somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামায গুনাহ মাফের উসিলা

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.উবাদা ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে সময়মত সালাত আদায় করেছেন এবং রুকু সেজদায় খেয়াল রেখে মনোনিবেশের সাথে সালাত আদায় করে, অবশ্যই আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন। আর যে তা করবে না, তার অপরাধ মাফ করে দেয়া সম্পর্কে আল্লাহর কোনো দায়িত্ব নেই। ইচ্ছা করলে তিনি মাফ করতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে আযাবও দিতে পারেন। (আবু দাউদ)

২.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও এক জু’মআ থেকে আরেক জু’মআ পর্যন্ত পঠিত নামাযের মধ্যকার (সব গুনাহ) জন্য কাফফারাহ, যে পর্যন্ত কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে।

৩.হযরত উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : যদি কোনো মুসলমান ফরয নামাযের সময় হলেই ভাল করে অযু করে তারপর খুশু ও খুশু সহকারে নামায পড়ে তার এ নামায তার আগের সমস্ত গুনাহের কাফফারাহ হয়ে যায়। যে পর্যন্ত সে কবীরা গুনাহ থেকে দূরে থাকে। আর এ অবস্থা চলতে থাকে সমগ্র কালব্যাপী।

৪.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাল্লাম বলেছেন: পাঁচ ওয়াক্তের সালাত, এক জুম’আর নামায থেকে আর এক জু’মআ পর্যন্ত পঠিত নামায ও এক রমযানের রোযা থেকে অপর রমযানের রোযার কাফফারা হয় সে সব গুনাহের জন্য যা এদের মধ্যবর্তী সময় হয় যখন কবীরাগুনাহ থেকে বেঁেচ থাকা হয়। অর্থাৎ নামায ও রোযা মানুষের সকল সগীরা গুনাহ মাফ করে দেয়। কিন্তু কবিরা গুনাহ মাফ হয় না।

৫.রাসূলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সর্বদা গুনাহর আগুনে জ্বলছো। তোমরা যখন ফজরের নামায আদায় করো, তখন তা নিভে যায়। ফজর হতে জোহর পর্যন্ত আবার পাপের আগুনে জ্বলতে থাকে। যখন জোহরের নামায শেষ করো তখন তা নিভে যায়। পুনরায় জোহর হতে আসর পর্যন্ত আগুন জ্বালিয়ে তার মধ্যে পোড়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে থাকে; কিন্তু আসরের নামায সমাপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তা নিভে শীতল হয়ে যায়। আবার আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত সময় তা এমনভাবে জ্বলে উঠে যে, তার শিখা তোমাদেরকে ছাই করে ফেলতে চায়। কিন্তু মাগরিবের নামায আদায় করা মাত্রই তা নিভে যায়। তারপর এশা পর্যন্ত তোমাদের পাপের আগুন আবার তীব্রভাবে জ্বলতে থাকে এবং যখন তোমরা এশার নামায সম্পন্ন করো তখন তা সম্পূর্ণরূপেই নিভে যায়। তখন তোমরা সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হয়ে ঘুমিয়ে থাকো। ঘুম ভাঙ্গা পর্যন্ত তোমাদের আমল নামায় আর কোনো প্রকার গুনাহ লিখা হয় না। (তারগীব ওয়াত তারহীব)

৬.হযরত আবুযার গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: একবার শীতের সময় যখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল, তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বাইরে তাশরীফ আনলেন এবং গাছের দু’টি ডাল ধরে ঝাঁকি দেয়া শুরু করলেন এবং ঝর ঝর করে (শুকনো) পাতা পড়তে লাগল। তখন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বললেন, হে আবুযর! যখন কোনো মুসলমান একনিষ্ঠ হয়ে আন্তরিকতার সাথে নামায পড়ে, তার গুনাহসমূহ ঠিক এভাবে ঝরে পড়ে যেমন এ গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ছে। (মুসনাদে আহমদ)

৭.বান্দার চারটি আমল নিয়ে ফেরেশতারা পরস্পরে বলাবলি করে। আমল সমূহ নিম্মরূপ :

১. নামাযের পর মসজিদে বসে আল্লাহর জিকির করা।

২.এক নামায শেষ করে পরবর্তী নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকা।

৩.জমায়াতে নামায পড়ার আশায় পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। এবং

৪.অসুস্থ অবস্থায় শীতের কষ্ট উপেক্ষা করেও পরিপূর্ণ অযু করা।

এ চারটি কাজের মাধ্যমে নামাযি ব্যক্তি সুখে-শান্তিতে বাস করবে এবং নেককার বান্দা হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হবে। আর সে সদ্যজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হবে। (মিশকাত)

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×