্হী / ভারত বিরোধী রাজনৈতিক দল। এদিকে জামাতিরা নিজেদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবী করে।
তবে শাহবাগ আন্দোলনের মধ্যে যে জনিসটি বেরিয়ে এল তা হচ্ছে, অনেকে জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে যেভাবে ইসলামের বিরোধিতা করেছে, তা এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষদের ক্ষেপিয়ে তুলেছে। অথবা, বলা যায় জামাত সাধারণ মানুষদের ফুসলিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। আরো একটি ব্যাপার, অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দল, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে এবং শাহবাগ আন্দোলনের আগ পর্যন্ত এই ব্যাপারে মাঠে নামেনি, তারাও আজ ইসলাম রক্ষার নামে মিছিল সমাবেশ করছে।
এর পেছেনে যে বিষয়টি দায়ী বলে আমি মনে করি তা হল, অনেকে জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে ইসলামের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছে। বিশেষ করে আধা-নাস্তিক ও নাস্তিক ব্লগার/সাংবাদিকরা অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে। তাদের সেসব ইসলাম বিরোধী লেখা-লেখি তথ্যপ্রযুক্তির এদিনে
ফেসবুক, টুইটার ও অন্যান্য ব্লগ ও সামাজিক সাইটে সহজে পাওয়া যায়। (যেমন, প্রিয় ব্লগার রাজিব হত্যার পরে তাঁর ব্লগ ও ইসলাম বিরোধী লেখা গুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।) সরকারও এহেন ইসলাম বিরোধী লেখকদের সমর্থন দিচ্ছে বলে আজকে একটি দৈনিকে প্রকাশ পেল। লেখাটিতে অভিযোগ, প্রকাশ্যে ধর্ম ও আদালত অবমাননার পরেও এসব নাস্তিক ব্লগার ধর্মদ্রোহী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই আমি মনে করি, জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে ইসলামের বিরোধিতা সঠিক নয়। যুদ্ধাপরাধীরা নিপাত যাক, কিন্তু ইসলামের অবমাননার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।