গত ৮ই জুন করাচীর একটি পার্কের কাছে সরফরাজ নামক ২২ বছরের এক তরুন খুন হয়। করাচীর এক বেসামরিক ব্যাক্তি ডাকাত বলে সরফরাজ কে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স দের হাতে তুলে দেয়। এরপর রেঞ্জার্স সদস্য শহিদ জাফর এর গুলিতে সরফরাজ নিহত হয়।
গতকাল অর্থাৎ ১৩ই আগস্ট করাচীর আদালত সেই ঘটনায় জাফরের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। এই রায় দিতে তারা সময় নিয়েছে ২ মাস ৫ দিন। কিন্তু আমাদের দেশে শুধু এই বছর পুলিশের নির্যাতনে কতজন নিহত হয়েছে সেটা গুনে বের করতে হয়তো পাঠকের বেশ কষ্ট হবে, উদাহরন সরুপ বলা যায় মিলন ,সেই ৬ ছাত্র, পঙ্গু লিমন, কাদের এমন আরও অনেক ঘটনা। মিলন হত্যার পরে সেই ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলেও পুলিশ বলেছে যে তারা কোন ভিডিও পায়নি।মিলন হত্যার ভিডিও
৬ ছাত্র কে ডাকাত বানাতে সরকার এবং পুলিশের যৌথ চেষ্টা এখনো চলছে। কাদের কে দীরঘদিন হাসপাতালের প্রিজন সেলে বন্দি রেখে তারপর মুক্তি দেয়া হয়েছে। আর প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি খবরের কাগজে পুলিশের নির্যাতনের চিত্র। কিন্তু সন্ত্রাসী রক্ষি সাহারার কাছে এসব কিছুই "বিচ্ছিন্ন" ঘটনা। তবে তার দলের কোন ক্যাডার অন্য সন্ত্রাসীর গুলিতে ইহলোক ত্যাগ করলে আলাদা কথা। আমরা পাকিস্তানকে এখন গালাগালি করি, আমাদের দেশে ১৯৭১ সালের গনহত্যার কথা সরণ করি, আবার যেকোনো ব্যাক্তি যদি দিনে কম করে ৪৯ বার "বঙ্গবন্ধু" -র নাম না জপে তাহলে তাকে সুজোগ মত "রাজাকার" বানিয়ে দেই। কিন্তু এখানে একটা বিষয় লক্ষ করুন, পাকিস্তানিরা আরেক দেশ থেকে এসে আমাদের হত্যা করেছিল। তারা কিন্তু নিজেদের মাঝে এই হত্যাকাণ্ড চালায়নি, তাদের দেশে অন্যায় ভাবে একজন খুন হল আর তার বিচার হল ২ মাসের মধ্যে। অন্যদিকে হানাদার বাহিনী এখন আমাদের নিজের দেশেই, গনহত্যা এখনো চলছে, আর চালাচ্ছে সরকার মদতপুস্ট ব্যাক্তিরা এবং সাথে তাদের পুলিশ বাহিনী। এরপর পাঠক কাকে গালাগাল করবেন। শ্ত্রু তো ঘরেই বসে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




